সিটি ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপক সম্মেলন অনুষ্ঠিত
Published: 28th, April 2025 GMT
সিটি ব্যাংক পিএলসির শাখা ব্যবস্থাপক সম্মেলন ২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
‘হ্যাপি এমপ্লয়িজ, হ্যাপি কাস্টমারস, হ্যাপি শেয়ারহোল্ডারস’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আয়োজিত এ সম্মেলনের মূল লক্ষ্য ছিল ব্যাংকের কৌশল নির্ধারণ, শাখাগুলোর পারফরমেন্স বিশ্লেষণ, প্রযুক্তিনির্ভর সেবা বিস্তার, গ্রাহক সন্তুষ্টি বৃদ্ধির কৌশল ও টেকসই প্রবৃদ্ধি অর্জনের রূপরেখা তৈরি।
এছাড়া রিটেইল ও এসএমই ব্যাংকিংয়ের ডিপোজিট, লোন ও কার্ড প্রোডাক্টগুলোর ব্যবসায়িক পরিকল্পনা ও নতুন লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়। ব্যাংকের পরিচালনা পরিষদ এবং ব্যবস্থাপক কর্তৃপক্ষ ২০২৪ সালের ঈর্ষণীয় ফলাফলের জন্য (২ হাজার ৩৫১ কোটি টাকা পরিচালন মুনাফা) সব গ্রাহক, রেগুলেটর, এবং কর্মীকে ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানান।
শনিবার (২৬ এপ্রিল) কক্সবাজারের একটি হোটেলে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ব্যাংকের চেয়ারম্যান আজিজ আল কায়সার এ সম্মেলনের উদ্বোধন করেন।
তিনি তার বক্তব্যে টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে ব্যাংকিং খাতের ভূমিকা তুলে ধরেন এবং শাখা ব্যবস্থাপকদের উদ্দেশে বলেন, “আমরা এমন এক সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি যেখানে ডিজিটাল রূপান্তর এবং গ্রাহক সেবার উৎকর্ষতা অপরিহার্য। আমাদের সব শাখা ব্যবস্থাপকদের নতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে।”
ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মাসরুর আরেফিন বলেন, “এই বিশাল ব্যাংকের বিভিন্ন বিভাগগুলোর একত্রে কাজ করতে পারাটার মধ্যেই লুকিয়ে আছে ভবিষ্যৎ সফলতার চাবি। এই ব্যাংকের মূল ফোকাস হবে ক্ষুদ্র ও অতি-ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের পাশে দাঁড়ানো।”
সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন ব্যাংকের ভাইস চেয়ারম্যান হোসেন খালেদ, পরিচালক রেবেকা ব্রোসন্যান ও স্বতন্ত্র পরিচালক মতিউল ইসলাম নওশাদ, ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালকরা মো.
এছাড়া উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের পরিচালক রুবেল আজিজ ও হোসেন মেহমুদ। এ সম্মেলনে সারা দেশের সব শাখা, উপশাখা ও সিটিজেম সেন্টারের ব্যবস্থাপকরা, প্রধান কার্যালয়ের ঊর্ধ্বতন নির্বাহীরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে ২০২৪ সালের সেরা শাখা ও সেরা ব্যবস্থাপক পুরস্কার দেওয়া হয়।
ঢাকা/সুমন/সাইফ
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
দুই দিনের রিমান্ডে সাবেক প্রতিমন্ত্রী কাজী কেরামত
সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ও রাজবাড়ী-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য কাজী কেরামত আলীকে দুই দিনের রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। সোমবার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলা ও গুলিবর্ষণের মামলায় রাজবাড়ী জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. তামজিদ আহমেদ শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। একই অভিযোগের আরেক মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
কাজী কেরামত আলী রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি। আগে দীর্ঘদিন তিনি সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন। ছয়বারের এই সংসদ সদস্য ২০১৮ সালে শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছিলেন।
২০২৪ সালের ৩০ আগস্ট রাজবাড়ী সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী রাজিব মোল্লা কাজী কেরামত আলীসহ ১৭০ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় ৩০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এ মামলায় ৬ এপ্রিল রাতে রাজধানীর মহাখালী থেকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।
রাজবাড়ী আদালত পুলিশের পরিদর্শক মো. জসীম উদ্দিন বলেন, ওই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মিকাঈল হোসেন কাজী কেরামত আলীকে সাতদিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এ ছাড়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলা ও গুলিবর্ষণের ঘটনায় ২০২৪ সালের ২ সেপ্টেম্বর দায়ের হওয়া আরেকটি মামলায় কাজী কেরামত আলীকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা এসআই এনায়েত শিকদার। আদালত তাঁর আবেদন মঞ্জুর করেন।