চীনের বিশ্বখ্যাত বৈদ্যুতিক যানবাহন প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান হুয়াইহাই গ্লোবাল হোল্ডিং গ্রুপ তাদের ইলেকট্রিক স্কুটার ন্যামস মোটরস লিমিটেডের সহযোগীতায় বাংলাদেশে যাত্রা শুরু করেছে।

আধুনিক এবং পরিবেশবান্ধব ব্যক্তিগত পরিবহন ব্যবস্থার অগ্রণী প্রতিষ্ঠান হুয়াইহাই গ্লোবাল বাংলাদেশের বাজারে তাদের সর্বাধুনিক প্রযুক্তির স্পার্কি ও ই-থান্ডার মডেলের দুইটি ইলেকট্রিক স্কুটার আনুষ্ঠানিকভাবে বাজারজাত শুরু হয়েছে। এই ইলেকট্রিক স্কুটারগুলো ব্যবহারের মাধ্যমে বাংলাদেশে জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহার হ্রাস পাবে যা সবুজ বাংলাদেশ গড়তে সহায়তা করবে।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) উত্তরায় ন্যামস মোটরস লিমিটেডের ফ্ল্যাগশিপ শোরুম স্পার্কি এবং ই-থান্ডার বিপণন ও বিক্রি শুরু হয়েছে। ন্যামস মোটরস লিমিটেড থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

উত্তরায় ন্যামস মোটরসের ফ্ল্যাগশিপ শোরুম উদ্ভোধন এবং দুটি ইলেকট্রিক স্কুটারের উদ্ধোধনী অনুষ্ঠানে হুয়াইহাই গ্লোবাল হোল্ডিং গ্রুপ এশিয়া বিজনেস ডিভিশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট ডি মেং প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়া অনুষ্ঠানে বিভিন্ন সামাজিক ও ব্যবসায়িক ব্যক্তিত্বসহ ন্যামস মোটরস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশের গ্রাহকদের পরিবেশবান্ধব, কার্যকর, আধুনিক ডিজাইন এবং সাশ্রয়ী ব্যক্তিগত পরিবহনের ক্রমবর্ধবান চাহিদা পূরণে এই ইলেকট্রিক স্কুটারগুলো বিশেষভাবে তৈরি করা হয়েছে। বর্তমানে জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি, যানজটের ক্রমাগত অবনতি এবং পরিবেশগত উদ্বেগের প্রেক্ষাপটে, স্পার্কি এবং ই-থান্ডার প্রতিদিনের যাতায়াতের জন্য একটি আধুনিক উন্নত প্রযুক্তির পরিবেশবান্ধব বিকল্প পরিবহন হিসেবে আবির্ভুত হয়েছে। উচ্চ প্রযুক্তি সম্পন্ন লিথিয়াম-আয়ন ও গ্রাফাইন ব্যাটারি সংযুক্ত এই স্কুটারগুলো একবার ফুল চার্জ দিলে ১২৫ কিলোমিটার পর্যন্ত চলতে পারে এবং ৪ থেকে ৫ ঘন্টার মধ্যেই সম্পূর্ণ চার্জ হয়ে যায়।

ন্যামস মোটরস লিমিটেডের পরিচালক মেজর জেনারেল এ কে এম আবদুর রহমান বলেন, “আমরা অত্যন্ত আনন্দিত, এমন একটি ব্যক্তিগত বাহন বাংলাদেশের গ্রাহকদের সাথে পরিচয় করিয়ে দিতে পেরেছি যা কার্বন নিঃসরণ হ্রাসের পাশাপাশি গ্রাহকদের আধুনিক ও সাশ্রয়ী বাহন ব্যবহারের সুযোগ করে দেবে।”

ঢাকা/এনটি/এসবি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

রেজওয়ানকে বাঁচাতে মা দিতে চান কিডনি, নেই প্রতিস্থাপনের অর্থ

রাজধানীর গ্রিন ইউনিভার্সিটির টেক্সটাইল বিভাগের চতুর্থ সেমিস্টারের শিক্ষার্থী রেজওয়ান হোসেন। গত মার্চে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ভর্তি করা হয় ঢাকা ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব কিডনি ডিজিজেস অ্যান্ড ইউরোলজি হাসপাতালে। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে চিকিৎসক জানান, রেজওয়ানের দুটি কিডনিই নষ্ট হয়ে গেছে। অবিলম্বে একটি কিডনি প্রতিস্থাপন করা না গেলে তাঁকে বাঁচানো সম্ভব হবে না।

ছেলেকে বাঁচাতে মা পারুল রেখা একটি কিডনি দেবেন বলে জানিয়েছেন। তবে কিডনি প্রতিস্থাপনে প্রয়োজন প্রায় ১২ লাখ টাকা। রেজওয়ানের অসচ্ছল পরিবারের পক্ষে এই অর্থ জোগান দেওয়া সম্ভব নয়। ছেলেকে বাঁচাতে তাই সমাজের বিত্তবানদের কাছে সহায়তার আবেদন জানিয়েছেন পারুল।

রেজওয়ানের বাড়ি সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া পশ্চিমপাড়া গ্রামে। তার বাবা আনোয়ার হোসেন অল্প বেতনে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। মা বলেন, ছেলেকে বাঁচাতে নিজের একটা কিডনি দেব। কিন্তু প্রতিস্থাপনের টাকা জোগাড় করতে পারছি না। চোখের সামনে ছেলে ধুঁকে ধুঁকে মারা যাবে–এটা মা হয়ে কীভাবে মেনে নেব? এখন দেশের হৃদয়বান ব্যক্তিরা এগিয়ে এলে ছেলেকে বাঁচাতে পারব।

রেজওয়ানকে সহযোগিতা করতে ০১৭৭৩৩৫৮৪১৭ নম্বরে যোগাযোগ করা যাবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ