ইমরান খানের ওপর গুলি চালানো নাভিদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
Published: 28th, April 2025 GMT
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ইমরান খানের ওপর হামলার প্রধান অভিযুক্ত ব্যক্তিকে দুটি পৃথক যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১৫ লাখ রুপি জরিমানা করা হয়েছে। গুজরানওয়ালার একটি সন্ত্রাসবিরোধী আদালত গত শনিবার এ সাজা ঘোষণা করেছেন।
পাঞ্জাবের ওয়াজিরাবাদে ২০২২ সালের ৩ নভেম্বর পিটিআইয়ের বিক্ষোভের সময় এ হামলার ঘটনা ঘটে। নাভিদ বশীর নামের এক বন্দুকধারীর গুলিতে ইমরান খান, সিনেটর ফয়সাল জাভেদসহ কয়েকজন আহত হন। এ ঘটনায় পিটিআইয়ের একজন কর্মী নিহত হন। পুলিশ ঘটনাস্থলেই প্রধান হামলাকারীকে গ্রেপ্তার করে।
ইমরান খান তখনকার ফেডারেল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ জোট সরকারকে ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার অভিযোগ করেন। ঘটনাটির প্রথম এফআইআর ৭ নভেম্বর ওয়াজিরাবাদের সিটি থানায় দায়ের করা হয় এবং ১৯৯৭ সালের সন্ত্রাসবিরোধী আইনের আওতায় একটি যৌথ তদন্ত দল (জেআইটি) গঠন করা হয়।
সন্ত্রাসবিরোধী আদালতের বিচারক মোহাম্মদ নাঈম সেলিম গত শনিবার শুনানি শেষে মামলার রায় ঘোষণা করেন। আদালত প্রধান অভিযুক্ত নাভিদকে হত্যা ও সন্ত্রাসবাদের অভিযোগে দুটি পৃথক যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। অপর দুই অভিযুক্ত তৈয়ব জাহাঙ্গীর বাট ও ওয়াকাস খালাস পান।
গুজরানওয়ালা কেন্দ্রীয় কারাগারের সুপারিনটেনডেন্টের উদ্দেশে জারি করা সাজা কার্যকরের ওয়ারেন্ট অনুযায়ী, নাভিদকে পাকিস্তান দণ্ডবিধির (পিপিসি) ৩০২বি ধারা (পরিকল্পিত হত্যা) এবং সন্ত্রাসবিরোধী আইনের (এটিএ) ৭এ ধারা (সন্ত্রাসমূলক কর্মকাণ্ডের জন্য শাস্তি) অনুযায়ী পৃথকভাবে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ইমর ন খ ন
এছাড়াও পড়ুন:
গাজীপুরে গ্যাস সিলিন্ডার লিকেজের আগুনে পাঁচজন দগ্ধ
গাজীপুরে একটি বাড়িতে গ্যাস সিলিন্ডারের লিকেজের আগুনে পাঁচজন দগ্ধ হয়েছেন। গতকাল রোববার রাত আটটার দিকে নগরের মোগরখাল মোল্লা মার্কেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। দগ্ধদের ঢাকার জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গাজীপুর নগরের মোগরখাল মোল্লা মার্কেট এলাকার একটি বাসায় গতকাল রাত আটটার দিকে পারভিন আক্তার নামের এক নারী রান্না করছিলেন। এ সময় গ্যাস সিলিন্ডার লিকেজ থেকে হঠাৎ আগুন ধরে যায়। এতে পারভিনসহ পাঁচজন দগ্ধ হন। তাঁদের প্রথমে গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে তাঁদের ঢাকার জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে স্থানান্তর করা হয়।
দগ্ধ অন্য চারজন হলেন সীমা আক্তার (৩০), তাসলিমা আক্তার, পারভিন আক্তারের দেড় বছরের ছেলে আয়ান, শেফালী বেগম (৪০) ও তাঁর মেয়ে তানজিলা।
বাসন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কায়সার আহমেদ বলেন, গ্যাস লিকেজ থেকে আগুনে পাঁচজন দগ্ধ হয়েছেন। তাঁদের উদ্ধার করে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে ওসি জানান, তাসলিমার শরীরের ৯৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। এ ছাড়া দুজন ৯০ শতাংশ, একজন ৩২ শতাংশ ও অন্য একজন ২৮ শতাংশ দগ্ধ হয়েছেন।