আইপিএলে আরও ম্যাচ বাড়ানোর পরিকল্পনা
Published: 28th, April 2025 GMT
আইপিএলে আরও ১০ থেকে ২০ ম্যাচ বাড়ানোর পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। বিষয়টি নিয়ে আইসিসি ও বিসিসিআই-এর সঙ্গে আলোচনাও করছে আইপিএল কর্তৃপক্ষ ও ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকরা। তবে সবটাই সম্প্রচার স্বত্বের আগ্রহের ওপর নির্ভর করবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
আইপিএল এখন ১০ দলের লড়াই। ২০২২ সালে দুটি নতুন ফ্রাঞ্চাইজি আনা হয়। গুজরাট ও লক্ষ্নৌ আসায় প্রতি মৌসুমে ৭৪ ম্যাচের টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আইপিএল কর্তৃপক্ষের পরিকল্পনা ছিল ২০২৫ মৌসুম থেকে ম্যাচ বাড়িয়ে ৮৪তে নিয়ে যাওয়ার।
কিন্তু সম্প্রচার স্বত্বের অনীহার কারণে সেটি সম্ভব হয়নি। ক্রীড়া ভিত্তিক টিভি চ্যানেলগুলো জানিয়েছে, একই সময়ে আইপিএলসহ অন্যান্য ক্রীড়া ইভেন্ট থাকে। একটার পর একটা দ্বিপাক্ষিক সিরিজ থাকে। আইসিসির ইভেন্ট থাকে। ২০২৫ সাল পর্যন্ত আইসিসি ফিউচার ট্যুর ও টুর্নামেন্ট সূচি থাকায় প্রস্তাবিত ৮৪ ম্যাচের টুর্নামেন্ট সম্ভব হয়নি। ২০২৭ সাল পর্যন্তও এটা সম্ভব হবে না।
তবে ২০২৮ সালের আসরে ৯৪ ম্যাচের আইপিএল ইভেন্ট মাঠে নামানোর পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে আইপিএল কর্তৃপক্ষ। যদিও কোন নতুন দল আনার পরিকল্পনা নেই তাদের। আইপিএলকে ১০ দলের টুর্নামেন্টেই রাখতে চায় কর্তৃপক্ষ। সেক্ষেত্রে পরিকল্পনা হলো- গ্রুপ পর্বের মতো প্লে অফেও হোম এন্ড অ্যাওয়ে পদ্ধতিতে ম্যাচ আয়োজন করা। যাতে প্রতিটি দল হোম ও অ্যাওয়ে ভিত্তিতে ম্যাচ খেলার সুযোগ পায়।
আইসিসির চেয়ারম্যান অরুণ ধুমাল বলেন, ‘অবশ্যই, এটা একটা সুযোগ। আমরা আইসিসি ও বিসিসিআই-এর সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করছি। যেহেতু ভক্তদের আগ্রহ দ্বিপাক্ষিক সিরিজ ও আইসিসির ইভেন্ট থেকে সরে ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের দিকে যাচ্ছে, এটা কাজে লাগানোর দারুণ সুযোগ আমাদের জন্য। আমরা গুরুত্ব সহকারে আলাপ চালিয়ে যাচ্ছি। ক্রিকেটের প্রাণ ভক্ত। তাদের চাওয়ার সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে।’
ধুমাল জানান, তারা আইপিএলের জন্য বড় একটা ফাঁকা সময় আইসিসির কাছে চান। ফ্রাঞ্চাইজির চাওয়া গ্রুপ পর্বের মতো প্লে অফেও হোম এন্ড অ্যাওয়ে ম্যাচ। সেক্ষেত্রে ৯৪ ম্যাচের টুর্নামেন্ট চাওয়া আইপিএল কর্তৃপক্ষের। অনেক খেলা থাকায় এখনই সেটা সম্ভব নয়। তবে সম্প্রচার মাধ্যম মনে করছে, আইপিএল মাঝপথে গিয়ে দর্শকের আগ্রহ হারায়। যে কারণে ম্যাচ ও সময় বাড়ালে এর আকর্ষণ ধরে রাখা নিয়ে সন্দিহান টিভি চ্যানেলগুলো।
আইপিএল শুরু হয় ২০০৮ সালে। তখন এটি ৪৪দিনের টুর্নামেন্ট ছিল এবং ম্যাচ ছিল ৫৯টি। ২০১১ সালে ১০ দলের টুর্নামেন্ট হয় ৫০ দিনে। ম্যাচ ছিল ৭৪টি। পরের দুই আসরে ছিল ৯ দল। ম্যাচ হয়েছিল ৭৬টি করে। ২০১৪ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত ৮ দলের টুর্নামেন্ট হয়েছে। ম্যাচ হয়েছে ৬০টি করে। টুর্নামেন্ট ৪৬ থেকে ৫২ দিনের মধ্যে রাখা হয়েছিল। ২০২২ থেকে ১০ দলের টুর্নামেন্টে আবারো ৭৪টি করে ম্যাচ খেলানো হচ্ছে। ৬০ থেকে ৬৪ দিনে গড়িয়েছে টুর্নামেন্ট।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব স স আই ক ক আর দল র ট র ন ম ন ট আইস স র ঞ চ ইজ
এছাড়াও পড়ুন:
সহজ হলো হজ রোমিং সুবিধা
বাংলাদেশে প্রথমবার হজযাত্রীদের জন্য বিদেশি মুদ্রার বদলে স্থানীয় মোবাইল ব্যালান্স দিয়ে রোমিং পরিষেবা গ্রহণের সুবিধা ঘোষণা করেছে স্থানীয় অপারেটর গ্রামীণফোন। উদ্যোক্তারা জানান, বহুল প্রতীক্ষিত এ রেগুলেটরি সিদ্ধান্ত ২০২৫ সালে হজ পালনের উদ্দেশ্যে সৌদি আরব গমনকারী ৮৭ হাজারের বেশি বাংলাদেশি হজযাত্রীর যোগাযোগকে করবে আরও সহজ ও স্বাচ্ছন্দ্যময়।
বাংলাদেশের টেলিকম খাতে যথাযথ প্রচেষ্টার ফলেই এমন জরুরি সুবিধা বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়েছে। সরকার-সংশ্লিষ্ট সংস্থার সঙ্গে সমন্বয়ের ভিত্তিতে বাস্তবায়িত হচ্ছে এমন পদক্ষেপ। স্থানীয় টেলিকম অপারেটরদের দীর্ঘদিনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সরকার ২০২৫ সালের হজ কার্যক্রমকে কেন্দ্র করে দুই মাসের জন্য উল্লিখিত পরিষেবার অনুমোদন দেয়। কিছুদিন আগে এ-সংক্রান্ত বিশেষ প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
আগে হজযাত্রীদের সৌদি আরবে পৌঁছে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে বিদেশি সিমকার্ড কিনতে হতো। ফলে পরিবার-পরিজনের সঙ্গে যোগাযোগে বিলম্ব ছাড়াও নানা জটিলতায় পড়তে হতো। তবে নতুন এই ব্যবস্থার ফলে হজযাত্রীরা এখন থেকে নিজের মোবাইল ব্যালান্স ব্যবহার করে গ্রামীণফোনের হজ রোমিং প্যাক অ্যাকটিভ করতে পারবেন। ফলে সৌদি আরবে পৌঁছানোর পরই নিরবচ্ছিন্নভাবে ও সহজে মোবাইলে যোগাযোগ করতে পারবেন হাজিরা। গ্রাহকরা যে কোনো সময়, যে কোনো স্থান থেকে মোবাইল ব্যালান্স বা সহজ রিচার্জের মাধ্যমে প্রয়োজনে প্যাক কিনতে পারবেন।
গ্রামীণফোনের হজ রোমিং করার সব প্যাকে সাশ্রয়ী মূল্যে পরিষেবা গ্রহণ করতে পারবেন গ্রাহক। যাত্রীদের হজকালীন সময়জুড়ে সর্বোচ্চ সুবিধা, বিস্তৃত কাভারেজ ও মানোন্নত সেবা নিশ্চিত করতে এমন প্যাকেজ ডিজাইন করা হয়েছে। প্যাকেজবিষয়ক বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাবে অপারেটরের দাপ্তরিক এবং মাইজিপি অ্যাপে।
পরিষেবা প্রসঙ্গে গ্রামীণফোনের চিফ প্রোডাক্ট অফিসার (সিপিও) সোলায়মান আলম বলেন, বাংলাদেশি হজযাত্রীদের জন্য রূপান্তরমূলক পদক্ষেপ গ্রহণে নেতৃত্ব দিতে পারা গর্বের। সময়োপযোগী এমন উদ্যোগ বাস্তবায়নে টেলিযোগাযোগ খাত, সরকার ও নিয়ন্ত্রক সংস্থার সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করেছি, যেন দেশি গ্রাহক পবিত্র ধর্মীয় সফরে তাদের প্রিয়জনের সঙ্গে সব সময় যুক্ত থাকতে পারবেন।
এমন উদ্যোগ বাংলাদেশের হজযাত্রীদের সামগ্রিক হজ অভিজ্ঞতাকে আরও সহজ ও সমৃদ্ধ করবে। ফলে তারা জীবনের অন্যতম ধর্মীয় সফরে সহজেই যুক্ত থাকতে, প্রয়োজনীয় তথ্য জানতে ও জানাতে উদ্বেগমুক্ত থাকতে পারবেন বলে জানানো হয়।