২০২৪ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর রাতের কথা। ভিয়ারিয়ালের মাঠে ভিয়ারিয়ালকে ৫-১ গোলে উড়িয়ে লিগে টানা ষষ্ঠ জয় আদায় করে নেয় বার্সেলোনা। কিন্তু জিতেও যেন স্বস্তি ছিল না বার্সা শিবিরে। হাঁটুতে মারাত্মক চোট পেয়ে যে স্ট্রেচারের করে মাঠ ছাড়তে হয়েছে গোলরক্ষক মার্ক-আন্দ্রে টের স্টেগেন। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে শূন্যে লাফিয়ে বল ধরার পর পড়ে গিয়ে ডান হাঁটুতে এই চোট পান জার্মান গোলরক্ষক।

সে সময়েই বোঝা যাচ্ছিল, খারাপ কোনো খবর পেতে যাচ্ছে বার্সেলোনা। হয়েছেও তাই। জানা যায়, গুরুতর এই চোটে মৌসুম শেষ হয়ে গেছে টের স্টেগেনের। দলের প্রধান গোলরক্ষককে হারিয়ে বার্সার তখন পাগলপ্রায় দশা।

ইনিয়াকি পেনিয়া দ্বিতীয় গোলরক্ষক হিসেবে থাকলেও মৌসুমজুড়ে তাঁর ওপর আস্থা রাখা কঠিনই ছিল। আর কোনো কারণে যদি তাঁকেও হারাতে হয়, তখন কী হবে! সব মিলিয়ে বার্সার আরেকজন গোলরক্ষককে দলে টানা জরুরি হয়ে দাঁড়ায়।

কিন্তু লা লিগার দলবদলের দুয়ার তখন বন্ধ হওয়ায় বিকল্প পথের সন্ধান করতে হয় বার্সাকে। এর মধ্যে একটা পথ পেয়েও যায় তারা। স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশনের (আরএফইএফ) বিশেষ শর্ত মেনে গোলরক্ষক ভেড়ানোর সুযোগ পায় কাতালান ক্লাবটি। শর্তটি হচ্ছে চোটাক্রান্ত খেলোয়াড়টিকে চার মাসের বেশি সময়ের জন্য মাঠের বাইরে ছিটকে যেতে হবে।

আরও পড়ুনআলিসন ও সেজনি: মানব থেকে অতিমানব০৬ মার্চ ২০২৫

পাশাপাশি যে খেলোয়াড়টি তারা নেবে, তাঁকে ফ্রি এজেন্ট হতে হবে এবং দলবদল শেষ হওয়ার আগেই আগের ক্লাবের সঙ্গে চুক্তি শেষ করতে হবে। এ ছাড়া নতুন যে গোলরক্ষককে তারা কিনবে, তাঁকে আহত গোলরক্ষকের ৮০ শতাংশ পর্যন্ত বেতন দেওয়ার অনুমতি পাবে ক্লাবটি। যেমন বার্সায় টের স্টেগেন বেতন পান বছরে ৯০ লাখ ইউরো। এখন নতুন গোলরক্ষকের বেতন হতে পারবে বছরে সর্বোচ্চ ৭০ লাখ ইউরো।

এত শর্ত মেনে খেলোয়াড় খুঁজে বের করা সহজ ব্যাপার ছিল না। কিন্তু এই কঠিন শর্তই বার্সাকে পৌঁছে দেয় ভয়চেক সেজনির কাছে। যিনি এক মাস আগে অর্থাৎ ২০২৪ সালের ১৪ আগস্ট জুভেন্টাসের সঙ্গে সমঝোতার ভিত্তিতে চুক্তি ছিন্ন করে হয়ে যান ফ্রি এজেন্ট।  

দলের সঙ্গে ট্রফি হাতে সেজনির উদ্‌যাপন.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

সেই ‘ছোট সাজ্জাদ’ ফের ৩ দিনের রিমান্ডে

চট্টগ্রামের শীর্ষ সন্ত্রাসী ‘ছোট সাজ্জাদ’ ওরফে বুড়ির নাতিকে জেলার হাটহাজারী থানার একটি হত্যা মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। রোববার চট্টগ্রামের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নাজমুন নাহারের আদালত শুনানি শেষে এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে কড়া পুলিশ পাহারায় আসামিকে কারাগার থেকে আদালতে তোলা হয়।

হাটহাজারী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কাজী মো. তারেক আজিজ জানান, ২০২৪ সালের ২৯ আগস্ট অক্সিজেন মোড় এলাকায় ডাবল মার্ডারের ঘটনায় হাটহাজারি থানায় একটি হত্যা মামলা হয়। ওই মামলায় আসামি সাজ্জাদের ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হলে শুনানি শেষে আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে ১৩ এপ্রিল বাকলিয়া থানার জোড়া খুনের মামলায় ‘ছোট সাজ্জাদে’র ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

এর আগে গত ৫ এপ্রিল তাহসিন হত্যা মামলায় ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। শুনানি শেষে আদালত ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। চান্দগাও অদুরপাড়ায় গত বছরের ২১ অক্টোবর বিকেলে একদল যুবক প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করে তাহসিনকে। এলাকার আধিপত্য নিয়ে দুই সন্ত্রাসী গোষ্ঠী-সারোয়ার হোসেন ওরফে বাবলা ও ছোট সাজ্জাদের বিরোধে খুন হন তাহসিন। এ ঘটনায় দায়ের হওয়া খুনের মামলার আসামি সাজ্জাদ।

সন্ত্রাসী ছোট সাজ্জাদ হাটহাজারী উপজেলার শিকারপুরের মো. জামালের ছেলে। তার বিরুদ্ধে হত্যা, অস্ত্র, চাঁদাবাজির ১৫টিরও বেশি মামলা রয়েছে। ছোট সাজ্জাদ ও আরেক সন্ত্রাসী সারোয়ার হোসেন বাবলার মধ্যে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার, ব্যবসা ও রাজনৈতিক মতাদর্শ নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে গত বছরের ২৯ আগস্ট রাতে কুয়াইশ-অক্সিজেন সড়কে মো. আনিস ও মাসুদ কায়ছার নামে দুই জন খুন হন। তারা চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার পশ্চিম কুয়াইশ এলাকার বাসিন্দা। এ ঘটনায় মাসুদ কায়ছারের ছোট ভাই মো. আরিফ বাদী হয়ে সাজ্জাদসহ ৬ জনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা করেন। 

২০২৪ সালের ৪ ডিসেম্বর নগরীর অক্সিজেন এলাকায় ছোট সাজ্জাদকে ধরতে অভিযানে যায় বায়েজিদ বোস্তামি থানা পুলিশ। ওই সময় গুলি ছুঁড়তে ছুঁড়তে পালিয়ে যান তিনি। এতে পুলিশসহ পাঁচজন আহত হন। পরে একই থানার ওসিকে ফেসবুক লাইভে এসে পেটানোর হুমকি দেন তিনি। এরপর চলতি বছরের ২৯ জানুয়ারি তাকে ধরিয়ে দিতে পুরষ্কার ঘোষণা করেন নগর পুলিশ কমিশনার হাসিব আজিজ।

এরপর আত্মগোপনে চলে যায় সন্ত্রাসী সাজ্জাদ। গত ১৫ মার্চ দিবাগত রাতে রাজধানীর বসুন্ধরা সিটি থেকে সাজ্জাদকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাকে গ্রেপ্তারের দুই সপ্তাহের মাথায় ২৯ মার্চ দিবাগত রাত সোয়া ২টার দিকে বাকলিয়া থানার এক্সেস রোড এলাকায় প্রাইভেটকারে দুর্বৃত্তের গুলিতে দুজন নিহত হন। জোড়া খুনের ঘটনায় ১ এপ্রিল বাকলিয়া থানায় নিহত মোহাম্মদ মানিকের মা ফিরোজা বেগম বাদী হয়ে সাজ্জাদ ও তার স্ত্রী শারমিনসহ পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • অগ্রণী ইন্স্যুরেন্সের ১২ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা
  • প্রাইম ইন্স্যুরেন্সের ১০ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা
  • সেই ‘ছোট সাজ্জাদ’ ফের ৩ দিনের রিমান্ডে
  • লভ্যাংশের টাকা পাঠিয়েছে গ্রিন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্স
  • হাইডেলবার্গ সিমেন্টের ২৫ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা
  • খাদ্য মূল্যস্ফীতির ‘লাল’ তালিকায় বাংলাদেশ
  • রূপালী ইন্স্যুরেন্সের ১০ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা
  • শাহাদাতের ক্ষমতা বাড়লেও গুরুত্ব কমেছে দলে
  • নার্সিং নিয়ে আর অবহেলা নয়