মাত্র পাঁচ মিনিটের কালবৈশাখী ঝড়ে গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলায় গাছপালা ভেঙে পড়ে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে এক ঘণ্টা যানচলাচল বন্ধ থাকে। এতে যাত্রীদের ভোগান্তিতে পড়তে হয়।  

আজ সোমবার (২৮ এপ্রিল) বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে কালবৈশাখী ঝড় হয়।

মুকসুদপুর উপজেলা ফায়ার স্টেশনের স্টেশন অফিসার মেহেদি হাসান বলেন, বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে হঠাৎ করে কালবৈশাখী ঝড় শুরু হয়। মাত্র পাঁচ মিনিটে ঝড়ে মুকসুপুর উপজেলার দাসেরহাট থেকে পুরাতন মুকসুদপুর পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার এলাকায় মহাসড়কের পাশের ৩০ থেকে ৪০টি গাছ ভেঙে পড়লে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এ সময মহাসড়কের দুই পাশে অ্যাম্বুলেন্সসহ বহু যানবাহন আটকা পড়ে। পরে খবর পেয়ে মুকসুদপুর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা গাছ কেটে মহাসড়ক থেকে সরিয়ে দিলে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়।

আরো পড়ুন:

যত্রতত্র ময়লা না ফেলার আহ্বান ডিএনসিসি প্রশাসকের

রাঙামাটিতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত বেড়ে ৬

দাসেরহাট এলাকার বাসিন্দা পরেশ বিশ্বাস বলেন, মাত্র পাঁচ মিনিটের ঝড়ে মহাসড়কের পাশের গাছপালা ভেঙে পড়ে। স্থানীয়দের সহায়তায় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা মহাসড়ক থেকে গাছ কেটে অপসারণ করে। 

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাসরিম আক্তার বলেন, সড়ক থেকে গাছ সরিয়ে নেওয়ায় পর যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।

ঢাকা/বাদল/বকুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সড়ক পর বহন সড়ক দ র ঘটন ঝড় উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

কাশ্মীরে ব্যাপক ধরপাকড়, ভাঙা হচ্ছে বাড়ি: ‘আমার ভাই জড়িত থাকলেও পরিবারের অপরাধ কী’

কাশ্মীরের পেহেলগামে হামলার ঘটনার পর রোববার রাতেও নিয়ন্ত্রণরেখায় ভারত ও পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর মধ্যে গোলাগুলি হয়েছে। এ নিয়ে টানা চার রাত ধরে পাল্টাপাল্টি গুলির ঘটনা ঘটল। এ ছাড়া হামলার পর কাশ্মীরে প্রায় ২ হাজার জনকে আটক করেছে ভারতীয় বাহিনী। হামলায় জড়িত সন্দেহের অনেকের ঘর–বাড়ি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

রোববার রাতের গোলাগুলির বিষয়ে ভারতের সামরিক বাহিনীর ভাষ্য আগের দিনগুলোর মতোই। তারা জানিয়েছে, কাশ্মীরে নিয়ন্ত্রণরেখায় কোনো উসকানি ছাড়াই গুলি ছোড়েন পাকিস্তানি সেনারা। এরপর ভারত এর পাল্টা জবাব দেয়। এতে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। আর আগেই মতোই এদিনও গোলাগুলির বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি পাকিস্তান সরকার বা দেশটির বাহিনী।

এই গোলাগুলি নিয়ন্ত্রণরেখার কাছাকাছি অবস্থান করা বাসিন্দাদের নতুন করে দুর্দশার মধ্যে ফেলেছে। এমনই একজন ভারতের ডাওকে এলাকার বাসিন্দা হরদেব সিং। তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের মাঠে কৃষিকাজ করতে যেতে পারছি না।’ অন্যদিকে লানজোত এলাকার বাসিন্দা শওকাত আওয়ান বলেন, ‘আমরা এমন পরিস্থিতির মধ্যেই বড় হয়েছি। আমাদের মধ্যে আর ভয় কাজ করে না।’

পাকিস্তানের রেলমন্ত্রী মোহাম্মদ হানিফ আব্বাসি শনিবার বলেছেন, পাকিস্তানের ১৩০টির বেশি পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র ভারতের জন্য সাজিয়ে রাখা হয়েছে।

কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণরেখায় ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা নতুন নয়। ১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর থেকে কাশ্মীরের মালিকানা নিয়ে তিনবার যুদ্ধে জড়িয়েছে দুই দেশ। তবে ২২ এপ্রিল পেহেলগামে হামলায় ২৬ জনের মৃত্যুর পর শুরু হওয়া গোলাগুলি বড় উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। কারণ, ওই হামলার জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করেছে নয়াদিল্লি। যদিও এ অভিযোগ নাকচ করেছে ইসলামাবাদ।

হামলার পর ভিসা বাতিল, সিন্ধু পানিচুক্তি বাতিল, আকাশসীমা বন্ধসহ একরাশ পাল্টাপাল্টি পদক্ষেপ নিয়েছে ভারত ও পাকিস্তান। পাকিস্তানের নাম না নিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ‘কঠিন জবাব’ দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন। আর পাকিস্তানের রেলমন্ত্রী মোহাম্মদ হানিফ আব্বাসি শনিবার বলেছেন, পাকিস্তানের ১৩০টির বেশি পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র ভারতের জন্য সাজিয়ে রাখা হয়েছে।

কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলায় স্বজনের মৃত্যুর খবরে কান্নায় ভেঙে পড়েন একজন নারী

সম্পর্কিত নিবন্ধ