দুদক কখনো কাউকে ফোন দেয় না, ফোন দেবেও না: মহাপরিচালক
Published: 28th, April 2025 GMT
দুর্নীতি দমন কমিশনের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন বলেছেন, সম্প্রতি দুদক চেয়ারম্যান ও মহাপরিচালকসহ বিভিন্ন কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছবি ব্যবহার করে একটি চক্র মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করছে। তাঁরা ফোন করে অভিযোগ নিষ্পত্তি করে দেওয়ার কথা বলে টাকা দাবি করছে। তিনি বলেন, দুদক পরিচয়ে কোনো ফোন এলে নিশ্চিতভাবে বুঝতে হবে এটি প্রতারণা।
আজ সোমবার বেলা তিনটায় রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদক প্রধান কার্যালয়ে নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
আক্তার হোসেন বলেন, ‘কারও কাছে যদি দুদক পরিচয়ে কল আসে, নিশ্চিতভাবে আপনি ধরে নেবেন এটা প্রতারক চক্রের কাজ। কারণ, দুদকের কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারীর কাছে যদি কোনো অভিযোগ আসে, ওই অভিযোগের অনুসন্ধানের বিষয়ে কখনোই আপনাকে কল দেবে না। অবশ্যই আপনাকে রেকর্ডপত্র সংগ্রহের জন্য বা বক্তব্য প্রদানের জন্য লিখিতভাবে অনুরোধ করবে। ফোন করে কখনোই আপনাকে দুদকে আসার জন্য বলবে না। দুদক কখনো বলবে না, আপনি আসেন, আপনার সমস্যা নিষ্পত্তি করে দেব। এই ধরনের কোনো কিছুই কখনো বলবে না।’
আক্তার হোসেনের ছবি ব্যবহার করে হোয়াটসঅ্যাপে অ্যাকাউন্ট খুলে প্রতারণা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি নিজেই। আক্তার হোসেন বলেন, ‘দুদক চেয়ারম্যান ও মহাপরিচালকদের ছবি ব্যবহার করে, বিশেষ করে আমার সংবাদ সম্মেলনের ছবি ব্যবহার করে হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে। ওই অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে বিভিন্ন স্থানে দুদক পরিচয় দিয়ে প্রতারণা করা হচ্ছে। হোয়াটঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট কিংবা ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খুলে সাধারণ নাগরিক বা সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নানাভাবে প্রতারণা করা হচ্ছে। এ–সংক্রান্ত বেশ কিছু অভিযোগ আমাদের কাছে এসেছে।’
এ ধরনের অভিযোগ নজরে এলে দুদকের জেলা কার্যালয়, সমন্বিত কার্যালয় বা প্রধান কার্যালয় বা হটলাইন নম্বর ১০৬-তে যোগাযোগ করার অথবা নিকটস্থ থানায় যোগাযোগ করার অনুরোধ জানান এই দুদক মহাপরিচালক। তিনি বলেন, প্রতারক চক্রের বিষয়ে দুদক ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব যবহ র কর
এছাড়াও পড়ুন:
তৃতীয় পক্ষের অ্যাপে মোবাইল প্যাকেজ ওভার চার্জিং
বিকাশের মতো তৃতীয় পক্ষের প্ল্যাটফর্মে উচ্চ মূল্যে মোবাইল ইন্টারনেট প্যাকেজ বিক্রির অভিযোগ এসেছে। ‘মোবাইল প্যাকেজ ওভার চার্জিং: এ কল ফর রেগুলেটরি অডিট অ্যান্ড কনজিউমার প্রোটেকশন’ শীর্ষক প্রতিবেদনে মোবাইল অপারেটর অ্যাপে তালিকাভুক্ত দাম এবং বাহ্যিক চ্যানেলের মাধ্যমে চার্জ করা মূল্যের মধ্যে উল্লেখযোগ্য অসঙ্গতি পাওয়া গেছে।
প্রধান উপদেষ্টার তথ্য প্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমেদ তৈয়্যব এ তথ্য ফেসবুকে জানিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে প্যাকেজগুলো অনুমোদিত মূল্যের চেয়ে ২০ শতাংশ থেকে ৮০ শতাংশ বেশি হারে বিক্রি হয়েছিল। মোবাইল অপারেটরের নিজস্ব অ্যাপে ৩০ দিনের ৪৫ জিবি ডেটা প্যাকের দাম ছিল ৪৯৭ টাকা, কিন্তু একই প্যাকটি বিকাশের মাধ্যমে ৫৯৮ টাকায় বিক্রি হয়েছে, যা ২০ শতাংশ বৃদ্ধি।
১৯৮ টাকায় তালিকাভুক্ত একটি ৭ দিনের ২৫ জিবি প্যাক বিকাশের মাধ্যমে একই দামে ২০ জিবি প্যাক হিসাবে বিক্রি হয়েছিল, যা ৮০ শতাংশ ওভারচার্জ।
২২৭ টাকা মূল্যের একটি সাত দিনের ৪০ জিবি প্যাক বিকাশে একই মূল্যের জন্য ৩৫ জিবি কমিয়ে দেওয়া হয়েছে, যা ভিত্তি মূল্যের তুলনায় ৭০ শতাংশ বৃদ্ধি।
৭ দিনের ১০ জিবি এবং ৩-দিনের ৫ জিবি বিকল্পগুলোসহ অন্যান্য প্যাকেজগুলোও ৫৫ শতাংশ থেকে ৫৮ শতাংশ অতিরিক্ত চার্জে বিক্রি হয়েছে।
ফয়েজ আহমেদ লেখেন, বিটিআরসিতে সিস্টেমস অ্যান্ড সার্ভিসেস বিভাগের অধীনে একটি সুষ্পষ্ট প্রাইসিং রেগুলেশন রয়েছে। তার তোয়াক্কা না করে ২০ শতাংশ থেকে ৮০ শতাংশ পর্যন্ত প্রাক্কলন অতিরিক্ত মূল্য আদায় গ্রাহকস্বার্থ ও রাষ্ট্রের সার্বিক স্বার্থবিরোধী বলেই বিবেচিত হওয়া উচিত। বিষয়টি প্রমাণিত হলে সংশ্লিষ্টদের রেগুলেটরি শাস্তির মুখোমুখি করা দরকার বলে।