শোয়েব আখতারের ইউটিউব চ্যানেল কি ভারতে নিষিদ্ধ, যা জানা গেল
Published: 28th, April 2025 GMT
পাকিস্তানের বেশ কয়েকজন সাবেক ক্রিকেটারের ইউটিউব অ্যাকাউন্ট ভারতে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে, যাঁদের মধ্যে শোয়েব আখতারও আছেন। আজ এনডিটিভি, ইকোনোমিক টাইমস, জি নিউজসহ একাধিক ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে এ কথা জানানো হয়।
দীর্ঘদিন ধরেই ‘শোয়েব আখতার ১০০ এমপিএইচ’ নামে নিজের ইউটিউব চ্যানেলে ক্রিকেট–বিষয়ক আলোচনা করে আসছেন শোয়েব। তাঁর ৩৮ লাখের মতো অনুসারী, যাঁদের মধ্যে অনেক ভারতীয়ও আছেন। তবে ২৮ এপ্রিল সোমবার সকাল থেকে ভারতে শোয়েব আখতারের ইউটিউব চ্যানেলটি দেখা যাচ্ছে না। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে অনেক ভারতীয় এ কথা জানিয়েছেন। অনেকেই শোয়েবের ইউটিউব চ্যানেল যে দেখতে পারছেন না, সেটার স্ক্রিনশট নিয়ে পোস্ট করছেন।
আরও পড়ুনআর্নে স্লট: কিংবদন্তির জায়গা নিলেন এবং নিজেই কিংবদন্তি হয়ে গেলেন৪৯ মিনিট আগে২২ এপ্রিল জম্মু ও কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার পর ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের সুপারিশে দেশটিতে সম্প্রতি কয়েকটি পাকিস্তানি ইউটিউব চ্যানেল নিষিদ্ধ করা হয়। ওই হামলায় ২৬ জনের মৃত্যু হয়, যাঁদের মধ্যে বেশির ভাগই ছিলেন পর্যটক।
ভারত সরকারের এক মুখপাত্রের বরাত দিয়ে এনডিটিভি লিখেছে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুপারিশে পাকিস্তানি ইউটিউব চ্যানেলগুলো নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কারণ, তারা উসকানিমূলক এবং সাম্প্রদায়িকভাবে সংবেদনশীল কনটেন্ট, ভুয়া তথ্য এবং ভারতের বিরুদ্ধে বিভ্রান্তিকর প্রচার চালাচ্ছিল।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব আখত র
এছাড়াও পড়ুন:
ভারত-পাকিস্তান পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে বেইজিং: চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যকার উদ্ভূত পরিস্থিতির দিকে নিবিড়ভাবে নজর রাখছে চীন। পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দারের সঙ্গে এক ফোনালাপে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই এ কথা বলেছেন। চীনের বার্তা সংস্থা সিনহুয়ার প্রতিবেদন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
শনিবার ও রোববার সাপ্তাহিক ছুটির দিনেও পাকিস্তানের রাজনৈতিক নেতারা বিভিন্ন দেশের নেতাদের সঙ্গে কূটনৈতিক যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছেন। আন্তর্জাতিক নেতাদের সঙ্গে ফোনালাপে তাঁরা ভারত প্রসঙ্গে কথা বলেন।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ এবং উপপ্রধানমন্ত্রী ইসহাক দার চীন, যুক্তরাজ্য ও ইরানের নেতাদের সঙ্গে টেলিফোনে আলাদা করে কথা বলেছেন। এ সময় তাঁরা পাকিস্তানের বিরুদ্ধে নয়াদিল্লির ‘ভিত্তিহীন প্রচার ও একতরফা পদক্ষেপগুলোর’ প্রতি এসব নেতার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। সিন্ধু পানিবণ্টন চুক্তি স্থগিত করে ভারতের নেওয়া একতরফা পদক্ষেপের বিষয়েও কথা বলেন তাঁরা।
ইসহাক দার যুক্তরাজ্য ও চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন এবং ইসলামাবাদের জাতীয় স্বার্থ রক্ষার অবিচল সংকল্পের পাশাপাশি এই অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার প্রচেষ্টার ওপর জোর দেন।
সিনহুয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়, দারকে চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, তাঁর দেশ ভারত ও পাকিস্তানের পরিস্থিতির ওপর নিবিড়ভাবে নজর রাখছে।
ওয়াং বলেছেন, ‘অকৃত্রিম বন্ধু এবং যেকোনো পরিস্থিতিতে নির্ভরযোগ্য কৌশলগত সহযোগী হিসেবে চীন পাকিস্তানের বৈধ নিরাপত্তাজনিত উদ্বেগকে পুরোপুরি উপলব্ধি করে এবং সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তা স্বার্থ রক্ষায় পাকিস্তানকে সমর্থন করে।’
সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের প্রচেষ্টার প্রতি চীনের অবিচল সমর্থন থাকার কথা পুনর্ব্যক্ত করেন ইসহাক দার।
ওয়াং বলেছেন, এ ঘটনায় দ্রুত ও বস্তুনিষ্ঠ তদন্তের পক্ষে তাঁর দেশ। চীন মনে করে, এ সংঘাত ভারত বা পাকিস্তান কোনো পক্ষেরই মৌলিক স্বার্থকে রক্ষা করবে না। এটা আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতার ক্ষেত্রেও অনুকূল নয়।
চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আশা, ভারত ও পাকিস্তান দুই পক্ষই সংযম প্রদর্শন করবে এবং পরিস্থিতি শান্ত করতে একসঙ্গে কাজ করবে।