মাদ্রাসার চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগে তিন শিক্ষক গ্রেপ্তার
Published: 28th, April 2025 GMT
চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার একটি আবাসিক মাদ্রাসার চতুর্থ শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগে ওই মাদ্রাসার তিন শিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল রোববার রাতে অভিযোগ পেয়ে পুলিশ তাঁদের গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যায়। আজ সকালে ওই শিশুর পরিবার মামলা করলে দুপুরে তিন শিক্ষককে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। শিশুটির শারীরিক পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এ ঘটনায় শিক্ষার্থীর মা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেছেন। মামলার তিন আসামি ওই মাদ্রাসার শিক্ষক। তিনজনই শিশুটিকে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ।
ওই শিক্ষার্থীর পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত শনিবার থেকে রোববার পর্যন্ত তিন শিক্ষকের দ্বারা পালাক্রমে ধর্ষণের শিকার হয় ওই শিশু। একপর্যায়ে অন্য এক শিক্ষার্থীর মুঠোফোন থেকে পরিবারকে বিষয়টি জানায় সে। এরপর পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ পেয়ে পুলিশ মাদ্রাসায় এসে অভিযুক্ত শিক্ষকদের আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
ফটিকছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূর আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত তিন শিক্ষককে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ওই শিশুর শারীরিক পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: পর ব র
এছাড়াও পড়ুন:
বাগেরহাটের দুই বন কর্মকর্তার ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ
বাগেরহাটের বন বিভাগের দুই কর্মকর্তা, তাঁদের স্ত্রী ও স্বজনের ১০টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করার আদেশ দিয়েছেন আদালত। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. জাকির হোসেন আজ সোমবার এ আদেশ দেন।
যাঁদের ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করা হয়েছে তাঁরা হলেন বাগেরহাটের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা জি এম রফিক আহমেদ ও তাঁর স্ত্রী আকলিমা আহমেদ, বন সংরক্ষক চিন্ময় মধু ও তাঁর স্ত্রী লোপা রানী মন্ডল, চিন্ময় মধুর আত্মীয় হরিদাস মধু ও তাঁর স্ত্রী দুলালী মধু।
দুদকের তথ্য অনুযায়ী, রফিক আহমেদের নামে ৬০ লাখ টাকা সঞ্চয়পত্র থাকার তথ্য পাওয়া গেছে। তাঁর স্ত্রীর নামে রয়েছে ৩০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র।
অপর দিকে চিন্ময় মধু ও তাঁর স্ত্রীর পাঁচটি ব্যাংক হিসাবে ১ কোটি ৩৪ লাখ টাকা জমা থাকার তথ্য পেয়েছে দুদক। এ ছাড়া হরিদাস মধু ও তাঁর স্ত্রীর ব্যাংক হিসাবে ২০ লাখ টাকা জমা থাকার তথ্য পাওয়া গেছে।
দুদক আদালতকে লিখিতভাবে বলেছে, বাগেরহাটের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা রফিক আহমেদসহ অন্যদের ব্যাংক হিসাবে অস্বাভাবিক লেনদেন হয়েছে। তাঁরা এসব অর্থ হস্তান্তরের চেষ্টা করছেন। শুনানি নিয়ে আদালত তাঁদের ব্যাংক হিসাবগুলো অবরুদ্ধ করার আদেশ দিয়েছেন।