নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলায় এক যুবককে তুলে নেওয়ার সময় ঠেকাতে গিয়ে অস্ত্রধারীদের গুলিতে যুবদল কর্মী নিহত হয়েছেন। সোমবার রাত ৮টার দিকে উপজেলার ছয়ানী ইউনিয়নের গঙ্গাবর বাজারের ইসলামিয়া মার্কেটর সামনে এ ঘটনা ঘটে। 

নিহত মো. শাকিল (২৮) গঙ্গাবর গ্রামের সোলাইমান খোকনের ছেলে।

প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন বলেন, শাকিলসহ কয়েকজন ইসলামিয়া মার্কেটর সামনে চায়ের দোকানে ছিলেন। সেসময় অটোরিকশায় অস্ত্রসহ পাঁচজন এসে লাবিব নামে একজনকে তুলে নেওয়ার চেষ্টা করেন। তখন শাকিলসহ অন্যরা বাঁধা দিলে অস্ত্রধারী একজন শাকিলকে গুলি করে। তার ছোটভাই শুভর মাথায় অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়।

পরে দুই ভাইকে উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিলে শাকিলকে মৃত ঘোষণা করে চিকিৎসক। তার লাশ হাসপাতালটির মর্গে রয়েছে।

নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের রেজিষ্ট্রার বই সূত্রে জানা গেছে, রাত ৮ টা ৩৫ মিনিটের দিকে শাকিলকে মৃত অবস্থায় আনা হয়েছে। তার বুকে ও মাথায় গুলির চিহ্ন রয়েছে।

বেগমগঞ্জ মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো.

হাবীবুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, স্থানীয়রা অস্ত্রধারী তিনজনকে গণধোলাই দিয়ে আটক করে রেখেছে। তাদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক। আমরা তাদের উদ্ধারে চেষ্টা করছি।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ন হত

এছাড়াও পড়ুন:

নিখোঁজের দুই দিন পর সেপটিক ট্যাংকে মিলল যুবকের লাশ

নোয়াখালীর সদর উপজেলায় পরিত্যক্ত একটি সেপটিক ট্যাংকের ভেতর থেকে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার নোয়ান্নই ইউনিয়নের দুর্গানগর গ্রাম থেকে লাশটি উদ্ধার হয়। পেশায় দোকান কর্মচারী ওই যুবক গত বৃহস্পতিবার থেকে নিখোঁজ ছিলেন।

নিহত যুবকের নাম মীর হোসেন (৩২)। তিনি পার্শ্ববর্তী বেগমগঞ্জ উপজেলার রাজগঞ্জ ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের রাজেন্দ্রপুর গ্রামের বাসিন্দা। স্থানীয় রাজগঞ্জ বাজারের সোলেমান ট্রেডার্স নামের একটি রড-সিমেন্টের দোকানে চাকরি করতেন মীর হোসেন।

পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার বেলা দুইটায় মীর হোসেন গ্রামের বাড়ি থেকে কর্মস্থলের উদ্দেশে বের হন। রাত ৯টার দিকে তিনি স্ত্রীকে মুঠোফোনে জানান, পরিচিত এক ব্যক্তির জানাজায় যাচ্ছেন, সেখান থেকে ফিরতে এক-দেড় ঘণ্টা সময় লাগবে। এরপর মীর হোসেনের মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়। পরে বিভিন্ন স্থানে খোঁজ নিয়ে মীর হোসেনের সন্ধান না পেয়ে তাঁর স্ত্রী বেগমগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, গতকাল শুক্রবার বিকেলে পার্শ্ববর্তী ছয়ানী এলাকার একটি সড়কের ওপর নিখোঁজ মীর হোসেনের ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি পড়ে থাকতে দেখা যায়। এরপর আজ সকালে পাশের একটি ধানের স্তূপে রক্ত দেখে লোকজনের সন্দেহ হয়। এর সূত্র ধরে খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে স্থানীয় লোকজন অদূরে থাকা পরিত্যক্ত একটি সেপটিক ট্যাংকে পলিথিন মোড়ানো বস্তু দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ পলিথিন খুলে লাশটি দেখতে পায়।

বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিটন দেওয়ান প্রথম আলোকে বলেন, সাধারণ ডায়েরি করার পর পুলিশ বিভিন্ন স্থানে মীর হোসেনের সন্ধানে অভিযান চালায়। এর মধ্যেই আজ লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে। মীর হোসেনের গলা, কপালসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাতের রক্তাক্ত জখম রয়েছে।

নিহত মীর হোসেন ছাত্রদলের রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। সম্প্রতি তিনি স্থানীয় যুবদলের পদ পেতে তৎপরতা চালিয়ে আসছিলেন বলে জানান স্থানীয় বাসিন্দারা। রাজগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য কামাল হোসেন ওরফে জাহিদ প্রথম আলোকে বলেন, নিহত মীর হোসেন এলাকায় শান্ত প্রকৃতির ছেলে হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তাঁকে হত্যার ঘটনা এলাকাবাসীকে হতবাক করেছে।

সদর উপজেলার সুধারাম থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আবু তাহের প্রথম আলোকে বলেন, লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। পরিবারের অভিযোগের আলোকে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • অপহরণে বাঁধা দেওয়ায় যুবককে গুলি করে হত্যা, আটক ৩
  • নোয়াখালীতে নিখোঁজ ছাত্রদল নেতার লাশ মিলল সেপটিক ট্যাঙ্কে
  • নোয়াখালীতে নিখোঁজ ছাত্রদল নেতার লাশ সেপটিক ট্যাঙ্কে
  • সেপটিং ট্যাংকে মিলল পলিথিনে মোড়ানো সাবেক ছাত্রদল নেতার মরদেহ
  • নিখোঁজের দুই দিন পর সেপটিক ট্যাংকে মিলল যুবকের লাশ