বইবিষয়ক পত্রিকা ‘এবং বই’-এর আয়োজনে বুক রিভিউ প্রতিযোগিতা ২০২৫ এর পুরস্কার বিতরণ ও আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের সেমিনার কক্ষে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলা একাডেমির সভাপতি ও রাষ্ট্রচিন্তক অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক।

বিশেষ অতিথি ছিলেন লেখক ও গবেষক আলতাফ পারভেজ, কিশোরগঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার নায়লা ইয়াসমিন ও সাংবাদিক, গবেষক ড.

কাজল রশীদ শাহীন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এবং বই সম্পাদক ও প্রকাশক ফয়সাল আহমেদ।

এই প্রতিযোগিতায় নির্ধারিত ছিল কথাসাহিত্যিক ও গবেষক আবদুর রউফ চৌধুরীর ‘রবীন্দ্রনাথ: চির-নূতনেরে দিল ডাক’, ও ‘নজরুল : সৃজনের অন্দরমহল’ নামের দুটো বই।

রিভিউয়ে অংশ নেওয়া সেরা দশজন বিজয়ীর হাতে প্রায় ৬০ হাজার টাকার পুরস্কার তুলে দেন অথিতিরা। এর মধ্যে ছিল প্রথম পুরস্কার দুটি ১০ হাজার টাকা, দ্বিতীয় পুরস্কার দুটি ৫ হাজার টাকা ও তৃতীয় পুরস্কার দুটি ৩ হাজার টাকা করে। এছাড়া নির্বাচিত সেরা ৪ জনকে ২ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়। নগদ অর্থমূল্যের সঙ্গে প্রথ্যেককে এক হাজার টাকা করে সমমূল্যের বই ও উত্তরীয় দেওয়া হয়।

অয়োজনের বিজয়ীরা হলেন-‘রবীন্দ্রনাথ: চির-নূতনেরে দিল ডাক’ গ্রন্থে সুমন মজুমদার (প্রথম), পলাশ মজুমদার (দ্বিতীয়), কবীর আলমগীর (তৃতীয়), ইলিয়াস বাবর (বিশেষ) ও সিদ্দিকী হারুন (বিশেষ)। ‘নজরুল : সৃজনের অন্দরমহল’ গ্রন্থে নার্গিস সুলতানা (প্রথম), জাকিয়া সুলতানা (দ্বিতীয়), শাহাদাত মাহমুদ সিদ্দিকী (তৃতীয়), রাকিবুল রকি (বিশেষ) ও জোবায়ের মিলন (বিশেষ)।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি অধ্যাপক আবুল কাশেম ফজলুল হক বলেন, এবং বই বইয়ের সমালোচনা প্রকাশ করছে এটা ভালো উদ্যোগ। যারা সমালোচনা লিখেন তাদের মনে রাখতে হবে এই ভাষায় বিদ্যাসাগর লিখেছেন, বঙ্কিমচন্দ্র, রবীন্দ্রনাথ, শরৎচন্দ্র লিখেছেন, বেগম রোকেয়া, এস ওয়াজেদ আলী লিখেছেন। তাদেরই উত্তরাধীকারী আমরা। এই অবস্থা থেকে আমরা নিচে নেমে গেছি। আমাদেরকে ওপড়ে ওঠতে হবে। যারা সমালোচনা লিখবেন তারা তাদের নিজের মত অনুযায়ীই লিখবেন, কিন্তু অন্যদের মত বিবেচনায় রাখবেন।

লেখক ও গবেষক আলতাফ পারভেজ বলেন, এখন যদি একটি সার্ভে হয় যে রবীন্দ্রনাথ-নজরুলের বই পড়েছি কিনা? প্রতি একশো জনে একজন পাওয়া যাবে। যদি বলি টলস্টয় পড়েছি কিনা? হয়তো এক হাজার জনে একজন পাওয়া যাবে। তরুণদের কথা বাদই দিলাম, আমি বয়স্কদের সঙ্গে আলাপ করে দেখেছি এই সময়ে প্রধান আলোচ্য বিষয় হচ্ছে, ইট-বালু-সিমেন্ট-কাঠ। এখানে বই, সিনেমা, গান, ছবির প্রদর্শনী কী হচ্ছে এসব নিয়ে কনসার্ন নেই।

কিশোরগঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার নায়লা ইয়াসমিন বলেন, যখন আমরা ক্রমশ বই থেকে দূরে সড়ে যাচ্ছি, ছোট্ট ছোট্ট লেখা পড়ছি, রিলস্ দেখে সময় কাটাচ্ছি। যেখানে চিন্তার জগৎটাই ছোট হয়ে আসছে। এমন একটা সময়ে এই আয়োজন করে এবং বই অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। এবং বইকে ধন্যবাদ জানাই।

সাংবাদিক, গবেষক ড. কাজল রশীদ শাহীন বলেন, প্রতিযোগিতার জন্য নির্বাচিত দুটো বই-ই গবেষণামূলক। যার একটি কাজী নজরুল ও অপরটি রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে। আমরা সাধারণত দেখি একজন লেখক যে কোনো একটি বিষয়কে নিয়েই গবেষণা করেন, কিন্তু এখানে ব্যতিক্রম লেখক আবদুর রউফ চৌধুরী। যিনি নজরুল এবং রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে দুটো বড়ো ধরণের গবেষণা গ্রন্থ রচনা করেছেন। প্রচলিত ধারার প্রতিষ্ঠানিক গবেষণা থেকে বেরিয়ে এসে লেখক একটি নিজস্ব ও সতন্ত্র ধারায় বই দুটি লিখেছেন। এবং বই বুক রিভিউর জন্য এই বই দুটিকে নির্বাচন করে একটি মাইলফলক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।

এবং বই সম্পাদক ও প্রকাশক ফয়সাল আহমেদ বলেন, প্রথমবারের মতো এবং বই এই আয়োজন করেছে, ভুল- ত্রুটি থাকা অস্বাভাবিক কিছু নয়। এটি একটি কঠিন কাজ ছিল। প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী ও উপস্থিত সুধীজন সকলকে ধন্যবাদ জানান তিনি। বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানান লেখক আবদুর রউফ চৌধুরীর পুত্র ড. মুকিদ চৌধুরীকে এই আয়োজনে এবং বই এর পাশে থাকার জন্য।

পুরস্কার জয়ী নার্গিস সুলতানা প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে বলেন, আমি এবং আমার মেয়ে এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছি। মেয়ের উৎসাহেই মুলত আমার বুক রিভিউ লেখা। সুন্দর আয়োজনের জন্য এবং বইকে ধন্যবাদ জানাই।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে কথাশিল্পী মনি হায়দার, মুক্তিযুদ্ধ গবেষক সত্যজিৎ রায় মজুমদার, প্রকাশক হাসান তারেক, ঔপন্যাসিক মাসউদ আহমাদ, শামস সাইদ, ভ্রমণ লেখক গাজী মনসুর আজিজ ও কবি মাজহার সরকার, এবং বুক রিভিউ প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া পুরস্কারপ্রাপ্তরা উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা/এসবি

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অন ষ ঠ ন প রস ক র র জন য নজর ল

এছাড়াও পড়ুন:

দাউদ হায়দার: কবির দেশ ছাড়ার কষ্ট

সময়টা আশির দশক; এরশাদের সামরিক শাসন চলছে। প্রতিবাদে চলছে রাজপথে আন্দোলন! কৈশোর থেকে আমাদের উত্তরণ ঘটছে তারুণ্যে। ছড়া লিখছি স্থানীয় পত্রপত্রিকায়! বরিশাল শহরের সাংস্কৃতিক সংগঠন বরিশাল কবিতা পরিষদ, অক্ষর সাহিত্য পরিষদের সব আসরে নিয়মিত আমিও। পড়ছি কবিতা কবিতা আর কবিতা!

আমরা তখনই নাজিম হিকমাত পড়ি! শামসুর রাহমান, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, শক্তি চট্টোপাধ্যায়, জয় গোস্বামী, শহীদ কাদরী, আবুল হাসান, আসাদ চৌধুরী, রফিক আজাদ, রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ আমাদের নিত্যসঙ্গী। আর ছিলেন দাউদ হায়দার।

দাউদ হায়দারের নাম বিশেষভাবে উচ্চাতি হতো। কারণ, কবিতা লেখার অপরাধে তাঁকে মাতৃভূমি ছাড়তে হয়েছিল! এ ছাড়া লিখেছিলেন নতুন জন্ম নেওয়া বাংলাদেশের নতুন কবিতা! ‘জন্মই আমার আজন্ম পাপ’ কবিতার বইটি যেন স্বাধীনতাউত্তর বাংলাদেশের প্রতিচ্ছবি। দাউদ হায়দারের গদ্যও অসাধারণ তাঁর কবিতার মতো। আমরা যারা সাংবাদিক দাউদ হায়দারের কলাম পড়তাম, তারা জানি কত সহজে তিনি শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতি, রাজনীতি নিয়ে লিখতে পারতেন।

দৈনিক সংবাদের সাহিত্য পাতায় প্রকাশিত কবিতায় ধর্মবিরোধিতার অভিযোগে ১৯৭৩ সালে দাউদ হায়দারকে প্রথমে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে গোপনে একটি বিমানে একমাত্র যাত্রী হিসেবে কলকাতায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়। দেশছাড়া দাউদ হায়দারকে কলকাতায় আশ্রয় দিয়েছিলেন কবি ও লেখক অন্নদাশঙ্কর রায়; নিজের সেক্রেটারি হিসেবে নিয়োগ দিয়ে। 
শোনা যায়, সেই আশ্রয়ের ব্যবস্থা করেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বয়ং!

এ সময় কলকাতা আসেন জার্মান কবি ও কথাশিল্পী গুন্টার গ্রাস। এ উপলক্ষে যে সাহিত্যের আয়োজন, তার পুরো দায়িত্বে ছিলেন অন্নদাশঙ্কর রায়। তিনি গ্রাসকে বলেন, দাউদ হায়দারকে জার্মানিতে আশ্রয় দেওয়া যায় কিনা। গুন্টার গ্রাস জার্মানিতে ফিরে সেখানকার সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে দাউদকে জার্মানিতে বসবাসের ব্যবস্থা করেন।
জার্মানিতে প্রথমে দাউদ হায়দার গ্রন্টার গ্রাসের প্রাইভেট সেক্রেটারি ছিলেন কিছুদিন। তারপর ডয়চে ভেলে রেডিওতে চাকরি নেন।
২০০৭ সালে আমার ফ্রাঙ্কফুর্ট বইমেলায় আমন্ত্রিত প্রকাশক হিসেবে অংশগ্রহণের সুযোগ হয়। কবি শামসুর রাহমান ও গুন্টার গ্রাসের বড় আকারের পোস্টার ছেপে নিয়ে যাই। সেখানে খোদ গুন্টার গ্রাসের সঙ্গে দেখা হবে– কল্পনাতেও ছিল না। কিন্তু সেই সুযোগ করে দেন এমন আরেকজন, যাঁর সঙ্গে দেখা হওয়াও কল্পনায় ছিল না।

ফ্রাঙ্কফুর্ট বইমেলার আমন্ত্রিত প্রকাশদের জন্য ৬ দিন নানা সেমিনার কর্মসূচিতে থেকে ক্লান্ত আমি যখন বাংলা বলার লোক খুঁজে পাচ্ছি না, তখন এক সকালে ক্যাপ পরিহিত এক ভদ্রলোকের সঙ্গে দেখা মেলা সেন্টারে! দেখেই চিনে ফেলি তাঁকে! বলি, আপনি তো মনে হচ্ছে কবি দাউদ হায়দার! নিজেই নিজের পরিচয় তুলে ধরি তাঁর কাছে! কিন্তু তিনি কোনো কারণে চটে ছিলেন। বললেন, দেশে এত বড় বড় প্রকাশক থাকতে আপনি কোন ধান্দা করে এখানে চলে এলে! আমি উত্তর দেওয়ার কোনো ভষা খুঁজে পেলাম না! পাল্টা মেজাজ দেখিয়ে বললাম, এরা ছোট প্রকাশকদের ট্রেনিং দেয় বই প্রকাশনা নিয়ে। তাই সব সময় বড় প্রকাশকদের ডাকে না। উত্তরে তিনি সন্তুষ্ট হয়েছিলেন বলে মনে হলো না। আমারও মনে হয়েছিল, প্রবাসী এই কবির সঙ্গে বোধ হয় এখানেই ইতি।

অবাক করার বিষয়, পরদিন সকালেই দাউদ হায়দার এলেন শ্রাবণ প্রকাশনীর স্টলে। আমাদের বইপত্র দেখে দারুণ খুশি। তিনি নিজে থেকে বললেন, রবীন, আমি দুঃখিত আপনাকে গতকাল বাজেভাবে বকেছি! কবি দাউদ হায়দার হয়ে উঠলেন ‘দাউদ ভাই’। অন্য কথায় বন্ধু দাউদ হায়দার। হোয়াইট ওয়াইন হাতে প্রতিদিন স্টলে আসেন; প্রবাসী বাঙালি লেখক-পাঠকদের সঙ্গে চলে মজার আড্ডা। 
একদিন দুপুরে দাউদ ভাই এসে বলেন, রবীন, আপনি কি গুন্টার গ্রাসের সঙ্গে মিট করতে চান? আমি বললাম, বলেন কী! চাই না মানে! কিন্তু এও কি সম্ভব? দাউদ ভাই বললেন, গুন্টার গ্রাস বইমেলার জন্য এসেছেন। পাশের একটা হোটেলে আছেন। তাঁর সেক্রেটারির সঙ্গে কথা হয়েছে। আগামীকাল খুব সকালে যেতে হবে। সেই সঙ্গে গুন্টার গ্রাসের পোস্টার নিয়ে আপনিও চলুন।
অনেক সকালে উঠতে হবে শুনে আমার রাতের ঘুম হারাম হয়ে গেল। রাতে আর ঘুমালাম না। সকালে পোস্টার নিয়ে ট্রেনে চলে এলাম ম্যাসেসেন্টারে। গুন্টার গ্রাসের দুই সেক্রেটারি পোস্টারটা দেখলেন। তারপর আমাদের দু’জনকে নিয়ে হোটেলের মধ্যে নিয়ে গেলেন। একটা টেবিলে তখন সকালের নাশতা খাচ্ছিলেন গ্রাস। দাউদ ভাই আমার পরিচয় করিয়ে দিলেন বাংলাদেশের তরুণ প্রকাশক ও লেখক হিসেবে। আমার তখন নোকিয়া বাটন ফোন ছিল। কয়েকটা ছবি তুলে দিলেন গুন্টার গ্রাসের একজন সেক্রেটারি। তিনি তখনও নোবেল পাননি। বাংলাদেশ ভ্রমণের স্মৃতি শেয়ার করলেন সেই ছোট্ট সাক্ষাতে। আমি বলতে গেলে কোনো কথাই বললাম না। দুই গুণী মানুষের পাশে বসে শুধু শুনছিলাম।

ফ্রাঙ্কফুর্ট বইমেলার শেষ চার দিন দাউদ ভাইয়ের জন্য হয়ে উঠল অনেক আনন্দের! গুন্টার গ্রাসের সঙ্গে ছবি তুলে এনে আয়োজকদের দেখালাম। ওরাও খুব খুশি! একজন বললেন, কীভাবে সম্ভব হলো, রবীন? আমি বললাম, আমাদের দেশের নামকরা কবি-সাংবাদিক দাউদ হায়দার গুন্টার গ্রাসের বন্ধু! 
সেবার দাউদ হায়দারের দেশ থেকে বের করে দেওয়া বোহেমিয়ান জীবন নিয়ে কোনো প্রশ্ন করলাম না। কারণ তো কিছুটা জানি। বাংলাদেশের বই, লেখকসহ নানা বিষয়ে দাউদ ভাইয়ের সঙ্গে গল্প চলতে থাকে। একজন নিঃসঙ্গ প্রবাসে থাকা কবির সব কথা শোনার মতো বয়সও আমার হয়নি। তাঁর ছোট ভাইয়ের মতো থাকতে ভালো লাগত। দাউদ হায়দারের বড় ভাই রশীদ হায়দার ভাইয়ের সঙ্গে আমার ভালো সম্পর্ক ছিল– এটা শুনে অনেক খুশি হয়েছিলেন।  

দাউদ ভাই দেশে ফিরতে চাইতেন। বলতেন, দেশ তো মায়ের মতো। একটা বেদনা তাঁর সব সময় ছিল। আমিও ভাবি, মাত্র ১০ দিন দেশ ছেড়ে আমি বিদেশের মাটিতে পাগল হয়ে যাওয়ার মতো অবস্থা। পেট ভরে সাদা ভাত-ডাল খাব, তাও কোথাও পাই না। আর এই কবি মা-বাবা, ভাই-বোন ছাড়া বছরের পর বছর আছেন কী করে!
দেশ ছেড়ে, মা ছেড়ে থাকার কষ্টের কথা দাউদ হায়দার কবিতায় লিখে গেছেন ১৯৮৩ সালে; কলকাতায় অবস্থানকালে।
‘মাঝে মাঝে মনে হয়
অসীম শূন্যের ভিতরে উড়ে যাই। 
মেঘের মতন ভেসে ভেসে, একবার
বাংলাদেশ ঘুরে আসি। 
মনে হয়, মনুমেন্টের চুড়োয় উঠে 
চিৎকার করে
আকাশ ফাটিয়ে বলি:
দ্যাখো, সীমান্তের ওইপারে আমার ঘর
এইখানে আমি একা, ভিনদেশী।’
(তোমার কথা, দাউদ হায়দার)

রবীন আহসান: কবি ও প্রকাশক

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সন্ত্রাসীদের হাত থেকে তরুণকে বাঁচাতে গিয়ে গুলিতে নিহত যুবদল কর্মী
  • ৯ জেলায় বজ্রপাতে ১৫ জনের মৃত্যু
  • ৭ জেলায় বজ্রপাতে ১৩ জনের মৃত্যু
  • ৬ জেলায় বজ্রপাতে ১২ জনের মৃত্যু
  • ভারতে পুলিশ বাহিনীর সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সদস্যের ওপর হামলা
  • আর্নে স্লট: কিংবদন্তির জায়গা নিলেন এবং নিজেই কিংবদন্তি হয়ে গেলেন
  • পেহেলগামের ঘটনায় একের পর এক বাড়ি ধ্বংস, সরকারকে সতর্ক করল কাশ্মীরের দলগুলো
  • গাজীপুরে গ্যাস সিলিন্ডার লিকেজের আগুনে পাঁচজন দগ্ধ
  • দাউদ হায়দার: কবির দেশ ছাড়ার কষ্ট