ইউক্রেনে তিন দিনের জন্য সাময়িক যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এক বিবৃতিতে ক্রেমলিন জানিয়েছে, আগামী ৮ মে সকাল থেকে ১১ মে পর্যন্ত এ যুদ্ধবিরতি বলবৎ থাকবে। তবে যুদ্ধবিরতি নিয়ে ইউক্রেনের পক্ষ থেকে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

এক বিবৃতিতে ক্রেমলিন জানিয়েছে, ‘মানবিক বিবেচনায়’ পুতিন এই যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেছেন। এতে আরও বলা হয়েছে, ‘রাশিয়া বিশ্বাস করে, ইউক্রেনের পক্ষও এ ধরনের উদাহরণ অনুসরণ করা হবে।’

তবে ক্রেমলিন সতর্ক করে বলেছে, ‘ইউক্রেনের পক্ষ থেকে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের কোনো ঘটনা ঘটলে রুশ ফেডারেশনের সশস্ত্র বাহিনী উপযুক্ত ও কার্যকর জবাব দেবে।’

ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে রাশিয়া শান্তি আলোচনায় আগ্রহী উল্লেখ করে ক্রেমলিনের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘রাশিয়া আবারও শান্তি আলোচনার জন্য শর্তহীন প্রস্তুতির ঘোষণা দিয়েছে। যার লক্ষ্য হলো, ইউক্রেন সংকটের মূল কারণগুলোর সমাধান ও আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সঙ্গে গঠনমূলক সহযোগিতা প্রতিষ্ঠা করা।’

আরও পড়ুনরাশিয়া-ইউক্রেন চুক্তির খুব কাছাকাছি, বললেন ট্রাম্প২৬ এপ্রিল ২০২৫

এর আগে খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের ইস্টার সানডে উপলক্ষে গত সপ্তাহে ৩০ ঘণ্টার যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দিয়েছিলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তবে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে দুই পক্ষ পাল্টাপাল্টি হামলার অভিযোগ করেছে।

২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে হামলা শুরু করে রাশিয়া। এরপর দুই পক্ষেরই হাজার হাজার সৈন্য ও বেসামরিক মানুষের প্রাণহানি হয়েছে।

সম্প্রতি এই যুদ্ধ বন্ধে মধ্যস্থতা শুরু করেন দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। খুব তাড়াতাড়ি একটি চুক্তি হতে পারে বলে তিনি কয়েক দিন আগে আভাস দিয়েছিলেন। যদিও চুক্তির বিষয়ে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানা যায়নি।

আরও পড়ুন কুরস্ক ‘পুনর্দখলে’ রাশিয়ার সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার সেনারা, প্রশংসায় মাতল মস্কো২০ ঘণ্টা আগে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ইউক র ন

এছাড়াও পড়ুন:

খাল-ফসলি জমির মাটি ইটভাটায়

চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় ফসলি জমি ও খাল থেকে দফায় দফায় মাটি কেটে স্থানীয় ইটভাটায় ব্যবহার হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভেকু (এক্সক্যাভেটর) দিয়ে মাটি খননে খালের গতিপথ বদলে গেছে। এ চিত্র ইসলামপুর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের আধার মার টেক কালিপুর এলাকার। 
স্থানীয়দের অভিযোগ, নদী-নালা, খাল-বিল থেকে সরকারি অনুমতি ছাড়া মাটি কাটায় নিষেধাজ্ঞা থাকলেও ইটভাটা মালিক ও স্থানীয় প্রভাবশালীরা কোনো কিছুর তোয়াক্কা করছেন না। তারা ভেকু দিয়ে দফায় দফায় গভীর করে মাটি কেটে ইটভাটায় নিয়ে যাচ্ছেন। এ ছাড়া অর্থের বিনিময়ে দরিদ্র কৃষকদের ফসলি জমি থেকেও মাটি কেটে গভীর খাদে পরিণত করা হচ্ছে। 
কালিপুর এলাকায় দেখা যায়, ঘাগড়া খালের পাড়ে কৃষক রফিকের এক কানি জমি এবং খালের আরও দুই কানি জমির মাটি কাটা হয়েছে। এতে খালের গতিপথ পরিবর্তন হয়েছে। এলাকাবাসীর ভাষ্য, পাশের কেবিএম-২ ইটভাটার মালিক মো. মহসিন, মো. বখতিয়ার ও এখতিয়ারের লোকজন অপরিকল্পিতভাবে খালের মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে। একই ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম নিশ্চিন্তপুর পশ্চিম বিলে বিবিসি নামে একটি ইটভাটা রয়েছে। এর পাশের দুটি প্লট থেকে ১০ কানি জমির মাটি ইটভাটায় বিক্রি করা হয়েছে। 
ভুক্তভোগী মোহাম্মদ রফিক বলেন, ঘাগড়া খালের পাড়ে সড়কের পাড়সহ তাঁর এক কানি কৃষি জমি থেকে ২০২২ সালে ও চলতি বছর গভীর করে মাটি কেটে নিয়েছে প্রভাবশালীরা। এতে ঘাগড়া খালের গতিপথ তাঁর জমির দিকে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে ২০২২ সালে অভিযোগ দিলে চেয়ারম্যান ৩০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার রায় দেন। মাটি ব্যবসায়ীরা তা মানেননি। তাই এ বছর থানায় অভিযোগ দেন। থানায় বৈঠক হলেও সুবিচার পাননি। উল্টো তাঁকে চাঁদাবাজি, ভাঙচুর ও হত্যা মামলার আসামি করা হয়েছে। 
আমির হামজা বলেন, তিনি এবার দেড় কানি জায়গায় ধান আবাদ করেন। ধান কেটে নোওয়ার আগে মাটি ব্যবসায়ীরা অন্তত এক কানি জমির মাটি জোর করে কেটে নিয়ে বিবিসি-২ এবং কেবিএম ইটভাটায় নিয়ে বিক্রি করেছে। 
কেবিএম-২ ইটভাটার স্বত্বাধিকারী মো. বখতিয়ার বলেন, জমির মালিকের কাছ থেকে মাটি কিনে তারা ইটভাটায় ব্যবহার করছেন। কারও জমি থেকে জোরপূর্বক মাটি কেটে নেওয়া হয়নি। 
ইউএনও মো. কামরুল হাসানের দাবি,  অবৈধভাবে মাটি কাটা বন্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে দোষীদের জরিমানা করা হচ্ছে। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ