Samakal:
2025-04-28@08:38:29 GMT

অনিদ্রার কারণ

Published: 28th, April 2025 GMT

অনিদ্রার কারণ

ঘুম সারাদিনের ক্লান্তি, পরিশ্রম দূর করে সতেজ করে তোলে। চাঙ্গা হয় দেহ-মন। ঘুম ঠিকমতো না হলে সারাদিন কাটে অসহ্য ক্লান্তিতে; মেজাজ হয় খিটখিটে। 
অনেকেই রাতভর বিছানায় শুয়ে এপাশ-ওপাশ করেন। কয়েকবার ঘুম থেকে জেগে যান। আবার অনেকের সাত-আট ঘণ্টা ঘুমানোর পরও মনে হয়, ঘুম ভালো হয়নি। এরাই নিদ্রাহীনতায় আক্রান্ত। দীর্ঘদিন নিদ্রাহীনতা থাকলে হতে পারে হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপসহ নানা স্বাস্থ্য সমস্যা।

বিভিন্ন কারণে নিদ্রাহীনতা দেখা দিতে পারে। ক্যান্সার, হাঁপানি, আর্থ্রাইটিস, মানসিক চাপ, অবসাদ, বিভিন্ন ধরনের ওষুধ, বেডরুমের বেশি আলো ও শব্দ ইত্যাদি। 
যারা স্বল্প সময়ের জন্য নিদ্রাহীনতায় ভোগেন, তাদের সমস্যা মিটে যেতে পারে আপনাআপনি। কিন্তু দীর্ঘমেয়াদি নিদ্রাহীনতার জন্য প্রয়োজন চিকিৎসা। এ জন্য পরিবর্তন করতে হবে ঘুমের অভ্যাস; মেনে চলতে হবে নিয়মকানুন। দিনে ঘুমানোর অভ্যাস থাকলে বাদ দিন। চা-কফি রাতে পান না করাই ভালো। প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমান, এমনকি ছুটির দিনেও। ঘুমানোর আগে পড়তে পারেন মজার কোনো বই। 

ঘুমের আগে জটিল কোনো আলোচনা থেকে বিরত থাকুন। রাতে কম্পিউটার ব্যবহার, ইন্টারনেটে বসে চ্যাট, টিভি দেখার অভ্যাস দূর করুন। বেডরুম হতে হবে ঘুমের উপযোগী। অতিরিক্ত আলো ও শব্দমুক্ত হতে হবে। রাতের খাবার শোয়ার দুই-তিন ঘণ্টা আগেই শেষ করুন। ডিনারে পরিহার করুন রিচ ফুড, চর্বিজাতীয় খাবার। অতিরিক্ত তরল পানে বারবার প্রস্রাব রাতের ঘুমে ব্যাঘাত করতে পারে। ঘুমের আগে ধূমপান থেকে বিরত থাকুন। ব্যায়াম ঘুম গাঢ় করে। ঘুমানোর পাঁচ-ছয় ঘণ্টা আগে ব্যায়াম শেষ করুন। ঘুম না এলে বিছানায় শুধু শুধু শুয়ে থাকবেন না। বিছানা থেকে উঠে কম মনোযোগ দিতে হয়, এমন কাজ, যেমন– বই, পত্রিকা পড়া, মৃদু বাজনার গান শুনতে পারেন। 

ঘুম না এলে করতে পারেন রিলাক্সেশন টেকনিক। শুয়ে বুক ভরে শ্বাস নিন। প্রতিবারের শ্বাস হতে হবে আগের বারের চেয়ে গাঢ়। পায়ের মাংসপেশিগুলো টানটান করে কিছুক্ষণ ধরে রেখে আগের অবস্থায় নিয়ে আসুন। এভাবে প্রতিটি মাংসপেশির সংকোচন-প্রসারণ করতে পারেন। ভাবতে থাকুন কোনো সুখস্মৃতি।

অনেকেই আছেন, একটু ঘুমে ব্যাঘাত ঘটলেই শুরু করেন ঘুমের ওষুধ সেবন। এটি একেবারেই উচিত নয়। এতে বিভিন্ন ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। একসময় এমন অবস্থা দেখা দেয়, ওষুধ সেবন ছাড়া ঘুম আসে না। ওষুধের ডোজও বাড়াতে হয়। সে ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে সেবন করতে পারেন ওষুধ।

লেখক : সহকারী অধ্যাপক, ডিপার্টমেন্ট অব ইন্টারভেনশনাল নিউরোলজি, নিনস

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ন দ র হ নত

এছাড়াও পড়ুন:

ঈশ্বরদীর দাদাপুরে জমির বিরোধে সংঘর্ষে দু’পক্ষে ১০ জন হাসপাতালে

পাবনার ঈশ্বরদীতে জমিজমা নিয়ে বিরোধের জের ধরে উপজেলার লক্ষীকুন্ডা ইউনিয়নের দাদাপুর গ্রামে বিবাদমান দুই পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন। আজ সোমবার সকালে এ ঘটনায় থানায় মামলা নথিভূক্ত হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন ঈশরদী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মনিরুল ইসলাম।

পুলিশ জানায়, রোববার বিকেলে উপজেলার লক্ষীকুন্ডা ইউনিয়নের দাদাপুর পশ্চিমপাড়া গ্রামে দুই পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে হন দাদাপুর গ্রামের রাসেল হোসেনের স্ত্রী মনিরা খাতুন, শাহিন হোসেনের ছেলে সিয়াম হোসেন, মিনারুল ইসলামের ছেলে পারভেজ, নাছির মণ্ডলের ছেলে রায়হান মণ্ডল, সজিব হোসেনের স্ত্রী স্বর্ণা খাতুন, সাইদুল মণ্ডলের মেয়ে তুবা খাতুন, মৃত মন্টু মণ্ডলের ছেলে শাহিন মণ্ডলসহ অন্তত ১০ জন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে জমি-সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে ওই এলাকার সেলিম মন্ডল ও তার পরিবারের লোকজনদের সঙ্গে আলম মাঝি ও তার অনুসারীদের মধ্যে বিরোধ চলছিল।এ নিয়ে আদালতে একটি মামলায় কয়েকদিন আগে সেলিম মণ্ডলের পক্ষে রায় হয়। গতকাল রোববার স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের মাধ্যমে সেলিম মণ্ডল প্রতিপক্ষদের বিষয়টি অবগত করে ওই জমি চাষ করতে গেলে দু’পক্ষের মধ্যে প্রথমে কথা-কাটাকাটি শুরু হয়। একপর্যায়ে উভয় পক্ষই লাঠিসোটা ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে অন্তত ১০ জন গুরুতর আহত হয়। পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে মনিরা, স্বর্ণা ও রায়হানসহ মোট চারজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদেরকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। 

এ ঘটনায় ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শহিদুল ইসলাম শহীদ জানান, খবর পেয়ে এলাকায় পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। আজ সোমবার আহতদের মধ্যে সেলিম মণ্ডল বাদী হয়ে ২০-২৫ জনকে আসামি করে থানায় মামলা করেছেন। তবে এখনো কোনো আসামি গ্রেপ্তার হয়নি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ