নির্মাণাধীন কোনো ভবনে অনিয়ম পেলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে : রাজউক চেয়ারম্যান
Published: 28th, April 2025 GMT
ঢাকাসহ সকল নগরীকে তিলোত্তমা নয়, বসবাসযোগ্য নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে ঝুঁকিপূর্ণ ও নকশা বহির্ভূত ভবন চিহ্নিত করে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছেন রাজউকের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. রিয়াজুল ইসলাম।
তিনি বলেন, অনিয়ম করলে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। সারা দেশে নকশা বহির্ভূত ভবনে রাজউকের অভিযান চলমান থাকবে। বসবাসযোগ্য নগরী গড়তে কোনো প্রভাবশালী বা শক্তিশালী মহলও ছাড় পাবে না। বিশেষ করে, নির্মাণাধীন কোনো ভবনে অনিয়ম পেলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সোমবার (২৮ এপ্রিল) সকাল ১১ টার দিকে নারায়ণগঞ্জ নগরীর খানপুর এলাকায় রাজউক জোনাল অফিস (জোন-৮) নবনির্মিত ভবনের উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমরা সবাইকে নিয়ে কাজ করতে চাই। ঝুঁকিপূর্ণ ভবন অফিসিয়ালি তালিকা করবে ডিসি অফিস। আর আমরা যে ঝুঁিকপূর্ণ ভবনের তালিকা করছি অত্যন্ত দু:খের বিষয়, এর অধিকাংশই সরকারি ভবন। এ নিয়ে আমরা কাজ করছি।
পাশাপাশি আমাদের পুরান ঢাকায় অসংখ্য পুরনো ভবন রয়েছে। যেসব ভবন বর্তমানে অত্যন্ত দুর্যোগপ্রবণ। আমরা ওইসব ভবনের মালিকদের বলেছি, যদি তারা এসব ভবন ভেঙ্গে ব্লক দিয়ে ভবন তৈরি করেন তাহলে আমাদের কাছ থেকে ভালো প্রণোদনা পাবেন। আমরা সবদিক দিয়েই সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি।
বিভিন্ন অভিযানে এখন থেকে আমরা যৌথ ম্যাজিস্ট্রেট পাঠাবো। যতটুকু সম্ভব খাল-বিল, নদী-নালা, কৃষিজমি সব উদ্ধার করবো। আমরা হয়তো পুরোপুরি অতীতে যেতে পারবো না। কিন্তু কিছুটা হলেও এই সমস্যার সমাধান করতে পারবো।
ভবনের প্ল্যান পাস করা সম্পর্কে তিনি বলেন, আমরা কোনো ভবনের প্ল্যান পাস করতে চাইলেই থার্ড পার্টির কাছে ছুটে যাই। আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই, এখন আর থার্ড পার্টির কাছে যাওয়ার সুযোগ নাই। কারণ বর্তমানে অনলাইনের মাধ্যমে রাজউকের প্ল্যান পাস করা যায়।
রাজউকের চেয়ারম্যান আরও বলেন, বিগত সময় ভবন নির্মাণে রাজউকের যেসব কর্মকর্তা অনিয়মের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তাদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এ ব্যাপারে কাউকে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।
রাজউকের কাজ হচ্ছে বাসযোগ্য ও নিরাপদ নগরী গড়তে জনগণকে সেবা দেয়া। তাই জনগণেরও উচিত রাজউককে সহযোগিতা করা। নিয়ম অনুযায়ী ভবন নির্মাণসহ সকলকে নিয়মের মধ্যে থাকার আহবান জানান তিনি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন রাজউকের যুগ্মসচিব ড.
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ব যবস থ র জউক র ভবন র
এছাড়াও পড়ুন:
খাল-ফসলি জমির মাটি ইটভাটায়
চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় ফসলি জমি ও খাল থেকে দফায় দফায় মাটি কেটে স্থানীয় ইটভাটায় ব্যবহার হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভেকু (এক্সক্যাভেটর) দিয়ে মাটি খননে খালের গতিপথ বদলে গেছে। এ চিত্র ইসলামপুর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের আধার মার টেক কালিপুর এলাকার।
স্থানীয়দের অভিযোগ, নদী-নালা, খাল-বিল থেকে সরকারি অনুমতি ছাড়া মাটি কাটায় নিষেধাজ্ঞা থাকলেও ইটভাটা মালিক ও স্থানীয় প্রভাবশালীরা কোনো কিছুর তোয়াক্কা করছেন না। তারা ভেকু দিয়ে দফায় দফায় গভীর করে মাটি কেটে ইটভাটায় নিয়ে যাচ্ছেন। এ ছাড়া অর্থের বিনিময়ে দরিদ্র কৃষকদের ফসলি জমি থেকেও মাটি কেটে গভীর খাদে পরিণত করা হচ্ছে।
কালিপুর এলাকায় দেখা যায়, ঘাগড়া খালের পাড়ে কৃষক রফিকের এক কানি জমি এবং খালের আরও দুই কানি জমির মাটি কাটা হয়েছে। এতে খালের গতিপথ পরিবর্তন হয়েছে। এলাকাবাসীর ভাষ্য, পাশের কেবিএম-২ ইটভাটার মালিক মো. মহসিন, মো. বখতিয়ার ও এখতিয়ারের লোকজন অপরিকল্পিতভাবে খালের মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে। একই ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম নিশ্চিন্তপুর পশ্চিম বিলে বিবিসি নামে একটি ইটভাটা রয়েছে। এর পাশের দুটি প্লট থেকে ১০ কানি জমির মাটি ইটভাটায় বিক্রি করা হয়েছে।
ভুক্তভোগী মোহাম্মদ রফিক বলেন, ঘাগড়া খালের পাড়ে সড়কের পাড়সহ তাঁর এক কানি কৃষি জমি থেকে ২০২২ সালে ও চলতি বছর গভীর করে মাটি কেটে নিয়েছে প্রভাবশালীরা। এতে ঘাগড়া খালের গতিপথ তাঁর জমির দিকে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে ২০২২ সালে অভিযোগ দিলে চেয়ারম্যান ৩০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার রায় দেন। মাটি ব্যবসায়ীরা তা মানেননি। তাই এ বছর থানায় অভিযোগ দেন। থানায় বৈঠক হলেও সুবিচার পাননি। উল্টো তাঁকে চাঁদাবাজি, ভাঙচুর ও হত্যা মামলার আসামি করা হয়েছে।
আমির হামজা বলেন, তিনি এবার দেড় কানি জায়গায় ধান আবাদ করেন। ধান কেটে নোওয়ার আগে মাটি ব্যবসায়ীরা অন্তত এক কানি জমির মাটি জোর করে কেটে নিয়ে বিবিসি-২ এবং কেবিএম ইটভাটায় নিয়ে বিক্রি করেছে।
কেবিএম-২ ইটভাটার স্বত্বাধিকারী মো. বখতিয়ার বলেন, জমির মালিকের কাছ থেকে মাটি কিনে তারা ইটভাটায় ব্যবহার করছেন। কারও জমি থেকে জোরপূর্বক মাটি কেটে নেওয়া হয়নি।
ইউএনও মো. কামরুল হাসানের দাবি, অবৈধভাবে মাটি কাটা বন্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে দোষীদের জরিমানা করা হচ্ছে।