ঢাকাকে ‘আঞ্চলিক বিষয় সম্পর্কে’ ব্রিফ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার সৈয়দ আহমেদ মারুফ। সোমবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্র সচিব মো. জসীম উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। পরে বৈঠক প্রসঙ্গে পাকিস্তানের হাইকমিশনার উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, নিয়মিত বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা নিয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কিনা– জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘না হয়নি। আজকের বৈঠকটিতে একদমই ভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।’

পরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আঞ্চলিক বিষয়গুলো সম্পর্কে পররাষ্ট্র সচিবকে জানিয়েছেন পাকিস্তানের হাইকমিশনার। তিনি গত ১৭ এপ্রিল বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে ষষ্ঠ পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের গঠনমূলক বৈঠকের সফলতার বিষয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন। দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা জোরদারের ক্ষেত্রে বৈঠকটিকে ইতিবাচক পদক্ষেপ হিসেবে তুলে ধরেন তারা। 

বৈঠকে আলোচিত ক্ষেত্র ও বিষয় নিয়ে উভয় পক্ষের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অব্যাহত পর্যবেক্ষণ এবং আরও কাজের গুরুত্বের ওপর জোর দেওয়া হয়।

সূত্র জানায়, বৈঠকে হাইকমিশনার সৈয়দ আহমেদ মারুফ ঢাকায় অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ-পাকিস্তান ব্যবসায়িক ফোরাম উচ্চ পর্যায়ের ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দলের চলমান সফর সম্পর্কেও পররাষ্ট্র সচিবকে অবহিত করেন। এ ছাড়া পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বাংলাদেশে সফর পারস্পরিক সুবিধাজনক সময়ে অনুষ্ঠানের বিষয়ে উভয়পক্ষ আশা প্রকাশ করেন।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

তৃতীয় পক্ষের অ্যাপে মোবাইল প্যাকেজ ওভার চার্জিং

বিকাশের মতো তৃতীয় পক্ষের প্ল্যাটফর্মে উচ্চ মূল্যে মোবাইল ইন্টারনেট প্যাকেজ বিক্রির অভিযোগ এসেছে। ‘মোবাইল প্যাকেজ ওভার চার্জিং: এ কল ফর রেগুলেটরি অডিট অ্যান্ড কনজিউমার প্রোটেকশন’ শীর্ষক প্রতিবেদনে মোবাইল অপারেটর অ্যাপে তালিকাভুক্ত দাম এবং বাহ্যিক চ্যানেলের মাধ্যমে চার্জ করা মূল্যের মধ্যে উল্লেখযোগ্য অসঙ্গতি পাওয়া গেছে।

প্রধান উপদেষ্টার তথ্য প্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমেদ তৈয়্যব এ তথ্য ফেসবুকে জানিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে প্যাকেজগুলো অনুমোদিত মূল্যের চেয়ে ২০ শতাংশ থেকে ৮০ শতাংশ বেশি হারে বিক্রি হয়েছিল। মোবাইল অপারেটরের নিজস্ব অ্যাপে ৩০ দিনের ৪৫ জিবি ডেটা প্যাকের দাম ছিল ৪৯৭ টাকা, কিন্তু একই প্যাকটি বিকাশের মাধ্যমে ৫৯৮ টাকায় বিক্রি হয়েছে, যা ২০ শতাংশ বৃদ্ধি।

১৯৮ টাকায় তালিকাভুক্ত একটি ৭ দিনের ২৫ জিবি প্যাক বিকাশের মাধ্যমে একই দামে ২০ জিবি প্যাক হিসাবে বিক্রি হয়েছিল, যা ৮০ শতাংশ ওভারচার্জ।

২২৭ টাকা মূল্যের একটি সাত দিনের ৪০ জিবি প্যাক বিকাশে একই মূল্যের জন্য ৩৫ জিবি কমিয়ে দেওয়া হয়েছে, যা ভিত্তি মূল্যের তুলনায় ৭০ শতাংশ বৃদ্ধি।

৭  দিনের ১০ জিবি এবং ৩-দিনের ৫ জিবি বিকল্পগুলোসহ অন্যান্য প্যাকেজগুলোও ৫৫ শতাংশ থেকে ৫৮ শতাংশ অতিরিক্ত চার্জে বিক্রি হয়েছে।
ফয়েজ আহমেদ লেখেন, বিটিআরসিতে সিস্টেমস অ্যান্ড সার্ভিসেস বিভাগের অধীনে একটি সুষ্পষ্ট প্রাইসিং রেগুলেশন রয়েছে। তার তোয়াক্কা না করে ২০ শতাংশ থেকে ৮০ শতাংশ পর্যন্ত প্রাক্কলন অতিরিক্ত মূল্য আদায় গ্রাহকস্বার্থ ও রাষ্ট্রের সার্বিক স্বার্থবিরোধী বলেই বিবেচিত হওয়া উচিত। বিষয়টি প্রমাণিত হলে সংশ্লিষ্টদের রেগুলেটরি শাস্তির মুখোমুখি করা দরকার বলে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ