শ্রীলঙ্কা সফরের প্রথম ওয়ানডেতে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়েছিল বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ব্যাটিং লাইন আপ। কলম্বো ক্রিকেট ক্লাব মাঠে গত শনিবার লঙ্কান যুবাদের দেওয়া ২৪২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১৪৩ রানে অলআউট হয়েছিল বাংলাদেশের যুবারা, হেরেছিল ৯৮ রানে।

কিন্তু এই বাংলাদেশ কেন অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের টানা দুইবারের চ্যাম্পিয়ন, সেটা প্রমাণ করতে খুব বেশি সময় নিল না। একই মাঠে আজ দ্বিতীয় ওয়ানডেতে শ্রীলঙ্কাকে উড়িয়ে দিয়ে ছয় ম্যাচের সিরিজে ১-১ সমতা আনল আজিজুল হাকিমের নেতৃত্বাধীন দল।

বাংলাদেশ পেসার আল ফাহাদের তোপে ৪৮.

৫ ওভারে ২১১ রানে গুটিয়ে যায় শ্রীলঙ্কা। ফাহাদ ৪৪ রানে নেন ৬ উইকেট, যা যুব ওয়ানডেতে তাঁর ক্যারিয়ারসেরা বোলিং। জবাবে ওপেনার জাওয়াদ আবরারের সেঞ্চুরি ও অধিনায়ক আজিজুল হাকিমের ফিফটিতে ৯ উইকেট ও ৯৩ বল বাকি থাকতেই লক্ষ্য টপকে গেছে বাংলাদেশ।

১৪ চার ও ৬ ছক্কায় ১০৬ বলে ১৩০ রানে অপরাজিত থাকেন জাওয়াদ। তাঁর সঙ্গে আজিজুল ৮৯ বলে ৬৯ রান করে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন।

দুজন ১৮০ রানে অবিচ্ছিন্ন থাকেন। এখন এটাই যুব ওয়ানডেতে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ। জাওয়াদ ও আজিজুল আজ ভেঙেছেন লিটন দাস ও এনামুল হক বিজয়ের প্রায় ১৩ বছর পুরোনো রেকর্ড। বর্তমানে বাংলাদেশ জাতীয় দলের দুই উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান ২০১২ সালে টাউন্সভিলে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় উইকেটে ১৭৯ রানের জুটি গড়েছিলেন।

জাওয়াদ আজ এককভাবেও একটি রেকর্ড নিজের করে নিয়েছেন। তাঁর ১৩০ রানের মধ্যে ৯২-ই এসেছে বাউন্ডারি থেকে, যা যুব ওয়ানডেতে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের মধ্য সর্বোচ্চ।

লিটন দাস ও এনামুল হক বিজয়ের প্রায় ১৩ বছর পুরোনো রেকর্ড ভেঙেছেন জাওয়াদ আবরার ও আজিজুল হাকিম

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আজ জ ল র কর ড উইক ট

এছাড়াও পড়ুন:

রেকর্ড তছনছ করে ১৪ বছরের বৈভবের সেঞ্চুরি

সূর্যবংশী বৈভবের বয়স নিয়ে সন্দেহ আছে। কাগজে-কলমে তার বয়স ১৪ বছর ৩২ দিন। বয়স কমালে কতই বা কমিয়েছেন তিনি? দুই বছর? তবু তো ১৬! ওই বয়সেই আইপিএলের রেকর্ড এলোমেলো করে দেওয়া এক সেঞ্চুরি করেছেন রাজস্থান রয়েলসে খেলা এই ওপেনার। 

গুজরাট টাইটান্সের ২১০ রান তাড়া করতে নেমে তরুণ এই ব্যাটার মাত্র ৩৫ বলে সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন। তাও আবার তার খেলতে নামা তৃতীয় আইপিএল ম্যাচে। ৩৫ বলে করা তার এই সেঞ্চুরি আইপিএলের দ্বিতীয় দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড। 

বৈভবের ব্যাটিংয়ের সময় মনে হচ্ছিল ক্রিস গেইলের ঝড়ো সেঞ্চুরির রেকর্ড তিনি ভেঙে দেবেন। আইপিএলে মাত্র ৩০ বলে সেঞ্চুরির কীর্তি আছে তার। দ্বিতীয় দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড ইউসুফ পাঠানের দখলে ছিল। তিনি ৩৭ বলে শতক ছুঁয়েছিলেন। 

বৈভব তার চেয়ে দুই বল কম খেলে সেঞ্চুরির দেখা পেলেন। শতরানের ইনিংস খেলার পথে ১১টি ছক্কা তোলেন এই তরুণ। চার মারেন সাতটি। শেষ পর্যন্ত আউট হন ৩৮ বলে ১০১ রান করেই। 

দুর্দান্ত এই সেঞ্চুরির পথে বৈভব ইনিংসের চতুর্থ ওভারে অভিজ্ঞ ইশান্ত শর্মাকে তিনটি ছক্কা ও দুটি চার মারেন। অর্থাৎ পাঁচ বলে বাউন্ডারি হাঁকান এই তরুণ। ইশান্ত ওই ওভারে দেন ২৮ রান। পরের ওভারে ওয়াশিংটন সুন্দরের তিন বল খেলে দুটি ছক্কা ও একটি চার মারেন তিনি। 

দশম ওভারে করিম জানাতের ৬ বলেই বাউন্ডারি হাঁকান ১৪ বছরের বৈভব। ওই ওভারে তিন ছক্কা ও তিন চার মারেন। তুলে নেন ৩০ রান। ১১তম ওভারে রশিদ খানকে ছক্কা মেরে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। আইপিএলের সব চেয়ে কম বয়সী ক্রিকেটার হিসেবে নিলামে উঠে ও দল পেয়ে আগেই রেকর্ড গড়েছেন তিনি। সবচেয়ে কম বয়সে আইপিএল খেলে রেকর্ড দখলে নিয়েছেন। এবার সবচেয়ে কম বয়সে সেঞ্চুরির বিশ্বরেকর্ডও করে ফেলেছেন বৈভব। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ