কুমিল্লায় বজ্রপাতে দুই স্কুলছাত্রসহ চারজনের মৃত্যু
Published: 28th, April 2025 GMT
কুমিল্লার বরুড়া ও মুরাদনগরে বজ্রপাতে দুই স্কুলছাত্রসহ ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে বরুড়ায় দুই স্কুল ছাত্র এবং মুরাদনগরে দুই কৃষকের মৃত্যু হয়। সোমবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বরুড়া উপজেলার পয়ালগাছা গ্রামের মৃত খোকন মিয়ার ছেলে ফাহাদ হোসেন (১৩) এবং বিল্লাল হোসেন ছেলে মোহাম্মদ জিহাদ (১৪) দুপুরে হালকা বৃষ্টির মাঝে মাঠে ঘুড়ি উড়াতে ব্যস্ত ছিলেন। এ সময় হঠাৎ বজ্রপাত হলে দুই ছাত্র মারাত্মকভাবে আহত হন। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
ওই দুই স্কুলছাত্র বরুড়ার উপজেলার বড়হরিপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র ছিলেন।
বরুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হাসান বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থলে গেছে। পরিবারের কোনও অভিযোগ না থাকায় বিনা ময়নাতদন্তে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
অপর ঘটনায় মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানা এলাকায় বজ্রপাতে দুই কৃষক মারা গেছেন।
স্থানীয়রা বলেন, পূর্বধইর পূর্ব ইউনিয়নের কোরবানপুর পশ্চিম পাড়ার মৃত বীর চরন দেবনাথের ছেলে নিখিল দেবনাথ (৫৫) ও উপজেলার আন্দিকোট ইউনিয়নের দেওড়া গ্রামের জসিম উদ্দিন ভূঁইয়ার ছেলে জুয়েল ভূঁইয়া (৩২) মাঠে কাজ করার সময় বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই মারা যান। এ সময় আহত হন আরও ২ ব্যক্তি।
কোরবানপুর গ্রামের ইউপি সদস্য শফিকুল ইসলাম বলেন, দুপুরে কোরবানপুর পূর্বপাড়া কবরস্থনের পাশের একটি মাঠে জমিতে ধান কাটছিলেন ওই দুই কৃষক। এ সময় হঠাৎ বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রপাত শুরু হলে ঘটনাস্থলে ওই দুই কৃষক মারা যান। পরে এলাকাবাসী গিয়ে তাদের উদ্ধার করে থানায় খবর দেন।
বাঙ্গরা বাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান বলেন, কোরবানপুর পূর্বপাড়া কবরস্থানের পাশের মাঠে দুই জন কৃষক বজ্রপাতে নিহত হয়েছেন। তাদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়। পরে পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে আইনি প্রক্রিয়া শেষ মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ন হত পর ব র র উপজ ল র
এছাড়াও পড়ুন:
নামাজ পড়তে উঠে শ্বশুর দেখলেন, একই দড়িতে ঝুলছে পুত্রবধূ ও নাতির মরদেহ
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলায় একই রশিতে ঝুলন্ত অবস্থায় মা ও ছেলের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার সকালে মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানাধীন পূর্বধইর পশ্চিম ইউনিয়নের নদীয়াবাদ গ্রাম থেকে মরদেহ দুটি উদ্ধার করা হয়। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য দুপুরে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
যাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে তারা হলেন- গৃহবধূ রাবেয়া বেগম (২৬) ও তার একমাত্র ছেলে আবদুল্লাহ (৩)। রাবেয়া বেগম নদীয়াবাদ গ্রামের প্রবাসী আবদুল মতিনের স্ত্রী এবং উপজেলার পূর্বধইর পূর্ব ইউনিয়নের কোরবানপুর গ্রামের ইদ্রিস মিয়ার মেয়ে।
পুলিশ বলছে, ওই গৃহবধূর স্বামী প্রবাসী, তাদের দাম্পত্য জীবনে কোনো কলহ ছিল না। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনের পরই মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।
স্থানীয়রা জানায়, প্রবাসী আবদুল মতিন পাঁচ বছর আগে পারিবারিকভাবে রাবেয়া বেগমকে বিয়ে করেন। তাদের সাংসারিক জীবনে তিন বছর বয়সী আবদুল্লাহ একমাত্র সন্তান। প্রবাস থেকে আবদুল মতিন ছুটিতে বাড়িতে এসে গত এক বছর আগে আবারও প্রবাসে চলে যান।
আজ সকালে নামাজ পড়তে উঠে রাবেয়া বেগমের শ্বশুর আলী আকবর একই রশিতে পুত্রবধূ ও নাতির লাশ ঝুলতে দেখেন। এ সময় তার চিৎকারে স্থানীয় বাসিন্দারা ছুটে আসেন। খবর পেয়ে পুলিশ এসে দুজনের লাশ উদ্ধার করেন ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যায়।
মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজুর রহমান জানান, লাশ দুটিতে আঘাতের কোনো চিহ্ন নেই। তারা ফাঁস দিয়ে মারা গেছেন, নাকি অন্য কিছু-সেটা এখনই নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।