নিলামে রেকর্ড দামে বিক্রি টাইটানিক যাত্রীর চিঠি
Published: 28th, April 2025 GMT
টাইইটানিক জাহাজের একজন যাত্রীর লেখা একটি চিঠি নিলামে রেকর্ড দামে বিক্রি হয়েছে। প্রত্যাশার তুলনায় অনেক বেশি দামে বিক্রি হয়েছে চিঠিটি। একজন বেনামী ক্রেতা ৩ লাখ ব্রিটিশ পাউন্ড বা ৪ লাখ মার্কিন ডলারে এই চিঠি কিনে নেন। বাংলাদেশি মুদ্রায় এই নিলাম মূল্য প্রায় ৪ কোটি ৮৮ লাখ টাকা (প্রতি ডলার ১২২ টাকা ধরে)।
যুক্তরাজ্যের উইল্টশায়ারের হেনরি অ্যালড্রিজ অ্যান্ড সন নিলাম হাউসে গত রোববার এই নিলাম অনুষ্ঠিত হয়। তবে এটির যে দাম আশা করা হয়েছিল, তার চেয়ে পাঁচ গুণ বেশিতে বিক্রি হয়েছে। দাম প্রত্যাশা করা হয়েছিল ৬০ হাজার পাউন্ড। হাতে লেখা এই চিঠি যিনি কিনেছেন, তিনি নিজের নাম প্রকাশ করেননি। খবর বিবিসি’র।
টাইটানিক জাহাজ ডুবে যাওয়ার পাঁচ দিন আগে, অর্থাৎ ১৯১২ সালের ১০ এপ্রিল কর্নেল আর্চিবল্ড গ্র্যাসি নামের একজন যাত্রী টাইটানিকের প্রথম শ্রেণির কেবিন সি৫১ নম্বরে বসে চিঠিটি লিখেছিলেন। সেদিনই তিনি যুক্তরাজ্যের সাউদাম্পটন থেকে টাইটানিকে চড়েছিলেন। পরদিন ১১ এপ্রিল (১৯১২) আয়ারল্যান্ডের কুইন্সটাউনে জাহাজটি ডক করার সময় তিনি এটি পোস্ট করেছিলেন।
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে যাওয়ার পথে পাঁচ দিনের মাথায় জাহাজটি উত্তর আটলান্টিকে আইসবার্গ তথা হিমশৈলের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে ডুবে যায়। তাতে জাহাজের ২ হাজার ২০০ যাত্রী ও ক্রুর মধ্যে দেড় হাজারের বেশি লোক মারা যান।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ট ইট ন ক
এছাড়াও পড়ুন:
গাজীপুরে গ্যাস সিলিন্ডার লিকেজের আগুনে পাঁচজন দগ্ধ
গাজীপুরে একটি বাড়িতে গ্যাস সিলিন্ডারের লিকেজের আগুনে পাঁচজন দগ্ধ হয়েছেন। গতকাল রোববার রাত আটটার দিকে নগরের মোগরখাল মোল্লা মার্কেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। দগ্ধদের ঢাকার জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গাজীপুর নগরের মোগরখাল মোল্লা মার্কেট এলাকার একটি বাসায় গতকাল রাত আটটার দিকে পারভিন আক্তার নামের এক নারী রান্না করছিলেন। এ সময় গ্যাস সিলিন্ডার লিকেজ থেকে হঠাৎ আগুন ধরে যায়। এতে পারভিনসহ পাঁচজন দগ্ধ হন। তাঁদের প্রথমে গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে তাঁদের ঢাকার জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে স্থানান্তর করা হয়।
দগ্ধ অন্য চারজন হলেন সীমা আক্তার (৩০), তাসলিমা আক্তার, পারভিন আক্তারের দেড় বছরের ছেলে আয়ান, শেফালী বেগম (৪০) ও তাঁর মেয়ে তানজিলা।
বাসন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কায়সার আহমেদ বলেন, গ্যাস লিকেজ থেকে আগুনে পাঁচজন দগ্ধ হয়েছেন। তাঁদের উদ্ধার করে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে ওসি জানান, তাসলিমার শরীরের ৯৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। এ ছাড়া দুজন ৯০ শতাংশ, একজন ৩২ শতাংশ ও অন্য একজন ২৮ শতাংশ দগ্ধ হয়েছেন।