খবর রটেছিল একদিন শুটিং করে শাকিব খানের ‘তাণ্ডব’ সিনেমা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে সাবিলা নূরকে। কিন্তু না তেমন কোনো ঘটনাই ঘটেনি। যদিও সে সময় সবাই চুপ ছিলেন। তাণ্ডব টিম থেকে অফিসিয়ালি কেউ জানাননি কিছুই।

সাবিলা নূরের বাদ পড়ার খবরের  রেশ কাটতে না কাটতে সামনে আসে আরও একটি খবর। এটিও শাকিব খানের সিনেমা থেকে নায়িকার বাদ পড়ার খবর। আন অফিসিয়ালি জানা যায় তান্ডব থেকে বাদ পড়ে নিদ্রা দে নেহা নামে আরও এক নায়িকা। তার বাদ পড়ার কারণ প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান থেকে জানানোর আগেই তিনি নিজেই জানিয়েছেন এই ছবিতে যুক্ত হওয়ার বিষয়ে।

নতুন খবর হচ্ছে তান্ডবে নায়িকা হিসেবে সাবিলা নূর থাকছেন। অফিসিয়ালি প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান থেকে এটি না জানালেও বেশিদিন খবরটি চেপে রাখতে পারলো না। জানা গেছে ঢাকার এফডিসির পর তান্ডবের শুটিং হচ্ছে রাজশাহীতে। আর সেখান থেকেই শাকিব খানের সঙ্গে রোমান্সের একটি ছবি ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। ছবিটিতে যে শাকিব খানের পাশে সাবিলা নূর বসা তা স্পষ্টাই বুঝা যাচ্ছে। মানে তান্ডবে শাকিবের নায়িকা সাবিলা নূরই আছেন।

সিনেমাটির মাধ্যমে  রূপালি পর্দায় অভিষিক্ত হতে যাচ্ছেন সাবিলা নূর। তার মানে আয়নাবাজির নাবিলা, ইধিকা পালদের পর এবার ক্যারিয়ারের মোড় ঘুরে যাচ্ছে সাবিলা নূরেরও। সুপারস্টার শাকিব খানের বিপরীতে আগামী ঈদুল আজহায় সিনেমা হল মাতাবেন তিনি। 

টান টান উত্তেজনা আর অ্যাকশনে ভরপুর ‘তাণ্ডব’-এর মাধ্যমে প্রথমবার দেখা যাবে শাকিব-সাবিলার নয়া ক্যামিস্ট্রি! সিনেমা সংশ্লিষ্টদের প্রত্যাশা, প্রিয়তমা, তুফান, বরবাদের পর ‘তাণ্ডব’ দিয়ে বাজিমাৎ করবেন শাকিব খান।

‘তাণ্ডব’ বানাচ্ছেন গ্লোবাল ব্লকবাস্টার ছবি ‘তুফান’-খ্যাত নির্মাতা রায়হান রাফী। তিনি বলেন, নায়িকার ব্যাপারে কিছু বলতে চাচ্ছি না। কদিন পর টিজার আসবে তখন সবাই জানতে পারবেন। কয়েকটি দিন অপেক্ষা করতে হবে।

আসন্ন কোরবানির ঈদে মুক্তি পাবে ‘তাণ্ডব’। শাহরিয়ার শাকিলের প্রযোজনায় ছবিটি নির্মিত হচ্ছে আলফা আই এসভিএফ এন্টারটেইনমেন্টের ব্যানারে।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

লাইসেন্স পেলো স্টারলিংক

মার্কিন এনজিএসও সেবাদাতা স্টারলিংকের লাইসেন্স অনুমোদন করেছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস। সোমবার তিনি এই লাইসেন্স অনুমোদন করেন।

গত ২৫ মার্চ বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) নন-জিওসটেশনারি অরবিট (এনজিএসও) স্যাটেলাইট সার্ভিসেস অপারেটর ইন বাংলাদেশ শীর্ষক লাইসেন্সিং গাইডলাইন জারি করে।

ওই গাইডলাইনের আওতায় স্টারলিংক সার্ভিসেস বাংলাদেশ নন-জিওসটেশনারি অরবিট (এনজিএসও) স্যাটেলাইট সার্ভিসেস অপারেটর লাইসেন্সপ্রাপ্তির জন্য প্রযোজ্য ফি এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ বিটিআরসি বরাবর আবেদন করেছে।

প্রতিষ্ঠানটির অনুকূলে আবেদনকৃত লাইসেন্স ইস্যুর জন্য গত ২১ এপ্রিল অনুষ্ঠিত ২৯৪তম কমিশন সভায় নীতিগত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। 

স্টারলিংক বাংলাদেশের ইন্টারনেটে নতুন সংযোজন। শ্রীলংকার পরে দক্ষিণ এশিয়ার ২য় দেশ হিসেবে বাংলাদেশে বৈশ্বিক এই স্যাটেলাইট ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান যাত্রা শুরু করল। 

এ প্রসঙ্গে ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময়ে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকারের উপর্যুপরি ইন্টারনেট বন্ধের প্রতিবাদে স্টারলিংককে বাংলাদেশের নিয়ে আসা একটা গণদাবিতে পরিণত হয়েছিল। 

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশকে বিনিয়োগবান্ধব হিসেবে একটা বার্তা পৌঁছে দেওয়ার ইচ্ছা ছিল প্রধান উপদেষ্টার। বাংলাদেশের হাওর বাওড় দ্বীপাঞ্চলে, দুর্গম পার্বত্য এলাকায়, বিশেষভাবে উপকূলীয় দুর্যোগ প্রবণ এলাকায় নিরবচ্ছিন্ন এবং মানসম্পন্ন ইন্টারনেট সেবা পৌঁছে দেওয়ার চ্যালেঞ্জ রয়েছে। যেসব অঞ্চলে এখনো ফাইবার পৌঁছেনি সেখানে দ্রুততম সময়ে মানসম্পন্ন ইন্টারনেট পৌঁছে দেওয়ার চাহিদার প্রেক্ষিতে প্রধান উপদেষ্টা স্বউদ্যোগী হয়ে স্পেসএক্স সিইও ইলন মাস্ককে ফোন করে ৯০ দিনের মধ্যে স্টারলিংককে বাংলাদেশে কার্যক্রম শুরু করার আহ্বান জানান।

এ লক্ষ্য অর্জনে বিডা, বিটিআরসি, ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় নিবিড়ভাবে কাজ করেছে, বলেন তিনি।

ফয়েজ তৈয়্যব বলেন, স্টারলিংকের সেবাগুলোর মধ্যে একটা প্রাথমিক সেবা হচ্ছে নিরবচ্ছিন্ন উচ্চগতির ইন্টারনেট, যেখানে লোডশেডিংয়ের সঙ্গে সঙ্গে ইন্টারনেট বন্ধ হয়ে যাবে না, যেটা আইএসপির ক্ষেত্রে হয়। অনেক ক্ষেত্রে যদি লম্বা সময় ধরে লোডশেডিং থাকে, মোবাইল টাওয়ারের ব্যাটারির ব্যাকআপ ফুরিয়ে গেলে মোবাইল ইন্টারনেটেও বিঘ্ন ঘটে। স্টারলিংকের ক্ষেত্রে এ ধরনের সমস্যা হবে না। 

তিনি আরও জানান, আরেকটা ব্যাপার হচ্ছে, বাংলাদেশে ফাইবার নেটওয়ার্কের বিস্তৃতি সীমিত। উপরন্তু এই ফাইবার নেটওয়ার্কের উল্লেখযোগ্য অংশ টেলকো গ্রেডের নয়। বাংলাদেশের অন্তত ৬৫ শতাংশ টেলিযোগাযোগ টাওয়ার এখনো ফাইবারাইজেশনের বাইরে, সেখানে মাইক্রোওয়েভ দিয়ে সেবা দেওয়া হয়, খুবই সীমিত ধারণক্ষমতা। আবার আমাদের মোবাইল নেটওয়ার্কের যে কাভারেজ ও ক্যাপাসিটি আছে, তাতেও সমস্যা আছে, হাইওয়ে মোবিলিটি কভারেজের সমস্যা আছে। স্টারলিংক এসব সমস্যার সমাধান করবে।

তিনি জানান, স্টারলিংক বাংলাদেশের মোবাইল এবং ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট বাজারকে প্রতিযোগিতামূলক করবে। এর মাধ্যমে ভয়েস কল এবং ডেটা বান্ডেলভিত্তিক গতানুগতিক ইন্টারনেট সেবাদান ব্যবস্থা ডিজিটাল সার্ভিস কেন্দ্রিক নতুন রূপান্তরে মধ্য দিয়ে যাবে। স্টারলিংকের সার্ভিসের ফলে কমিউনিকেশন ইন্ডাস্ট্রিতে ডিরেগুলেশনের সূচনা হবে, প্রতিযোগিতা বাড়বে, শহর কিংবা গ্রামভেদে নিরবচ্ছিন্ন এবং মানসম্পন্ন উচ্চগতির ইন্টারনেট প্রাপ্তির নিশ্চয়তা তৈরি হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ