রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকার একটি বাসা থেকে হুমায়ুন কবির (৪৫) নামের এক পুলিশ সদস্যের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার দুপুরে তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়। তিনি রাজারবাগ পুলিশ লাইনসের পরিবহন খাতে কর্মরত ছিলেন।

যাত্রাবাড়ী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কাজী রমজানুল হক প্রথম আলোকে বলেন, দয়াগঞ্জ এলাকার একটি বাড়ির নিচতলা থেকে হুমায়ুন কবিরের লাশ উদ্ধার করা হয়। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

রমজানুল হক আরও বলেন, হুমায়ুনের গলায় ফাঁস লাগানোর কালো দাগ রয়েছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর তাঁর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

ঈশ্বরদীতে জমি নিয়ে বিরোধে সংঘর্ষ, ১০ জন হাসপাতালে

পাবনার ঈশ্বরদীতে জমি নিয়ে বিরোধে দুই পক্ষের সংঘর্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন। গত রোববার লক্ষীকুন্ডা ইউনিয়নের দাদাপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। সোমবার এক পক্ষ থানায় মামলা করেছে বলে নিশ্চিত করেছেন পরিদর্শক (তদন্ত) মনিরুল ইসলাম।

অভিযোগ থেকে জানা গেছে, লক্ষীকুন্ডা ইউনিয়নের দাদাপুর পশ্চিমপাড়া গ্রামে সেলিম মণ্ডল ও আলম মাঝির সমর্থকদের মধ্যে জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে আদালতে মামলাও হয়েছে। কয়েক দিন আগে ওই মামলায় সেলিম মণ্ডলের পক্ষে রায় হয়। রোববার স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের মাধ্যমে সেলিম মণ্ডল প্রতিপক্ষকে বিষয়টি অবগত করেন। পরে লোকজন নিয়ে জমি চাষ করতে গেলে দু’পক্ষের মধ্যে প্রথমে কথা-কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে উভয় পক্ষ লাঠিসোটা ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। 
এতে আহত হন রাসেল হোসেনের স্ত্রী মনিরা খাতুন, শাহিন হোসেনের ছেলে সিয়াম হোসেন, মিনারুল ইসলামের ছেলে পারভেজ, নাছির মণ্ডলের ছেলে রায়হান মণ্ডল, সজীব হোসেনের স্ত্রী স্বর্ণা খাতুন, সাইদুল মণ্ডলের মেয়ে তুবা খাতুন, মৃত মন্টু মণ্ডলের ছেলে শাহিন মণ্ডলসহ ১০ জন। 

স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। মনিরা, স্বর্ণা, রায়হানসহ চারজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। 

ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম শহীদ বলেন, খবর পেয়ে এলাকায় পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। সোমবার আহতদের মধ্যে সেলিম মণ্ডল বাদী হয়ে ২০-২৫ জনকে আসামি করে থানায় মামলা করেছেন। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। এখনও কোনো আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ