চট্টগ্রামে বকেয়া বেতনের দাবিতে তিন ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করেছেন পোশাকশ্রমিকেরা। আজ রোববার বেলা ৩টার দিকে নগরের শাহ আমানত সেতু সংযোগ সড়কে অবস্থান নিয়ে সড়ক অবরোধ করেন সিলেকশন ফ্যাশন ওয়্যার লিমিটেডের শ্রমিকেরা। এতে শাহ আমানত সেতু সংযোগ সড়কের চান্দগাঁও থানা এলাকার দুই পাশ অচল হয়ে পড়ে। পরে সন্ধ্যা ৬টার দিকে সরে যান তাঁরা।

প্রতক্ষ্যদর্শীরা জানান, বেলা ৩টার দিকে অর্ধশতাধিক শ্রমিক সড়কের ওপর এসে অবস্থান নেন। তাঁরা বেতনের দাবিতে স্লোগান দিতে থাকেন। পাশে খাল ও নালার কাজে ব্যবহার করা বাঁশ সড়কে এনে প্রতিবন্ধক (ব্যারিকেড) দেন। এ সময় দুই পাশে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে সাধারণ মানুষ ক্ষিপ্ত হয়ে উঠলে সড়ক ছাড়তে বাধ্য হন শ্রমিকেরা।

জানা গেছে, বকেয়া বেতনের দাবিতে সড়ক অবরোধ করেন সিলেকশন ফ্যাশন ওয়্যার লিমিটেডের শ্রমিকেরা। কারখানাটি শাহ আমানত সেতু সংযোগ সড়কের এসকে মার্কেটে অবস্থিত ছিল। বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) তথ্য অনুযায়ী কারখানাটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মানিক মো.

বাবলু।

তবে কারখানাটি দুই বছর আগেই এম এ কবির নামের এক ব্যক্তিকে ভাড়া (সাব কন্ট্রাক্টে) দিয়েছেন বলে জানান মানিক মো. বাবলু। জানতে চাইলে এম এ কবির প্রথম আলোকে বলেন, দুই মাসের নয়, এ মাসের বেতন বকেয়া রয়েছে। সাধারণত ২০ তারিখ দেওয়া হয়। এক সপ্তাহ দেরি হওয়ায় শ্রমিকেরা সড়কে নামেন। দ্রুত বেতন পরিশোধ করা হবে।

চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আফতাব উদ্দিন বলেন, বকেয়া বেতনের দাবিতে শ্রমিকেরা সড়ক অবরোধ করেন। বেলা ৩টা থেকে প্রায় তিন ঘণ্টা সড়ক বন্ধ ছিল। পরে তাঁদের বুঝিয়ে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বকেয়া আদায়ে আলোচনা করা হচ্ছে।

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

গাজীপুরে বিস্ফোরণে একই পরিবারের ৫ জন দগ্ধ, সবার অবস্থা আশঙ্কাজনক

গাজীপুরের বাসন থানা এলাকায় গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে নারী-শিশুসহ একই পরিবারের পাঁচ জন দগ্ধ হয়েছেন। তাদের সবার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে চিকিৎসক জানিয়েছেন। 

রবিবার (২৭ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৭টার দিকে বাসন থানার মোগরখাল এলাকার একটি বাসায় এ দুর্ঘঘটনা ঘটে। পরে দগ্ধ অবস্থায় তাদের রাত সাড়ে ১১টার দিকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। 

দগ্ধরা হলেন, পারভীন আক্তার (৩৫ বছর), তাসলিমা (৩০) বয়সী, সীমা (৩০), তানজিলা (১০) ও দেড় বছরের আইয়ান। 

আরো পড়ুন:

ছেলের পর নাতীকে হারিয়ে পাগলপ্রায় রাবেয়া বেগম

নড়াইলে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর মৃত্যু

তাদের আত্মীয় মফিজুল ইসলাম জানান, সন্ধ্যা ৭টার দিকে  রান্না করার জন্য চুলা জ্বালালে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে এবং আগুন ধরে যায়। ধারণা করা হচ্ছে গ্যাস সিলিন্ডারের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ ঘটেছে। 

জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের আবাসিক চিকিৎসক মোহাম্মদ শাওন বিন রহমান জানান, গাজীপুরের সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনায় পাঁচ জনকে দগ্ধদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। আগুনে সীমার শরীরের ৯০ শতাংশ, পারভীনের ৩২ শতাংশ, তানজিলার ৯০ শতাংশ, তাসলিমার ৯৫ শতাংশ ও আয়ানের ২৮ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। তাদের সবার অবস্থা আশঙ্কাজনক।

ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে গ্যাসের আগুনে প্রায়ই দগ্ধ হচ্ছে মানুষ। তাদের অনেকে চিকিৎসা নিতে ঢাকায় আসছেন। কিন্তু সবাইকে বাঁচানো যাচ্ছে না বলে জানান চিকিৎসকরা। 

জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের হিসাবে, শুধু ২০২৪ সালে আগুনে দগ্ধ হয়ে ১২ হাজার ৮১১ জন রোগী জরুরি বিভাগে এসেছিলেন। তাদের মধ্যে হাসপাতালে ভর্তি হন ৪৬৮০ জন রোগী। ভর্তি রোগীদের মধ্যে মারা যান ১০০২ জন। অর্থাৎ হাসপাতালে ভর্তি হওয়া প্রতি ১০০ জনের মধ্যে ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে।

ঢাকা/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ