হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ খুলনা মহানগর শাখার পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিতে মাওলানা সাখাওয়াত হোসাইনকে সভাপতি এবং মুফতি গোলামুর রহমানকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) দলের নগর কমিটির প্রচার সম্পাদক হাফেজ মাওলানা ফয়জুল্লাহ সিদ্দিকী এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি জানান, রবিবার (২৮ এপ্রিল) হেফাজতে ইসলামের খুলনা মহানগর শাখার পূর্ণাঙ্গ কমিটি করার লক্ষ্যে ইসলামপুর জামে মসজিদে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। 

সভায় সভাপতিত্ব করেন মাওলানা সাখাওয়াত হোসাইন এবং পরিচালনা করেন মুফতি গোলামুর রহমান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন মহানগর সহ-সভাপতি মাওলানা নাসির উদ্দীন কাসেমী, জেলা সাধারণ সম্পাদক মুফতি আব্দুল্লাহ ইয়াহিয়া প্রমুখ। 

সভায় সর্বসম্মতিতে মহানগর শাখার পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির অন্যান্যরা হলেন, সিনিয়র সহ-সভাপতি মাওলানা নাসির উদ্দীন কাসেমী, সহ-সভাপতি মাওলানা আসয়াদুল্লাহ, মুফতি আব্দুল হাই, মাওলানা গোলাম কিবরিয়া, মুফতি ওয়াক্কাস আলী, মুফতি জিহাদুল ইসলাম, মাওলানা আব্দুস সাত্তার, মাওলানা রুহুল আমীন, সহ-সাধারণ সম্পাদক মাওলানা শরীফ সাঈদুর রহমান, মুফতি জাকির হুসাইন, মুফতি ওয়ালিউল্লাহ মাহমুদ, মাওলানা আবু সালেহ, মুফতি মিরাজ মাহমুদ, জি এম এমদাদুল হক, মুফতি আব্দুস শাকুর যশোরী, মাওলানা সিদ্দিকুর রহমান, হাফেজ সাজ্জাদ হোসেন, প্রিন্সিপাল ইমদাদুল্লাহ আজমী, মাওলানা গোলাম মাওলা, মাওলানা হাসিবুর রহমান মাদানী, সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি ইলিয়াস জাহানাবাদী, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা সাদিকুল রহমান, মাওলানা আকবর, মাওলানা আসাদুল্লাহ, মুফতি আতাউল্লাহ, মাওলানা নূর আলম, মাওলানা আবু জ্বর, হাফেজ এমদাদুল্লাহ, মুফতি জহিরুল হক, মাওলানা খালিদ সাইফুল্লাহ, মাওলানা সিফাতুল্লাহ, মুফতি হাসান জামিল, মুফতি শেখ আব্দুল্লাহ, মুফতি মঈন, মাওলানা নূর হুসাইন, প্রচার সম্পাদক মুফতি মাহমুদ, সহ-প্রচার সম্পাদক হাফেজ মাওলানা ফয়জুল্লাহ সিদ্দিকী, মাওলানা আশরাফ, মাওলানা বেলাল, মিডিয়া সম্পাদক সাংবাদিক মুহাম্মদ নুরুজ্জামান, দফতর সম্পাদক মাওলানা আবিদুর রহমান, সহ-দফতর সম্পাদক মাওলানা আবরার, হাফেজ শফিকুর রহমান, অর্থ সম্পাদক মাওলানা মাশহুদুর রহমান, সহ-অর্থ সম্পাদক মাও দ্বীন ইসলাম, আইন বিষয়ক সম্পাদক মুফতি মানজুর আহমাদ, সহ আইন বিষয়ক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, সমাজ কল্যাণ সম্পাদক মাওলানা সৈয়দ খলিলুল্লাহ, সহ-সমাজ কল্যাণ সম্পাদক মাওলানা জাহিদুল ইসলাম, মাওলানা খালিদ সাইফুল্লাহ, সাহিত্য ও সাংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক মুফতী হাফিজ বিন আশরাফ, সহ-সাহিত্য ও সাংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক খালিদ বিন রিয়াসাত ও গাজী শফিকুল ইসলাম প্রমুখ।

সভায় মহানগরের প্রতিটি থানা ও ওয়ার্ডে দ্রুত কমিটি গঠন এবং হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্র ঘোষিত আগামী ৩ মে ঢাকায় মহাসমাবেশ সফল করার লক্ষ্যে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করা হয়। 

ঢাকা/নুরুজ্জামান/বকুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ল ইসল ম র রহম ন গঠন ক

এছাড়াও পড়ুন:

ঢাবিতে পরীক্ষা ছাড়াই শূন্যপদে নিয়োগের অভিযোগ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত

একটি জাতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত ‘বিজ্ঞপ্তি ছাড়াই পছন্দের প্রার্থীকে নিয়োগ ঢাবি উপাচার্যের' শীর্ষক সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) প্রশাসন‌। ওই সংবাদটি অসত্য ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি করেছে প্রতিষ্ঠানটি।

রবিবার (২৭ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো ‘প্রকাশিত সংবাদ বিষয়ে ঢাবি কর্তৃপক্ষের বক্তব্য' শীর্ষক এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, একটি জাতীয় দৈনিকে রবিবার (২৭ এপ্রিল) প্রকাশিত ‘বিজ্ঞপ্তি ছাড়াই পছন্দের প্রার্থীকে নিয়োগ ঢাবি উপাচার্যের’ শীর্ষক সংবাদের প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়েছে। সংবাদে পরীক্ষা ছাড়াই শূন্য পদে নিয়োগের যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা অসত্য, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও বিভ্রান্তিকর।

আরো পড়ুন:

‘শহীদ পরিবারগুলোর পাশে দাঁড়াচ্ছে না অন্তর্বর্তী সরকার’

ঢাবি প্রশাসনকে রাজনীতির বাইরে রাখতে চান উপাচার্য

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, প্রকৃতপক্ষে ২০২৪ সালের ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানের পর উপাচার্যসহ প্রশাসনিক বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে পরিবর্তন আনা হয়। সে সময় উপাচার্য দফতরসহ বিভিন্ন দফতর থেকে ফ্যাসিস্ট সরকারের সহায়তাকারী ও পূর্বের প্রশাসনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বদলির জন্য শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে জোর দাবি উঠে। এ দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ফ্যাসিস্ট সরকারের সহায়তাকারী এবং পূর্বের প্রশাসনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপাচার্য দফতর থেকে অন্যত্র বদলি করা হয়েছে।

পরবর্তীতে লোকবল সংকট, দীর্ঘদিনের বিশ্বস্ততা ও কাজের দক্ষতা বিবেচনা করে উপাচার্যের বিভাগের কর্মচারী ফিরোজ শাহকে উপাচার্য দফতরে বদলি করা হয়েছে এবং তাকে প্রটোকলের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশ, ১৯৭৩ এর প্রদত্ত ক্ষমতাবলে উপাচার্য যেকোনো কর্মকর্তা-কর্মচারীকে যেকোনো সময় যেকোনো বিভাগ/দপ্তর/ইনস্টিটিউটে বদলি/প্লেসমেন্ট দিতে পারেন উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এ ক্ষমতাবলে যথাযথ নিয়ম অনুসরণ করেই ফিরোজ শাহকে উপাচার্য দফতরে বদলি করা হয়েছে। এটি কোন নতুন নিয়োগ বা পদোন্নতি নয়। একই বেতন স্কেলভুক্ত এক পদ থেকে অন্য পদে স্থানান্তর মাত্র। এ ধরনের অনেক পূর্ব নজির আছে। যেকোনো সময় তাকে উপাচার্য মহোদয়ের নিজ বিভাগে বা অন্যত্র পুনরায় বদলির সুযোগ রয়েছে।

সংবাদটি সত্যনিষ্ঠভাবে উপস্থাপন না হওয়ায় জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে বলে জানানো হয় বিজ্ঞপ্তিতে।

ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ঢাবিতে পরীক্ষা ছাড়াই শূন্যপদে নিয়োগের অভিযোগ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত