কিটক্যাট অপারেটিং সিস্টেম (ওএস) যাত্রা করে ২০১৩ সালে। ক্রমান্বয়ে তার ব্যবহার কমেছে। কারণ, জনপ্রিয়তা হারিয়েছে সিস্টেমটি।
অধিকাংশ ক্ষেত্রে আরও আধুনিক সফটওয়্যার ব্যবহৃত হচ্ছে। ঠিক এমন কারণেই মেটা সিদ্ধান্ত নিয়েছে, কিটক্যাট থেকে সাপোর্ট সিস্টেম তুলে নেওয়া হবে। আধুনিক অপারেটিং সিস্টেমের যাবতীয় কাজের সঙ্গে এতটা পিছিয়ে থাকা প্রযুক্তির আপডেট চালানো চ্যালেঞ্জ। ঠিক সে কারণেই মেটার এমন সিদ্ধান্ত। জানা গেছে, পুরোনো অপারেটিং সিস্টেমে অনেক সময়ই নতুন আপডেট সমর্থন করে না। ফলে কাজে যেমন অসুবিধা হয়, তেমনি নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা থেকেই যায়।
হোয়াটসঅ্যাপ নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে মেটা। নতুন বছর থেকেই কাযকর হবে নতুন নিয়ম। কয়েকটি ব্র্যান্ডের বেশ কিছু অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসে হোয়াটসঅ্যাপ আর সচল হবে না বলে সাফ জানিয়েছে মেটা। ২০২৫ সালে ধারাবাহিকভাবে নতুন সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।
যেসব মডেল হোয়াটসঅ্যাপ সমর্থন পাবে না, তার মধ্যে স্যামসাং ব্র্যান্ডের গ্যালাক্সি এসথ্রি, নোট টু, এসিই থ্রি, এস ফোর মিনি মডেল; মটোরোলা ব্র্যান্ডের মোটো জি (ফার্স্ট জেন), রেজার এইচডি, মোটো-টু ২০১৪ মডেল; এইচটিসি ব্র্যান্ডের ওয়ান এক্স, ওয়ান এক্স প্লাস, ডিজায়ার ৫০০, ডিজায়ার ৬০১ মডেল, এলজি ব্র্যান্ডের অপ্টিমাস জি, নেক্সাস ফোর, জিটু মিনি মডেল; সনি ব্র্যান্ডের এক্সপেরিয়া জেড, এক্সপেরিয়া এসপি, এক্সপেরিয়া টি এবং এক্সপেরিয়া ভি অন্যতম।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: হ য় টসঅ য প হ য় টসঅ য প
এছাড়াও পড়ুন:
শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়: নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কর্মসূচি, ছাত্রদলের সভাপতি-সম্পাদককে নোটিশ
নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে দলীয় ব্যানারে কর্মসূচি পালন করায় শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। গতকাল রোববার ওই চিঠি দেওয়া হয়েছে। আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে তাঁদের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার প্রক্টর মোখলেসুর রহমান স্বাক্ষরিত নোটিশে বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল শাবিপ্রবি শাখা ৮ এপ্রিল ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে শাবিপ্রবি ক্যাম্পাসে একটি মানববন্ধন করে, যা প্রশংসনীয়। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ থাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ে শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছেন এবং ২১ এপ্রিল প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হত্যার প্রতিবাদে ক্যাম্পাসে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ব্যানারে মানববন্ধন ও র্যালি করেন, যা কিনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ থাকায় একটি শৃঙ্খলাভঙ্গের অপরাধ করেছেন এবং অপরাপর ছাত্রসংগঠনগুলোর ওপর এর বিরূপ প্রভাব পড়েছে। তাই আপনাদের বিরুদ্ধে কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তা আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রক্টর বরাবর লিখিতভাবে কারণ দর্শানোর জন্য নির্দেশ প্রদান করা হলো।’
গত ১৪ মার্চ শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নতুন কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়। কমিটিতে সভাপতি হিসেবে সফটওয়্যার প্রকৌশল বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী রাহাত জামান ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে পরিসংখ্যান বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের নাঈম সরকার মনোনীত হন।
গত বছরের ৬ নভেম্বর ক্যাম্পাসে দলীয় ব্যানারে রাজনৈতিক কার্যক্রমে আপাতত নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। তবে এ নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে শাখা ছাত্রদলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে ক্যাম্পাসে দলীয় ব্যানারে কর্মসূচি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সভাপতি রাহাত জামান প্রথম আলোকে বলেন, 'যে দুইটা বিষয়ে কর্মসূচি করেছি, সেগুলো জাতীয় ইস্যু। আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীর ব্যানারে লুকিয়ে স্বার্থ হাসিল করতে চাইনি। আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীদের কাউকে জোর করিনি। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিষেধাজ্ঞা যদি অমান্য হয়ে থাকে, আমরা তিনদিনের মধ্যে শোকজের জবাব দেব।'
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মোখলেসুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সিদ্ধান্তকে উপেক্ষা করে শৃঙ্খলাভঙ্গের কাজ অপরাধ হিসেবে বিবেচিত। আইন অমান্য করে কর্মসূচির কারণে ছাত্রদলের নেতাদের শোকজ করা হয়েছে। লিখিতভাবে তাঁদের জবাব পেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।