ঝালকাঠিতে সুগন্ধা নদী সংলগ্ন একটি খাল থেকে মিজান (২২) নামের এক যুবকের ভাসমান লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার (২৮ এপ্রিল) সকালে শহরের কলেজ খেয়াঘাট এলাকা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত মিজান ভোলা সদর উপজেলার ধুনিয়া তুলাতলী গ্রামের জাহাঙ্গীর ছেলে। তিনি ঝালকাঠিতে ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সকালে খালের পানিতে একটি লাশ ভাসতে দেখে স্থানীয়রা থানায় খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। নিহতের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, তাকে হত্যা করা হয়েছে।
আরো পড়ুন:
ঝলসানো যুবকের মরদেহ মিলল নদীর পাশের জঙ্গলে
শেরপুরে ধানক্ষেত থেকে অটোরিকশাচালকের মরদেহ উদ্ধার
ঝালকাঠি সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আসাদুল আল গালিব বলেন, ‘‘এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যুর মামলা রুজু হবে।’’
ঢাকা/অলোক/রাজীব
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর মরদ হ ন হত ঝ লক ঠ মরদ হ
এছাড়াও পড়ুন:
লন্ডনে পাকিস্তান হাইকমিশনে হামলা
যুক্তরাজ্যের রাজধানী লন্ডনে পাকিস্তানের হাইকমিশনে হামলা চালানো হয়েছে। হাইকমিশনের বাইরে শত শত ভারতীয় বিক্ষোভকারীর প্রতিবাদ সমাবেশের পর এই হামলার ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন। এই ঘটনায় দোষীদের শনাক্ত করতে তদন্ত শুরু হয়েছে।
রোববার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, হামলার সময় হাইকমিশনের জানালার কাঁচ ভেঙে ফেলা হয় এবং ভবনের বাইরের দেয়াল ও ফলকে গেরুয়া রঙের পেইন্ট নিক্ষেপ করা হয়। এতে চতুর্দিকে বিশৃঙ্খলা ছড়িয়ে পড়ে এবং সম্পত্তির ব্যাপক ক্ষতি হয়।
ঘটনার পর হাইকমিশনের চারপাশে নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হয়েছে এবং দোষীদের শনাক্ত করতে তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ লন্ডনে হাইকমিশনে হামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে একটি “নিরপেক্ষ, স্বচ্ছ ও বিশ্বাসযোগ্য” তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন এবং প্রয়োজনে পাকিস্তান নিজেও তদন্তে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন।
বিক্ষোভের সময় পুলিশের হস্তক্ষেপে দুই ব্যক্তিকে সহিংসতার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়। পাশাপাশি, পাকিস্তান সমর্থকরাও পাল্টা বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন।
সম্প্রতি ভারতশাসিত জম্মু ও কাশ্মিরের পেহেলগামে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা চরমে উঠেছে। ভারতের ২৬ নাগরিক নিহত হওয়ার ওই ঘটনার পর নয়াদিল্লি সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিত করেছে এবং পাকিস্তানও পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে ভারতীয় বিমান সংস্থাগুলোর জন্য পাকিস্তানি আকাশপথ বন্ধ করে দিয়েছে।