তাইজুল বললেন, ‘মনে হয় না তারা খেলা বোঝে’
Published: 28th, April 2025 GMT
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিলেট টেস্টটা পেছনে ফেলা বেশ কঠিনই হয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশের জন্য। চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম দিনে ৫ উইকেট নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে আসা তাইজুল ইসলামের জন্য আজ যেমন প্রথম প্রশ্নটাই ছিল ওই ম্যাচ নিয়ে। প্রথম ইনিংসে ১০ ওভারে ৫৩ রান দিয়ে উইকেট শূন্য থাকার পর দ্বিতীয় ইনিংসে ১০ ওভারে ৫৩ রান দিয়ে সিলেটে তিনি নিয়েছিলেন ২ উইকেট।
তাইজুলও স্বীকার করেছেন, ওই ম্যাচটা ভালো যায়নি তাঁর জন্য। তবে চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম দিনই টেস্ট ক্যারিয়ারের ১৬তম পাঁচ উইকেট পেয়েছেন। বড় রানের পথে ছুটে চলা জিম্বাবুয়ে এখন তাই দিন শেষে ৯ উইকেট হারিয়ে করেছে ২২৭ রান।
সিলেটে বাজে পারফরম্যান্সের পর চট্টগ্রামে পাঁচ উইকেট পাওয়া কতটা স্বস্তির? উত্তরে তাইজুল বললেন, ‘এটা সন্তুষ্টির বিষয়। কারণ একটা খেলোয়াড় যখন ৫০টা টেস্ট খেলে ফেলবে, সিলেটে যেভাবে আমি বল করেছি, সেটা ভালো ছিল না। নিজেকে ফিরে পেয়েছি, এটা একটা ভালো লাগার বিষয়। সবচেয়ে বড় জিনিস হচ্ছে দলকে আমি সাহায্য করতে পেরেছি।’
৫ উইকেট নেওয়ার পর মাঠ ছাড়ছেন তাইজুল ইসলাম.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
গতকালের বক্তব্যে রোহিঙ্গাদের জন্য ‘নিরাপদ অঞ্চল’ গড়ার কথা বোঝাতে চেয়েছি: জামায়াত নেতা তাহেরের বিবৃতি
ঢাকা সফররত চীনের কমিউনিস্ট পার্টির প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকে গতকাল রোববার জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে মিয়ানমারের আরাকানে সংখ্যাগরিষ্ঠ রোহিঙ্গাদের এলাকায় ‘ইনডিপেনডেন্ট আরাকান স্টেট’ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়। বৈঠকের পর এ কথা জানিয়েছিলেন দলটির নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের। তবে আজ সোমবার এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, ‘আমি যে বক্তব্য দিয়েছি, তাতে মূলত বাংলাদেশে আসা রোহিঙ্গাদের সম্মানজনক ও নিরাপদভাবে তাঁদের নিজ দেশে প্রত্যাবর্তন করার ব্যবস্থা ও তাঁদের জন্য একটি নিরাপদ অঞ্চল গড়ে তোলার বিষয়টি বোঝাতে চেয়েছি।’
গতকাল বিকেলে রাজধানীর একটি হোটেলে চীনা কমিউনিস্ট পার্টির প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকের পর জামায়াত নেতা সৈয়দ আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের বলেছিলেন, ‘বাংলাদেশে ১১ বা ১২ লাখ রোহিঙ্গা আছে; তারা মানবেতর জীবন যাপন করছে। তাদের খাদ্য, কাপড় ইত্যাদি দেওয়া কোনো সমাধান নয়। স্থায়ী সমাধানের জন্য রোহিঙ্গাদের তাদের নিজ ভূমিতে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া ও পুনর্বাসন করতে হবে। সে জন্য আমরা আরাকানকেন্দ্রিক সংখ্যাগরিষ্ঠ রোহিঙ্গাদের এলাকায় “ইনডিপেনডেন্ট আরাকান স্টেট” করার প্রস্তাব দিয়েছি।’
এ বিষয়ে আজ জামায়াতের প্রচার বিভাগের পাঠানো বিবৃতিতে বলা হয়, চীনা কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে বৈঠকের পর সৈয়দ আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের এ সম্পর্কে যে ব্রিফিং দিয়েছেন, তাতে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবর্তনের বিষয়ে তাঁর বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিয়ে আজ বিবৃতি দিয়েছেন। এরপর উদ্ধৃতি চিহ্নের ভেতরে আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহেরের বক্তব্য তুলে ধরা হয়। তাতে বলা হয়, ‘(গতকালের) ব্রিফিংয়ে আমি যে বক্তব্য দিয়েছি, তাতে মূলত বাংলাদেশে আসা রোহিঙ্গাদের সম্মানজনক ও নিরাপদভাবে তাদের নিজ দেশে প্রত্যাবর্তন করার ব্যবস্থা ও তাদের জন্য একটি নিরাপদ অঞ্চল গড়ে তোলার বিষয়টি বোঝাতে চেয়েছি। আমার বক্তব্যের মাধ্যমে কোনো ভুল–বোঝাবুঝি সৃষ্টি হলে তা এই বিবৃতির মাধ্যমে নিরসন হবে বলে আশা করি। এটিই জামায়াতে ইসলামীর দৃষ্টিভঙ্গি।’