বগুড়ায় ছাত্র অধিকার পরিষদের সভায় কথা–কাটাকাটির জেরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা যুগ্ম আহ্বায়ক রিয়াদ হাসানের ওপর হামলা ও মারধরের অভিযোগ উঠেছে জেলা বিএনপির এক নেতার ছেলের বিরুদ্ধে। গতকাল রোববার রাত সাড়ে আটটার দিকে শহরের আলতাফুন্নেছা খেলার মাঠে এ ঘটনা ঘটে।

আহত রিয়াদ হাসান মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তিনি বগুড়ার গাবতলী উপজেলার শালুকগাড়ি এলাকার বাসিন্দা।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বগুড়া জেলার সদস্যসচিব সাকিব খান বলেন, গতকাল বগুড়ায় সাংগঠনিক সফরে আসেন ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতারা। বিকেলে বগুড়া জেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এক সভায় জেলা বিএনপির সদস্য ও পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ফারুক হোসেনের ছেলে সিফাতের সঙ্গে রিয়াদের কথা–কাটাকাটি হয়। এর জেরে সন্ধ্যায় শহরের আলতাফুন্নেছা খেলার মাঠে রিয়াদের ওপর হামলা চালান সিফাত। একপর্যায়ে তিনি রিয়াদের মাথায় আঘাত করেন। পরে তিনি পাশের একটি মসজিদে গিয়ে আশ্রয় নেন। ঘটনার খবর পেয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা মসজিদের সামনে জড়ো হন। এ সময় সদর থানা ও ফাঁড়ির পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলেও পুলিশের সামনেই ফারুক হোসেনসহ কয়েকজন বিএনপি নেতা সিফাতকে সেখান থেকে নিয়ে যান বলে অভিযোগ উঠেছে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা অভিযোগ করেন, কিছুদিন আগেও সিফাতকে ইসলামী ছাত্রশিবিরের মিছিল-সমাবেশসহ বিভিন্ন কর্মসূচিতে দেখা গেছে। এখন তিনি ছাত্র অধিকার পরিষদের কর্মসূচিতে ঘোরাঘুরি করছেন। এ বিষয়ে সিফাতের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

বগুড়া সদর ফাঁড়ির পুলিশ পরিদর্শক শফিকুল ইসলাম বলেন, পুলিশের উপস্থিতিতে অভিযুক্তকে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ সঠিক নয়। মারধরের পর সিফাত মসজিদে ঢুকে পড়েন। ফলে পুলিশ তাঁকে আটক করতে পারেনি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ বিষয়ে বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এস এম মঈনুদ্দিন কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব এনপ

এছাড়াও পড়ুন:

ঈশ্বরদীর দাদাপুরে জমির বিরোধে সংঘর্ষে দু’পক্ষে ১০ জন হাসপাতালে

পাবনার ঈশ্বরদীতে জমিজমা নিয়ে বিরোধের জের ধরে উপজেলার লক্ষীকুন্ডা ইউনিয়নের দাদাপুর গ্রামে বিবাদমান দুই পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন। আজ সোমবার সকালে এ ঘটনায় থানায় মামলা নথিভূক্ত হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন ঈশরদী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মনিরুল ইসলাম।

পুলিশ জানায়, রোববার বিকেলে উপজেলার লক্ষীকুন্ডা ইউনিয়নের দাদাপুর পশ্চিমপাড়া গ্রামে দুই পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে হন দাদাপুর গ্রামের রাসেল হোসেনের স্ত্রী মনিরা খাতুন, শাহিন হোসেনের ছেলে সিয়াম হোসেন, মিনারুল ইসলামের ছেলে পারভেজ, নাছির মণ্ডলের ছেলে রায়হান মণ্ডল, সজিব হোসেনের স্ত্রী স্বর্ণা খাতুন, সাইদুল মণ্ডলের মেয়ে তুবা খাতুন, মৃত মন্টু মণ্ডলের ছেলে শাহিন মণ্ডলসহ অন্তত ১০ জন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে জমি-সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে ওই এলাকার সেলিম মন্ডল ও তার পরিবারের লোকজনদের সঙ্গে আলম মাঝি ও তার অনুসারীদের মধ্যে বিরোধ চলছিল।এ নিয়ে আদালতে একটি মামলায় কয়েকদিন আগে সেলিম মণ্ডলের পক্ষে রায় হয়। গতকাল রোববার স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের মাধ্যমে সেলিম মণ্ডল প্রতিপক্ষদের বিষয়টি অবগত করে ওই জমি চাষ করতে গেলে দু’পক্ষের মধ্যে প্রথমে কথা-কাটাকাটি শুরু হয়। একপর্যায়ে উভয় পক্ষই লাঠিসোটা ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে অন্তত ১০ জন গুরুতর আহত হয়। পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে মনিরা, স্বর্ণা ও রায়হানসহ মোট চারজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদেরকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। 

এ ঘটনায় ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শহিদুল ইসলাম শহীদ জানান, খবর পেয়ে এলাকায় পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। আজ সোমবার আহতদের মধ্যে সেলিম মণ্ডল বাদী হয়ে ২০-২৫ জনকে আসামি করে থানায় মামলা করেছেন। তবে এখনো কোনো আসামি গ্রেপ্তার হয়নি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ