Samakal:
2025-04-28@23:30:40 GMT

জ্ঞানার্জনে বইয়ের বিকল্প নেই

Published: 28th, April 2025 GMT

জ্ঞানার্জনে বইয়ের বিকল্প নেই

‘বই হলো এমন এক আয়না, যেখানে তুমি নিজের মধ্যে নতুন কিছু আবিষ্কার করো’– জর্জ ক্রিস্টোফ লিচটেনবার্গের এমন উক্তি দিয়ে শুরু হয় বিশ্ব বই দিবসে তিতুমীর কলেজ সুহৃদ সমাবেশ আয়োজিত ‘বই পড়ার আসর’। ২৩ এপ্রিল ছিল বিশ্ব বই দিবস। ১৯৯৫ সালে ইউনেস্কো দিনটিকে ‘বিশ্ব বই দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করে। ‘পড়ুন এবং বিচিত্র অভিজ্ঞতা অর্জন করুন’ প্রতিপাদ্যে বই ঘিরে বিভিন্ন আয়োজনের মধ্য দিয়ে বিশ্বজুড়ে দিবসটি উদযাপিত হয় যথাযোগ্য মর্যাদায়। এরই ধারাবাহিকতায় তিতুমীর কলেজের সুহৃদরা ‘মুক্ত পরিবেশে বই পড়া ও বই বিনিময় কর্মসূচি’র মধ্য দিয়ে দিবসটি উদযাপন করেন।
আয়োজনে কলেজের মুক্তমঞ্চে দিনভর বইপ্রেমীদের সরব উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। বই পড়া, প্রিয় বই বিনিময় আর প্রাণবন্ত আড্ডায় মুখরিত হয়ে ওঠে আসর। 
কর্মসূচিতে সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন কলেজ ইউনিটের আহ্বায়ক আশিকা নিগার, সদস্য সচিব মুহিতুল ইসলাম মুন্নাসহ অন্য সদস্যরা। 
কর্মসূচির এক পর্যায়ে উপদেষ্টা অধ্যাপক কামরুন নাহার মায়া সুহৃদদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন এবং এই কর্মসূচিকে সমসাময়িক ও তাৎপর্যপূর্ণ বলে আয়োজনের জন্য সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘জ্ঞান অর্জনের নির্ভরযোগ্য পথ বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলা। পাঠাভ্যাস গড়ে তুলতে একাডেমিক কারিকুলামের বাইয়েও নিয়মিত পাঠচক্র আয়োজন করা দরকার।’
আসরে সুহৃদরা বলেন, ‘বই পড়ার মাধ্যমে নিজের ভেতর সম্পূর্ণ নতুন এক পৃথিবী তৈরি করা যায়। টিকে থাকার জন্য যেমন খাবার দরকার, তেমনি বেঁচে থাকার জন্য দরকার কিছু স্বপ্ন, কিছু চিন্তা আর কিছু প্রশ্ন। এসবের উত্তর মেলে বইয়ের মাধ্যমে। স্মার্টফোন আর সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে অনেকেই বইয়ের গন্ধ নিতে ফুরসত পান না। এমন বাস্তবতায় বই দিবস আমাদের নতুন করে মনে করিয়ে দেয় জীবনের সত্যিকারের সমৃদ্ধি আসে জ্ঞান অর্জনের মাধ্যমে। সেই জ্ঞান আছে বইয়ের মধ্যে নিখুঁতভাবে লুকানো।’
কর্মসূচির এক পর্বে বই পড়ার তাৎপর্য, মানবিক মূল্যবোধ গঠন এবং মানসিক পরিশুদ্ধতায় বইয়ের অনন্য ভূমিকা নিয়ে উন্মুক্ত আলোচনা হয়। এ পর্বে সুহৃদ নাহিদ বলেন, প্রযুক্তিনির্ভর এই সময়ে তরুণ প্রজন্মের পাঠাভ্যাস কমে আসছে। এ অভ্যাস ফিরিয়ে আনতে আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি। আমরা আশা করছি পরবর্তী সময়ে বইপ্রেমীরা আমাদের এমন আয়োজনে সাড়া দেবেন। নিজেদের প্রিয় বই, লেখক আর পাঠ প্রতিক্রিয়া ভাগাভাগির পাশাপাশি গান ও আবৃত্তি পরিবেশনের মধ্য দিয়ে শেষ হয় আয়োজন। v
কোষাধ্যক্ষ
সুহৃদ সমাবেশ, সরকারি তিতুমীর কলেজ

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: স হ দ সম ব শ বইয় র

এছাড়াও পড়ুন:

কড়া নজরদারি সুন্দরবন সীমান্তে

দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুন্দরবন জলসীমানা প্রায় দেড়শো কিলোমিটার। ভারতীয় প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, এ সীমানা দিয়ে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বাড়তি তৎপরতা নেওয়া হচ্ছে। খবর আনন্দবাজারের।

খবরে বলা হয়েছে, নদী ও বনভূমি এলাকায় সীমান্ত বরাবর বিএসএফ মোতায়েন আছে। ভাসমান বর্ডার আউটপোস্ট, বঙ্গোপসাগর অংশে কোস্ট গার্ডের নজরদারি চলছে। ড্রোন, সেন্সর ও ক্যামেরা, কিছু জায়গায় নাইট ভিশন ক্যামেরা ব্যবহার করা হচ্ছে। পাশাপাশি, পুলিশের তরফেও উপকূল এলাকায় দিনরাত নজরদারি চলছে।

উপকূল থানাগুলোর পক্ষ থেকে নদীপথে নিয়মিত টহল দেওয়া হচ্ছে। রাতেও উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে নজর রাখা হচ্ছে। নদীপথে কোনো জলযান দেখলেই তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। মৎস্যজীবীদের পরিচয়পত্রও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। নদী বা সমুদ্রে এখন মাছ ধরার উপরে নিষেধাজ্ঞা চলছে। মৎস্যজীবীদের জলযান চলাচল করার কথা নয়। তাই জলযান দেখলেই তল্লাশি চলছে। বাংলাদেশি জাহাজগুলোতেও পুলিশ তল্লাশি চালাচ্ছে।

সুন্দরবন পুলিশ জেলার সুপার কোটেশ্বর রাও নালাভাট বলেন, আগেও উপকূলবর্তী এলাকায় পুলিশের নজরদারি চলত। এখন বাড়তি জোর দেওয়া হচ্ছে। দু’বেলা নদী ও স্থলপথে পুলিশের টহল বৃদ্ধি পেয়েছে। নাকা চেকিং হচ্ছে। চলছে তল্লাশিও।

উত্তর ২৪ পরগনাতেও উপকূল এলাকায় নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। নিরাপত্তা বেড়েছে জল ও স্থলসীমান্তে। জল, ভূমি ও আকাশে অত্যাধুনিক ইজ়রাইল রাডারের মাধ্যমে নজরদারি চালাচ্ছে সীমান্তরক্ষী বাহিনী।

ইতোমধ্যে ভারতীয় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা দফতর জানিয়েছে, বাংলাদেশের আকাশ ব্যবহার করে ভারতকে আক্রমণ করতে পারে সশস্ত্র সংগঠনগুলো। ফলে সুরক্ষা বাড়াতে বিএসএফের তৎপরতা শুরু হয়েছে। বসিরহাট মহকুমার স্বরূপনগর থেকে হিঙ্গলগঞ্জের হেমনগর কোস্টাল থানা পর্যন্ত ৯৪ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে। তার মধ্যে ৫০ কিলোমিটার জলসীমান্ত। স্থলসীমান্ত ৪৪ কিলোমিটার। সীমান্ত সুরক্ষায় অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রের খবর।

সম্পর্কিত নিবন্ধ