প্রেম বিয়েতে না গড়ালেও, তারকা জুটি হন বেয়াই-বেয়াইন
Published: 28th, April 2025 GMT
বলিউডের এক সময়ের দাপুটে অভিনেতা ফিরোজ খান। তার জন্ম বেঙ্গালুরুতে। তার মা ছিলেন পারস্য বংশোদ্ভূত আর বাবা আফগান। যে কারণে ফিরোজ খানের চেহারায় পশ্চিমাদের ছোঁয়া ছিল। ফলে বলিউডে ইন্ডাস্ট্রিতে পা রেখেই সবার নজর কাড়েন। তার আসল নাম জুলফিকার আলি শাহ খান। রুপালি জগতে পা রেখে সেই নাম বদলে হন ফিরোজ খান।
মডেলিং দিয়ে ক্যারিয়ারের যাত্রা শুরু করেন ফিরোজ খান। ১৯৬৫ সালে ‘আরজু’ সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে আত্মপ্রকাশ করেন। অভিষেক সিনেমা তাকে তারকা খ্যাতি এনে দেয়। ক্যারিয়ারে মুমতাজ, হেমা মালিনী, রেখা, জিনাত আমানের মতো তারকারা তার নায়িকা হয়েছেন। ‘ধর্মাত্মা’, ‘কোরবানি’, ‘জানবাজ’, ‘মেলা’, ‘ওয়েলকাম’-এর মতো সুপারহিট সিনেমা উপহার দিয়েছেন
মুমতাজ-ফিরোজ খানের অনস্ক্রিন রসায়ন পর্দায় রীতিমতো ঝড় তুলেছিল। সেসময় প্রেমের সম্পর্কে জড়ানোর গুঞ্জন শোনা যেত। কিন্তু ফিরোজ খান সত্যি মুমতাজকে মন দিয়েছিলেন। দুজনের ধর্ম এক হওয়াতে এ সম্পর্ক এগোতে সময় লাগেনি।
তবে মুমতাজ ছিলেন প্রেমে ঘা খাওয়া মেয়ে। কারণ এর আগে শাম্মি কাপুরের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে তা এগিয়ে নিয়েছিলেন মুমতাজ। শাম্মি কাপুর বিয়ের জন্য মুমতাজকে প্রস্তাব দিলেও শর্ত জুড়ে দেন। তার শর্ত ছিল— বিয়ে করলে মুমতাজকে অভিনয় ছেড়ে কাপুর পরিবারের স্ত্রী হয়েই থাকতে হবে। কিন্তু মুমতাজ এ শর্তে রাজি হননি।
মুমতাজ-ফিরোজের প্রেমও গভীর ছিল। তবে অজানা সংশয়ও ছিল। ফিরোজের ভালোবাসাকে মুমতাজ বলেছিলেন— “হ্রদের জলে ঝাঁপ দেওয়া”। কোনোভাবেই ফিরোজের সঙ্গে সম্পর্ককে বিয়েতে রূপ দিতে চাননি মুমতাজ। প্রেম পরিণয় না পেলেও দুজনের বন্ধুত্ব আজীবন ছিল।
ফিরোজ খান বহুগামী ছিলেন। এ খবর জানতেন মুমতাজ। ঘরে সুন্দরী স্ত্রী ও তিন সন্তান থাকা সত্ত্বেও বিমানবালা জ্যোতিকার প্রেমে পড়েছিলেন ফিরোজ। জ্যোতিকা ফিরোজকে বিয়ের প্রস্তাব দিলেও ফিরোজ তার প্রথম বিয়ে ভাঙতে চাননি। অথচ স্ত্রীর কাছে গোপন রাখেন এই পরকীয়া। স্ত্রী জানার পর সংসারে প্রচন্ড অশান্তি তৈরি হয়েছিল। এই অশান্তি এক বছর ধরে চললেও, সংসার ভাঙেনি।
১৯৭৪ সালে ব্যবসায়ী ময়ূর মাধবনীকে বিয়ে করেন মুমতাজ। এ সংসারে তাদের দুই কন্যা সন্তান রয়েছে। ভাগ্যের লিখন বদলানো যায় না! ফিরোজ-মুমতাজ স্বামী-স্ত্রী হননি ঠিকই। কিন্তু পরবর্তীতে তাদের ছেলে-মেয়ে প্রেমের সম্পর্কে জড়ান। ২০০৫ সালে ফিরোজ খানের পুত্র ফারদিন খান বিয়ে করেন মুমতাজের কন্যা নাতাশা মাধবনীকে। ফলে প্রেমিক-প্রেমিকা থেকে মুমতাজ-ফিরোজ বেয়াই-বেয়াইন হয়ে যান।
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ঈশ্বরদীর দাদাপুরে জমির বিরোধে সংঘর্ষে দু’পক্ষে ১০ জন হাসপাতালে
পাবনার ঈশ্বরদীতে জমিজমা নিয়ে বিরোধের জের ধরে উপজেলার লক্ষীকুন্ডা ইউনিয়নের দাদাপুর গ্রামে বিবাদমান দুই পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন। আজ সোমবার সকালে এ ঘটনায় থানায় মামলা নথিভূক্ত হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন ঈশরদী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মনিরুল ইসলাম।
পুলিশ জানায়, রোববার বিকেলে উপজেলার লক্ষীকুন্ডা ইউনিয়নের দাদাপুর পশ্চিমপাড়া গ্রামে দুই পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে হন দাদাপুর গ্রামের রাসেল হোসেনের স্ত্রী মনিরা খাতুন, শাহিন হোসেনের ছেলে সিয়াম হোসেন, মিনারুল ইসলামের ছেলে পারভেজ, নাছির মণ্ডলের ছেলে রায়হান মণ্ডল, সজিব হোসেনের স্ত্রী স্বর্ণা খাতুন, সাইদুল মণ্ডলের মেয়ে তুবা খাতুন, মৃত মন্টু মণ্ডলের ছেলে শাহিন মণ্ডলসহ অন্তত ১০ জন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে জমি-সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে ওই এলাকার সেলিম মন্ডল ও তার পরিবারের লোকজনদের সঙ্গে আলম মাঝি ও তার অনুসারীদের মধ্যে বিরোধ চলছিল।এ নিয়ে আদালতে একটি মামলায় কয়েকদিন আগে সেলিম মণ্ডলের পক্ষে রায় হয়। গতকাল রোববার স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের মাধ্যমে সেলিম মণ্ডল প্রতিপক্ষদের বিষয়টি অবগত করে ওই জমি চাষ করতে গেলে দু’পক্ষের মধ্যে প্রথমে কথা-কাটাকাটি শুরু হয়। একপর্যায়ে উভয় পক্ষই লাঠিসোটা ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে অন্তত ১০ জন গুরুতর আহত হয়। পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে মনিরা, স্বর্ণা ও রায়হানসহ মোট চারজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদেরকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এ ঘটনায় ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শহিদুল ইসলাম শহীদ জানান, খবর পেয়ে এলাকায় পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। আজ সোমবার আহতদের মধ্যে সেলিম মণ্ডল বাদী হয়ে ২০-২৫ জনকে আসামি করে থানায় মামলা করেছেন। তবে এখনো কোনো আসামি গ্রেপ্তার হয়নি।