আপনি কি দ্রুত খান? জানুন এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
Published: 28th, April 2025 GMT
ব্যস্ত জীবনযাত্রায় অনেকেই তাড়াহুড়া করে খাবার খান। এই অভ্যাসটি কেবল পরিপাকতন্ত্রের ক্ষতি করে না, বরং ওজনও বাড়াতে পারে। দ্রুত খাবার খেলে অনেকেই প্রয়োজনের চেয়ে বেশি খান। এতে ওজন বাড়ে।
গবেষণায় দেখা গেছে, যারা ধীরে ধীরে এবং খাবার ভালোভাবে চিবিয়ে খায় তাদের ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে। গবেষণা অনুসারে,ধীরে ধীরে খেলে শরীর বুঝতে পারে যে পেট ভরা আছে। অন্যদিকে দ্রুত ও অতিরিক্ত খাবার খেলে শরীর প্রয়োজনের চেয়ে বেশি ক্যালোরি পায়, যা চর্বি হিসেবে জমা হতে শুরু করে।
দ্রুত খাওয়ার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
তাড়াতাড়ি খাওয়ার ফলে খাবার ঠিকমতো চিবানো সম্ভব হয় না, যার ফলে গ্যাস, অ্যাসিডিটি এবং বদহজম হতে পারে।
যারা তাড়াহুড়া করে খাবার খায় তাদের মধ্যে স্ট্রেসের মাত্রা বেশি থাকে কারণ তারা তাদের খাবার উপভোগ করতে পারে না।
কিছু গবেষণা অনুসারে, দ্রুত খাওয়ার অভ্যাস টাইপ ২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
তাহলে, খাওয়ার সঠিক উপায় কী?
প্রতিটি খাবার ভালো করে চিবিয়ে খান।
টিভি বা মোবাইল দেখার সময় খাওয়া এড়িয়ে চলুন।
খাওয়ার জন্য কমপক্ষে ২০ মিনিট সময় দিন।
খাওয়ার সময় মানসিকভাবে শান্ত এবং মনোযোগী থাকুন।
আপনি যদি আপনার ওজন নিয়ে চিন্তিত হন এবং ওজন কমাতে চান, তাহলে প্রথমে আপনার খাদ্যাভ্যাসের দিকে মনোযোগ দিন। খুব দ্রুত খাওয়া বন্ধ করুন এবং ধীরে ধীরে চিবিয়ে খান। এসব ছোটখাটো পরিবর্তন আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে বড় ভূমিকা পালন করতে পারে।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
অতীত জেনে মাধুরীকে বিয়ে করিনি: শ্রীরাম নেনে
১৯৯৯ সালে কোটি ভক্তের হৃদয় ভেঙে ডা. শ্রীরাম নেনেকে বিয়ে করেন বলিউডের ‘ধক ধক গার্ল’ মাধুরী দীক্ষিত। বিয়ের পর স্বামীর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান। ফলে রুপালি জগতের সঙ্গে তার দূরত্ব বাড়ে। ২০১১ সালে ভারতে ফিরে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন নেনে। মাধুরীও আবার নিজ অঙ্গনে ফিরেন। এ দম্পতি দুই সন্তানের জনক-জননী।
কয়েক দিন আগে ভারতের জনপ্রিয় ইউটিউবার রণবীর আলাহাবাদিয়াকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন মাধুরীর স্বামী। এ আলাপচারিতায় জানতে চাওয়া হয়, একজন সুপারস্টারকে বিয়ে করে অনুভূতি কেমন এবং জীবন কতটা বদলেছে। জবাবে নেনে বলেন, “আমেরিকাতেও এমনটা হয়েছিল! আমি তাকে সেভাবে চিনতাম না। সে আমার স্ত্রী এবং পার্টনার।”
বিয়ের পরের চ্যালেঞ্জিং সময়ের কথা জানিয়ে নেনে বলেন, “পরিচয় গোপন রাখাটা কঠিন ছিল, সাধারণ মানুষের মতো আচরণ করতে পারার ব্যাপার ছিল। ভাগ্যের বিষয় হলো— আমরা দুজনেই এটা উপভোগ করি। আমরা সবকিছুর জন্য খুবই কৃতজ্ঞ। মাধুরী খুবই সরল মনের মানুষ। ভক্ত ও অন্য মানুষের সঙ্গে তার আচরণই প্রমাণ। আমার ক্ষেত্রেও একই কথা। আমরা কেবল ভালো মানুষ হওয়ার চেষ্টা করি।”
আরো পড়ুন:
১৫ দিন নিজের প্রস্রাব নিজে পান করেছি: পরেশ রাওয়াল
‘সাজিদ খান আমার পোশাক খুলতে বলেন’
মাধুরীর অতীত জেনে বিয়ে করেননি নেনে। মাধুরীও ঠিক তাই। নেনে বলেন, “আমরা পরস্পরের যত্ন নিই। আমি কখনো তার অতীত জানিনি এবং সেও আমারটা না। আমরা ভিন্ন অঙ্গন থেকে এসেছি। কিন্তু আমরা একই সময়ের, একই অঞ্চলের। আমরা দুজনেই মহারাষ্ট্রের। কেউই ভাবিনি যে আমরা বিয়ে করব। এটি ছিল ভাগ্য। এটি আমার জীবনের সবচেয়ে আশ্চর্যজনক ঘটনা।”
ভারতে ফিরে আপনি কি আরো বেশি সুখী? জবাবে নেনে বলেন, “আমি আরো সুখী এটা বলতে পারব না। এটা আলাদা ব্যাপার। সেখানে (যুক্তরাষ্ট্রে) আপনি অপরিচিত, স্বাধীন। অনেকটাই স্ব-চালিত। ভারতে আমাদের সংস্কৃতি আছে, অনেক বন্ধন রয়েছে, তাই এটি আলাদা।”
১৯৮৪ সালে ‘অবোধ’ সিনেমার মাধ্যমে রুপালি জগতে পা রাখেন মাধুরী। এই সিনেমায় তার নায়ক ছিলেন বাঙালি অভিনেতা তাপস পাল। ১৯৮৮ সালে ‘তেজাব’ সিনেমার মাধ্যমে দর্শকমহলের সর্বত্র বিপুল সাড়া ফেলে দেন এই অভিনেত্রী।
আশির দশকের মাঝামাঝি থেকে নব্বই দশকের শেষ পর্যন্ত বলিউড কাঁপান মাধুরী। এই সুন্দরী অভিনেত্রীর ঝোলায় জমা পড়েছে— ‘রাম লক্ষ্মণ’, ‘তেজাব’, ‘হাম আপকে হ্যায় কৌন’, ‘কোয়লা’, ‘দিল তো পাগল হ্যায়’, ‘খলনায়ক’–এর মতো অজস্র সুপারহিট সিনেমা। সর্বশেষ ‘ভুল ভুলাইয়া থ্রি’ সিনেমায় দেখা যায় মাধুরীকে। এটি গত বছর মুক্তি পায়।
তথ্যসূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
ঢাকা/শান্ত