চেক প্রতারণার মামলায় হাবিব মিলস লিমিটেডের দুই শীর্ষ কর্মকর্তাকে এক বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন চট্টগ্রামের একটি আদালত। সোমবার চট্টগ্রাম যুগ্ম মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মুহাম্মদ আবু আমর এই রায় দেন। পাশাপাশি ২০ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়েছে। 

সাজাপ্রাপ্ত দুই আসামি হলেন– হাবিব মিলস লিমিটেডের চেয়ারম্যান ইয়াকুব আলী (৭১) ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ ইয়াসিন আলী (৬১)। দু’জনই পলাতক।

মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী নুসরাত আরা হীরা জানান, মার্কেন্টাইল ব্যাংক আগ্রাবাদ শাখা থেকে ঋণ নেয় হাবিব মিলস লিমিটেড। ব্যাংকের পাওনা পরিশোধের জন্য ২০২৩ সালের ৩ সেপ্টেম্বর ২০ কোটি টাকার একটি চেক দেয় প্রতিষ্ঠানটি। পরদিন চেক ব্যাংকে জমা দেয়া হলে, অপর্যাপ্ত তহবিলের কারণে তা প্রত্যাখ্যাত হয়। এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিদের লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়। 

পরে ব্যাংকের পক্ষ থেকে আদালতে মামলা দায়ের করা হলে সমন জারি হয়। গত বছরের ৩১ অক্টোবর এ ঘটনায় আদালতে দুই আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন হয় এবং সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে সোমবার রায় দেন বিচারক।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

তৃতীয় পক্ষের অ্যাপে মোবাইল প্যাকেজ ওভার চার্জিং

বিকাশের মতো তৃতীয় পক্ষের প্ল্যাটফর্মে উচ্চ মূল্যে মোবাইল ইন্টারনেট প্যাকেজ বিক্রির অভিযোগ এসেছে। ‘মোবাইল প্যাকেজ ওভার চার্জিং: এ কল ফর রেগুলেটরি অডিট অ্যান্ড কনজিউমার প্রোটেকশন’ শীর্ষক প্রতিবেদনে মোবাইল অপারেটর অ্যাপে তালিকাভুক্ত দাম এবং বাহ্যিক চ্যানেলের মাধ্যমে চার্জ করা মূল্যের মধ্যে উল্লেখযোগ্য অসঙ্গতি পাওয়া গেছে।

প্রধান উপদেষ্টার তথ্য প্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমেদ তৈয়্যব এ তথ্য ফেসবুকে জানিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে প্যাকেজগুলো অনুমোদিত মূল্যের চেয়ে ২০ শতাংশ থেকে ৮০ শতাংশ বেশি হারে বিক্রি হয়েছিল। মোবাইল অপারেটরের নিজস্ব অ্যাপে ৩০ দিনের ৪৫ জিবি ডেটা প্যাকের দাম ছিল ৪৯৭ টাকা, কিন্তু একই প্যাকটি বিকাশের মাধ্যমে ৫৯৮ টাকায় বিক্রি হয়েছে, যা ২০ শতাংশ বৃদ্ধি।

১৯৮ টাকায় তালিকাভুক্ত একটি ৭ দিনের ২৫ জিবি প্যাক বিকাশের মাধ্যমে একই দামে ২০ জিবি প্যাক হিসাবে বিক্রি হয়েছিল, যা ৮০ শতাংশ ওভারচার্জ।

২২৭ টাকা মূল্যের একটি সাত দিনের ৪০ জিবি প্যাক বিকাশে একই মূল্যের জন্য ৩৫ জিবি কমিয়ে দেওয়া হয়েছে, যা ভিত্তি মূল্যের তুলনায় ৭০ শতাংশ বৃদ্ধি।

৭  দিনের ১০ জিবি এবং ৩-দিনের ৫ জিবি বিকল্পগুলোসহ অন্যান্য প্যাকেজগুলোও ৫৫ শতাংশ থেকে ৫৮ শতাংশ অতিরিক্ত চার্জে বিক্রি হয়েছে।
ফয়েজ আহমেদ লেখেন, বিটিআরসিতে সিস্টেমস অ্যান্ড সার্ভিসেস বিভাগের অধীনে একটি সুষ্পষ্ট প্রাইসিং রেগুলেশন রয়েছে। তার তোয়াক্কা না করে ২০ শতাংশ থেকে ৮০ শতাংশ পর্যন্ত প্রাক্কলন অতিরিক্ত মূল্য আদায় গ্রাহকস্বার্থ ও রাষ্ট্রের সার্বিক স্বার্থবিরোধী বলেই বিবেচিত হওয়া উচিত। বিষয়টি প্রমাণিত হলে সংশ্লিষ্টদের রেগুলেটরি শাস্তির মুখোমুখি করা দরকার বলে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ