রাইজিংবিডিতে সংবাদ প্রকাশ, লুট হওয়া বই ফেরত পেল পাঠাগার কর্তৃপক্ষ
Published: 28th, April 2025 GMT
রাইজিংবিডিতে সংবাদ প্রকাশের পর লুট হওয়া বই ফেরত পেয়েছে টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীর ‘অভয়ারণ্য’ পাঠাগার কর্তৃপক্ষ। রবিবার (২৭ এপ্রিল) রাতে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে দুপক্ষের সমঝোতা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে পাঠাগারে কোনো নিষিদ্ধ ঘোষিত বই বা নাস্তিক্যবাদ প্রচারের বই রয়েছে, এমন প্রমাণ পাওয়া যায়নি। পরে লুট হওয়া প্রায় চার শতাধিক বই পাঠাগার কর্তৃপক্ষকে ফেরত দেওয়া হয়।
এর আগে, পাঠাগারে ‘নাস্তিকদের’ বই, ফেসবুকে ঘোষণা দিয়ে লুট শিরোনামে সংবাদ প্রচার হয় দেশের শীর্ষ স্থানীয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল রাইজিংবিডিতে। এরপরই প্রশাসন বই ফেরতের উদ্যোগ নেয়।
ধনবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহিন মাহমুদের সভাপতিত্বে উপজেলা পরিষদের হলরুমে এই সমঝোতা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সায়েম ইমরান, ধনবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এস এম শহিদুল্লাহ, উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি খায়রুল মুন্সী, উপজেলা জামায়াতের আমির মিজানুর রহমান, অভয়ারণ্য পাঠাগারের সভাপতি সুপ্তি মিত্র, সম্পাদক সঞ্জয় চন্দ্র ঘোষ, ইসলামী খেলাফত মজলিশের নেতা গোলাম রব্বানী এবং স্থানীয় সংবাদকর্মীরা।
উভয়পক্ষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সভার শুরুতে ইউএনও মো.
গোলাম রব্বানী রিশাদ বলেন, ‘‘পাঠাগার কর্তৃপক্ষকে আহ্বান করেছি, তারা যেন কোনো ধর্মবিরোধী বা নিষিদ্ধ বই পাঠাগারে না রাখেন।’’
পাঠাগারের সাধারণ সম্পাদক দুর্জয় চন্দ্র বলেন, ‘‘পাঠাগারে কোনো ধর্মবিরোধী বই ছিল না। সেদিন যে বইগুলো নেওয়া হয়েছে, তার মধ্যে কাজী নজরুল ইসলাম, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, সঞ্জীব ভট্টাচার্য, জাফর ইকবাল প্রমুখের বই ছিল।’’
ইউএনও শাহীন মাহমুদ বলেন, ‘‘উভয়পক্ষকে নিয়ে আলোচনা করে শান্তিপূর্ণ সমাধান হয়েছে। দুই পক্ষই বৈঠকে ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে এসেছিলেন। পরে তাদের সঙ্গে নিয়ে বইগুলো পাঠাগারে দিয়ে আসা হয়েছে।’’
এর আগে, গত বৃহস্পতিবার রাতে ধনবাড়ী উপজেলা খেলাফত যুব মজলিসের সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম রব্বানীর নেতৃত্বে একদল যুবক গিয়ে প্রায় চার শতাধিক বই লুট করেন। পরে বইগুলো উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে জমা দেন তারা। সেদিন দাবি করা হয়েছিল, বইগুলো ধর্মবিরোধী।
ঢাকা/কাওছার/রাজীব
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর গ ল ম রব ব ন বইগ ল উপজ ল ধনব ড়
এছাড়াও পড়ুন:
সড়কে নিম্নমানের ইট-খোয়া ব্যবহারের অভিযোগ, নির্মাণকাজ আটকে দিলেন ইউএনও
নিম্নমানের ইট-খোয়া ও বালু ব্যবহারের অভিযোগে কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার শৌলমারী ইউনিয়নের একটি সড়কের নির্মাণকাজ সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে এসব অপসারণ করে ভালো মানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহারে দ্রুত কাজ শেষ করার জন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আজ শনিবার দুপুরে রৌমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উজ্জ্বল কুমার হালদার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ঠিকাদারকে ভালো মানের ইট দিয়ে কাজ শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর আগে গতকাল শুক্রবার এলাকাবাসীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন ইউএনও।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর ও রৌমারী উপজেলা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ২০২৪-২৫ অর্থবছরে চতলাকান্দা জিঞ্জিরাম নদীর মোড় থেকে গয়টাপাড়া এলাকা পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার সড়কে পাকাকরণের কাজ শুরু হয়। এতে চারটি প্যাকেজের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়। প্রতিটি প্যাকেজের নির্মাণমূল্য ধরা হয়, ১ কোটি ৫০ লাখ টাকা। কুড়িগ্রামের খলিলগঞ্জের মেসার্স দুলাল কনস্ট্রাকশনের স্বত্বাধিকারী জহুরুল হক কাজটি পেলেও রৌমারীর ঠিকাদার শহিদুল ইসলাম কাজটি কিনে নেন। কিন্তু কাজের শুরুতেই নিম্নমানের ইট-খোয়া ও মাটি মিশ্রিত বালু ব্যবহারের অভিযোগ ওঠে। পরে এলাকাবাসীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল বিকেলে ইউএনও সেখানে গিয়ে এসব সামগ্রী অপসারণের নির্দেশ দেন।
ঠিকাদার শহিদুল ইসলাম অভিযোগের বিষয়ে বলেন, যন্ত্র দিয়ে ট্রাক্টরে ইট তোলার সময় কিছু নিম্নমানের সামগ্রী এসেছিল। পরে নির্দেশনা অনুযায়ী সেগুলো সরিয়ে ফেলার কাজ শুরু হয়েছে।
রৌমারী উপজেলার স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপসহকারী প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম জানান, সড়ক নির্মাণের জন্য পরিপত্রে যে ধরনের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহারের কথা আছে, সেরকম ভালো মানের নির্মাণসামগ্রী যাচাই–বাছাই করেই কাজের সুযোগ দেওয়া হবে। ওই ঠিকাদারের ট্রাক্টরে কিছু ইটের সঙ্গে নিম্নমানের ইট এসেছিল। সেগুলো ফেরত পাঠানো হয়েছে। ভালো মানের ইট এনে আবার কাজ দ্রুত শেষ করার জন্য ঠিকাদারকে বলা হয়েছে।