‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’ সিনেমায় শেখ মুজিবুর রহমানের স্ত্রী ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের চরিত্রে অভিনয় করেন নুসরাত ইমরোজ তিশা। সিনেমাটি মুক্তির পর, বিশেষ করে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর তিশাকে নানা ধরনের সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল।

‘মুজিব’ সিনেমায় তিশার অভিনয়ের ব্যাপারে এবার কথা বলেছেন তার স্বামী, অভিনেতা-নির্মাতা, সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।

সোমবার সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ সংক্রন্ত একটি প্রশ্নের জবাবে ফারুকী বলেন, ‘প্রত্যেকেই তার প্রফেশনাল জীবনের ব্যাপারে স্বাধীন। আপনি কি মনে করেন যে, আমরা এমন সমাজে বাস করছি যেখানে স্ত্রী তার প্রফেশনাল সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে আমার অনুমতি নেবে, অথবা আমি আমার প্রফেশনাল সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে তার অনুমতি নেব? আমি এমনটা মনে করি না। এটা তার প্রফেশন। সে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এবং সে নিজেই উত্তর দিতে পারবেন যে কেন, কোন পরিস্থিতিতে তাকে এটা করতে হয়েছে। এটা তার প্রফেশন, এতে আমার ভুল করার কী আছে আমি বুঝতে পারিনি!’

প্রসঙ্গত, মুজিব: একটি জাতির রূপকার সিনেমাটি ২০২৩ সালে মুক্তি পায়, এবং এটি পরিচালনা করেছিলেন ভারতের খ্যাতনামা নির্মাতা শ্যাম বেনেগাল।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

বাগেরহাটের দুই বন কর্মকর্তার ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ

বাগেরহাটের বন বিভাগের দুই কর্মকর্তা, তাঁদের স্ত্রী ও স্বজনের ১০টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করার আদেশ দিয়েছেন আদালত। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. জাকির হোসেন আজ সোমবার এ আদেশ দেন।

যাঁদের ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করা হয়েছে তাঁরা হলেন বাগেরহাটের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা জি এম রফিক আহমেদ ও তাঁর স্ত্রী আকলিমা আহমেদ, বন সংরক্ষক চিন্ময় মধু ও তাঁর স্ত্রী লোপা রানী মন্ডল, চিন্ময় মধুর আত্মীয় হরিদাস মধু ও তাঁর স্ত্রী দুলালী মধু।

দুদকের তথ্য অনুযায়ী, রফিক আহমেদের নামে ৬০ লাখ টাকা সঞ্চয়পত্র থাকার তথ্য পাওয়া গেছে। তাঁর স্ত্রীর নামে রয়েছে ৩০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র।

অপর দিকে চিন্ময় মধু ও তাঁর স্ত্রীর পাঁচটি ব্যাংক হিসাবে ১ কোটি ৩৪ লাখ টাকা জমা থাকার তথ্য পেয়েছে দুদক। এ ছাড়া হরিদাস মধু ও তাঁর স্ত্রীর ব্যাংক হিসাবে ২০ লাখ টাকা জমা থাকার তথ্য পাওয়া গেছে।

দুদক আদালতকে লিখিতভাবে বলেছে, বাগেরহাটের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা রফিক আহমেদসহ অন্যদের ব্যাংক হিসাবে অস্বাভাবিক লেনদেন হয়েছে। তাঁরা এসব অর্থ হস্তান্তরের চেষ্টা করছেন। শুনানি নিয়ে আদালত তাঁদের ব্যাংক হিসাবগুলো অবরুদ্ধ করার আদেশ দিয়েছেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ