গাজীপুরের কালীগঞ্জে পরিচালিত এক ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে নিয়ম বহির্ভূত কার্যকলাপের অভিযোগে কালীগঞ্জ সেন্ট্রাল হাসপাতালকে দুই লাখ পাঁচ হাজার টাকা এবং কালীগঞ্জ বাজারের এক ব্যবসায়ীকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) রাতে এ অভিযান পরিচালনা করেন কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তনিমা আফ্রাদ।

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ এবং মেডিকেল প্র্যাকটিস ও বেসরকারি ক্লিনিক ও ল্যাবরেটরি (নিয়ন্ত্রণ) অধ্যাদেশ, ১৯৮২ লঙ্ঘনের প্রমাণ মেলায় এ জরিমানা করা হয়।

অভিযানে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.

রেজওয়ানা রশীদ, বেঞ্চ সহকারী মো. আলামিন ভূঁইয়া, থানা পুলিশ ও আনসার সদস্যরা।

দণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে রয়েছেন কালীগঞ্জ পৌর এলাকার মুনসুপপুর গ্রামের আব্দুল বাসেদ মিয়ার ছেলে আরিফুর রহমান (৪৯), যিনি সেন্ট্রাল হাসপাতালের ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত।

ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক জানান, তার প্রতিষ্ঠানে একাধিক অনিয়ম ও আইন লঙ্ঘনের প্রমাণ পাওয়া গেছে। এজন্য তাকে দুই লাখ পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

এছাড়া, নরসিংদীর পলাশ উপজেলার ফায়সাল (৩৪), যিনি কালীগঞ্জ বাজারের একজন ব্যবসায়ী। তাকেও ভোক্তা অধিকার আইন লঙ্ঘনের দায়ে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার তনিমা আফ্রাদ বলেন, “জনস্বাস্থ্য এবং ভোক্তাদের অধিকার রক্ষায় এ ধরনের অভিযান নিয়মিত পরিচালিত হবে। আইন ভঙ্গকারীদের কোনোভাবেই ছাড় দেওয়া হবে না।”

ঢাকা/রফিক/এস

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

তৃতীয় পক্ষের অ্যাপে মোবাইল প্যাকেজ ওভার চার্জিং

বিকাশের মতো তৃতীয় পক্ষের প্ল্যাটফর্মে উচ্চ মূল্যে মোবাইল ইন্টারনেট প্যাকেজ বিক্রির অভিযোগ এসেছে। ‘মোবাইল প্যাকেজ ওভার চার্জিং: এ কল ফর রেগুলেটরি অডিট অ্যান্ড কনজিউমার প্রোটেকশন’ শীর্ষক প্রতিবেদনে মোবাইল অপারেটর অ্যাপে তালিকাভুক্ত দাম এবং বাহ্যিক চ্যানেলের মাধ্যমে চার্জ করা মূল্যের মধ্যে উল্লেখযোগ্য অসঙ্গতি পাওয়া গেছে।

প্রধান উপদেষ্টার তথ্য প্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমেদ তৈয়্যব এ তথ্য ফেসবুকে জানিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে প্যাকেজগুলো অনুমোদিত মূল্যের চেয়ে ২০ শতাংশ থেকে ৮০ শতাংশ বেশি হারে বিক্রি হয়েছিল। মোবাইল অপারেটরের নিজস্ব অ্যাপে ৩০ দিনের ৪৫ জিবি ডেটা প্যাকের দাম ছিল ৪৯৭ টাকা, কিন্তু একই প্যাকটি বিকাশের মাধ্যমে ৫৯৮ টাকায় বিক্রি হয়েছে, যা ২০ শতাংশ বৃদ্ধি।

১৯৮ টাকায় তালিকাভুক্ত একটি ৭ দিনের ২৫ জিবি প্যাক বিকাশের মাধ্যমে একই দামে ২০ জিবি প্যাক হিসাবে বিক্রি হয়েছিল, যা ৮০ শতাংশ ওভারচার্জ।

২২৭ টাকা মূল্যের একটি সাত দিনের ৪০ জিবি প্যাক বিকাশে একই মূল্যের জন্য ৩৫ জিবি কমিয়ে দেওয়া হয়েছে, যা ভিত্তি মূল্যের তুলনায় ৭০ শতাংশ বৃদ্ধি।

৭  দিনের ১০ জিবি এবং ৩-দিনের ৫ জিবি বিকল্পগুলোসহ অন্যান্য প্যাকেজগুলোও ৫৫ শতাংশ থেকে ৫৮ শতাংশ অতিরিক্ত চার্জে বিক্রি হয়েছে।
ফয়েজ আহমেদ লেখেন, বিটিআরসিতে সিস্টেমস অ্যান্ড সার্ভিসেস বিভাগের অধীনে একটি সুষ্পষ্ট প্রাইসিং রেগুলেশন রয়েছে। তার তোয়াক্কা না করে ২০ শতাংশ থেকে ৮০ শতাংশ পর্যন্ত প্রাক্কলন অতিরিক্ত মূল্য আদায় গ্রাহকস্বার্থ ও রাষ্ট্রের সার্বিক স্বার্থবিরোধী বলেই বিবেচিত হওয়া উচিত। বিষয়টি প্রমাণিত হলে সংশ্লিষ্টদের রেগুলেটরি শাস্তির মুখোমুখি করা দরকার বলে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ