আন্দোলন দমাতে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে জিডি করেছে ববি প্রশাসন
Published: 28th, April 2025 GMT
রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে আন্দোলন দমন করতে ও শিক্ষার্থীদের ভয়ভীতি দেখাতে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় (ববি) প্রশাসন।
সোমবার (২৮ এপ্রিল) সহকারী রেজিস্ট্রার (নিরাপত্তা) কেএম সানোয়ার পারভেজ লিটন বাদী হয়ে ১০ জন শিক্ষার্থীসহ অজ্ঞাতনামাদের নামে বরিশালের বন্ধর থানায় জিডি করেন ।
ববি রেজিস্ট্রার মনিরুল ইসলামের অশালীন ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তার বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীরা রবিবার (২৭ এপ্রিল) রেজিস্ট্রারের কুশপুত্তলিকা দাহ করেন এবং রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে তালা দেন। পরে উপাচার্যের চাপে পড়ে সহকারী রেজিস্ট্রার শিক্ষার্থীদের নামে মামলা করতে বন্ধর থানায় যান। কিন্তু সুনির্দিষ্ট অপরাধ না থাকায় থানা মামলা না নেওয়ায় জিডি করেন তিনি।
আরো পড়ুন:
ফয়জুল করীমকে বরিশালের মেয়র ঘোষণার দাবিতে মানববন্ধন
ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে বরিশালে বিক্ষোভ
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বলছেন, যৌক্তিক দাবি আদায়ের জন্য তারা শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করছিলেন। অথচ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাদের কণ্ঠরোধ করতে জিডি এবং মামলার ভয় দেখাচ্ছে। এর আগেও তিনি আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করেছেন, যা এখনো বহাল রয়েছে।
জিডিতে লেখা হয়েছে, বিবাদীগণ বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের ছাত্র। তারা বিভিন্নভাবে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করাসহ বিশ্ববিদ্যালয়ে অরাজক পরিস্থিতি তৈরি করে বেড়ায়। বিধানীগণ সংঘবদ্ধ হওয়ায় তাদের ভয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীরা তটস্থ থাকে এবং তারা তাদের শক্তি প্রদর্শনের জন্য বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকাণ্ডে বিভিন্নভাবে বাধার সৃষ্টি করে।
এরই ধারাবাহিকতায় অজ্ঞাতনামা বিবাদীসহ তারা রবিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুর ২টা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে বিভিন্ন দাবি-দাওয়া ও ফেস্টুন নিয়ে স্লোগান দিতে থাকে। একপর্যায়ে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ে গিয়ে গ্রান্ড মাইকে বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দিয়ে রেজিস্ট্রার এর কার্যালয়ে প্রবেশ করে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বের করে তালাবদ্ধ করে। এতে প্রশাসনিক কর্মকাণ্ড ব্যাহত হয়।
আড়াইটার দিকে কেউ গেট খুললে তাদের ক্যাম্পাসে থাকতে দেবে না বলে হুমকি দিয়ে চলে যায়। তাদের এসব কর্মকাণ্ডে ক্যাম্পাসে আতঙ্ক বিরাজ করছে। তাদের আচরণে ধারণা করা হচ্ছে, তারা যেকোনো সময় বড় কোনো ঘটনা ঘটাতে পারে।
বন্ধর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ( ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, “আমাদের কাছে আপাতত ১০ জন শিক্ষার্থীর নামে সাধারণ ডায়েরি ( জিডি) করা হয়েছে।”
জিডিতে উল্লেখ করা শিক্ষার্থীরা হলেন, রাকিন খান (ইংরেজি বিভাগ), নাজমুল ঢালী (গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ), মোকাব্বেল শেখ (লোকপ্রশাসন বিভাগ), তরিক হোসেন (আইন বিভাগ), মিজানুর রহমান (ইংরেজি বিভাগ), এনামুল হক (ইংরেজি বিভাগ), এমডি শিহাব (রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ), তরিকুল ইসলাম (ইংরেজি বিভাগ), স্বপ্নীল অপূর্ব রকি (কোষ্টাল স্টাডিজ বিভাগ) ও রফিক (রসায়ন বিভাগ)।
জিডির বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড.
উপাচার্য অধ্যাপক ড. শুচিতা শরমিনকে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
ঢাকা/সাইফুল/মেহেদী
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর বর শ ল বর শ ল
এছাড়াও পড়ুন:
তৃতীয় পক্ষের অ্যাপে মোবাইল প্যাকেজ ওভার চার্জিং
বিকাশের মতো তৃতীয় পক্ষের প্ল্যাটফর্মে উচ্চ মূল্যে মোবাইল ইন্টারনেট প্যাকেজ বিক্রির অভিযোগ এসেছে। ‘মোবাইল প্যাকেজ ওভার চার্জিং: এ কল ফর রেগুলেটরি অডিট অ্যান্ড কনজিউমার প্রোটেকশন’ শীর্ষক প্রতিবেদনে মোবাইল অপারেটর অ্যাপে তালিকাভুক্ত দাম এবং বাহ্যিক চ্যানেলের মাধ্যমে চার্জ করা মূল্যের মধ্যে উল্লেখযোগ্য অসঙ্গতি পাওয়া গেছে।
প্রধান উপদেষ্টার তথ্য প্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমেদ তৈয়্যব এ তথ্য ফেসবুকে জানিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে প্যাকেজগুলো অনুমোদিত মূল্যের চেয়ে ২০ শতাংশ থেকে ৮০ শতাংশ বেশি হারে বিক্রি হয়েছিল। মোবাইল অপারেটরের নিজস্ব অ্যাপে ৩০ দিনের ৪৫ জিবি ডেটা প্যাকের দাম ছিল ৪৯৭ টাকা, কিন্তু একই প্যাকটি বিকাশের মাধ্যমে ৫৯৮ টাকায় বিক্রি হয়েছে, যা ২০ শতাংশ বৃদ্ধি।
১৯৮ টাকায় তালিকাভুক্ত একটি ৭ দিনের ২৫ জিবি প্যাক বিকাশের মাধ্যমে একই দামে ২০ জিবি প্যাক হিসাবে বিক্রি হয়েছিল, যা ৮০ শতাংশ ওভারচার্জ।
২২৭ টাকা মূল্যের একটি সাত দিনের ৪০ জিবি প্যাক বিকাশে একই মূল্যের জন্য ৩৫ জিবি কমিয়ে দেওয়া হয়েছে, যা ভিত্তি মূল্যের তুলনায় ৭০ শতাংশ বৃদ্ধি।
৭ দিনের ১০ জিবি এবং ৩-দিনের ৫ জিবি বিকল্পগুলোসহ অন্যান্য প্যাকেজগুলোও ৫৫ শতাংশ থেকে ৫৮ শতাংশ অতিরিক্ত চার্জে বিক্রি হয়েছে।
ফয়েজ আহমেদ লেখেন, বিটিআরসিতে সিস্টেমস অ্যান্ড সার্ভিসেস বিভাগের অধীনে একটি সুষ্পষ্ট প্রাইসিং রেগুলেশন রয়েছে। তার তোয়াক্কা না করে ২০ শতাংশ থেকে ৮০ শতাংশ পর্যন্ত প্রাক্কলন অতিরিক্ত মূল্য আদায় গ্রাহকস্বার্থ ও রাষ্ট্রের সার্বিক স্বার্থবিরোধী বলেই বিবেচিত হওয়া উচিত। বিষয়টি প্রমাণিত হলে সংশ্লিষ্টদের রেগুলেটরি শাস্তির মুখোমুখি করা দরকার বলে।