সিলেটের দুই কিশোরীকে কক্সবাজারে নিয়ে আটকে রেখে পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করার অভিযোগে দম্পতিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনায় কিশোরীর মা রবিবার (২৭ এপ্রিল) দিবাগত রাতে শাহপরান থানায় মামলা করেন। পরে সোমবার (২৮ এপ্রিল) ভোরে অভিযান পরিচালনা করে দুই কিশোরীর প্রতিবেশি শাহনাজ ও তার স্বামী মুরাদ আহমেদ রাজুকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (মিডিয়া) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানান, ঢাকায় পোশাক কারখানায় চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে প্রতিবেশী শাহনাজ ও তার স্বামী মুরাদ আহমেদ রাজু দুই কিশোরীকে কক্সবাজার পাঠান। সেখানে তাদের ছেলে ইমন হোসেন ও মেয়ে পিংকি ওরফে বৃষ্টি মিলে ভিকটিমদের কক্সবাজারে দুটি হোটেলে ১৫ দিন আটকে রেখে পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করে। পরবর্তীতে দুই কিশোরী সিলেটে ফিরে এসে অসুস্থ হয়ে পড়লে বিষয়টি জানাজানি হয়। তাদের সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হয়। 

গ্রেপ্তার স্বামী ও স্ত্রীকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা। 

আরো পড়ুন:

ডিবির অভিযানে আ.

লীগের সাবেক এমপিসহ গ্রেপ্তার ৭

পুলিশ সপ্তাহ শুরু মঙ্গলবার, নির্বাচনী নির্দেশনা পাবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী

ঢাকা/নুর/বকুল

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

কিশোরগঞ্জে বজ্রপাতে ৪ জন নিহত

কিশোরগঞ্জের হাওরাঞ্চলে ধান কাটার সময় অষ্টগ্রাম ও মিঠামইন উপজেলায় বজ্রপাতে তিন কৃষক ও এক কৃষাণী নিহত হয়েছে। 

সোমবার (২৮ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে অষ্টগ্রাম উপজেলার হালালপুর, কলমা হাওর ও সকাল ৮টায় মিঠামইন উপজেলার শান্তিগঞ্জ হাওরে বজ্রপাতে তাদের মৃত্যু হয়। 

অষ্টগ্রামে নিহত ইন্দ্রজিত দাস (৩৬) উপজেলার হালালপুর গ্রামের মৃত যতীন্দ্র দাসের ছেলে এবং স্বাধীন মিয়া (১৪) খয়েরপুর গ্রামের ইদ্রিস মিয়ার ছেলে। মিঠামইনে নিহত কৃষাণী ফুলেছা বেগম (৬৫) উপজেলার রাণীগঞ্জ কেওয়ারজোড় এলাকার মৃত আস্রব আলীর স্ত্রী। অষ্টগ্রামে নিহত আরেকজনের বিস্তারিত পরিচয় পাওয়া যায়নি।

আরো পড়ুন:

কুমিল্লায় বজ্রপাতে ৪ জনের মৃত্যু

সুনামগঞ্জে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু 

অষ্টগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রুহুল আমিন বলেন, আজ সকালে ইন্দ্রজিত দাস বাড়ির পাশে হালালপুর হাওরে পাঁকা ধান কাটছিলেন। এ সময় বৃষ্টির পাশাপাশি বজ্রপাত হলে ঘটনাস্থলে ইন্দ্রজিত মারা যায়। একই সময় খয়েরপুর হাওরে স্বাধীন মিয়া ধান কাটার সময় বজ্রপাতে নিহত হন। এ বিষয়ে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।  

মিঠামইন থানার এসআই অর্পন বিশ্বাস জানান, সকালে বাড়ির পাশে ধানের খর শোকাতে দিচ্ছিলেন ফুলেছা বেগম। এ সময় বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রপাত হলে ঘটনাস্থলে তিনি নিহত হন। এ বিষয়ে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। 

ঢাকা/রুমন/বকুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ