শারীরিক ও মানসিক সুস্থতার জন্য পর্যাপ্ত ঘুমের প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য। একজন সুস্থ মানুষের দৈনিক ৬-৮ ঘণ্টা ঘুমের প্রয়োজন। ঘুমের সমস্যা সমাধানের জন্য অনেকেই মেলাটোনিন নামক হরমোন ওষুধ খান। মেলাটোনিন ‘ওভার দ্য কাউন্টার’ ওষুধ, মানে প্রেসক্রিপশন ছাড়াও কেনা যায়। তাই অনেকেই নিজে নিজে কিনে খান। জেনে নিন ওষুধ হিসেবে মেলাটোনিন সম্পর্কে নানা তথ্য।
মেলাটোনিন প্রাকৃতিক হরমোন, ঘুমের চক্র নিয়ন্ত্রণে এর আছে বিশেষ ভূমিকা। এ ছাড়া শরীরের তাপমাত্রা ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায়। বাজারে বিভিন্ন নামে মেলাটোনিন ওষুধ পাওয়া যায়। অন্যান্য ঘুমের ওষুধের চেয়ে মেলাটোনিন ওষুধ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ামুক্ত এবং অন্যান্য ঘুমের ওষুধ সেবনের ফলে নেশা হওয়ার প্রবণতা থাকে, মেলাটোনিনে সে আশঙ্কা নেই বললেই চলে।
আরও পড়ুনওষুধ ছাড়া ভালো ঘুমাতে যা করবেন১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪মেলাটোনিন ওষুধ খাওয়ার নিয়মশুরু করতে হবে অল্প পরিমাণে।
সাধারণত ২-৩ মিলিগ্রাম মেলাটোনিন ঘুমানোর ৩০ মিনিট আগে খেতে হবে।
ঘুমের চক্র ঠিক করার জন্য খেতে হলে ১৩ সপ্তাহের বেশি খাওয়া যাবে না।
কিছু কিছু রোগের জন্য দীর্ঘদিন মেলাটোনিন খেতে হলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী খেতে হবে।
দীর্ঘ সময় বিমানভ্রমণ করলে মাঝেমধ্যে কিছু শারীরিক অসুস্থতা দেখা দেয়, তা দূর করার জন্য মেলাটোনিন খেলে পাঁচ দিন খাওয়া ভালো। তবে সেসব ক্ষেত্রে বছরে ১৬ বারের বেশি খাওয়া যাবে না।
ওষুধ ছাড়া প্রাকৃতিক উপায়ে মেলাটোনিন বাড়ানোর উপায় দিনে না ঘুমানোই ভালো.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
বিসিবির আর্থিক লেনদেনসংক্রান্ত প্রতিবেদন নিয়ে মিডল্যান্ড ব্যাংকের ব্যাখ্যা
আর্থিক লেনদেন বিষয়ে কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত কিছু প্রতিবেদনে ভুল তথ্য দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে ২৬ এপ্রিল একটি সংবাদ বিবৃতি পাঠায় বিসিবি। সেই বিবৃতি থেকে প্রকাশিত প্রতিবেদনে মিডল্যান্ড ব্যাংক সম্পর্কে ‘বিভ্রান্তিকর ও ভিত্তিহীন’ তথ্য পরিবেশন করা হয়েছে বলে দাবি করেছে ব্যাংকটি। এর প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছে মিডল্যান্ড ব্যাংক।
বিসিবি কর্তৃক প্রেরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিটি প্রতিবেদন আকারে প্রকাশিত হয় দেশের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে। প্রথম আলোয় প্রকাশিত এ প্রতিবেদনের শিরোনাম ছিল, ‘ফারুক আহমেদের ২৫০ কোটি টাকা সরানো বিষয়ে বিসিবির ব্যাখ্যা’, যেটি বিসিবির বিবৃতি অনুসরণ করেই করা হয়েছে।
বিসিবির বিবৃতিতে বলা হয়েছিল, আর্থিক স্বার্থ সংরক্ষণে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার প্রদান করে বিসিবি তার ব্যাংকিং সম্পর্কগুলো পুনর্মূল্যায়ন করেছে এবং বাংলাদেশ ব্যাংক নির্ধারিত ‘গ্রিন’ ও ‘ইয়েলো’ তালিকাভুক্ত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে লেনদেনে যুক্ত থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ তালিকাভুক্ত ব্যাংকগুলো থেকে ২৫০ কোটি টাকা উত্তোলন করে ২৩৮ কোটি টাকা ‘গ্রিন’ ও ‘ইয়েলো’ তালিকার ব্যাংকগুলোতে পুনর্বিনিয়োগ করা হয়েছে বলেও জানিয়েছিল বিসিবি।
বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ