চট্টগ্রামে দুই নেতার বিরুদ্ধে অপহরণের অভিযোগ খতিয়ে দেখছে কেন্দ্রীয় ছাত্রদল
Published: 27th, April 2025 GMT
চট্টগ্রামে একটি পোশাক কারখানার কর্মকর্তাকে চাঁদার দাবিতে অপহরণের অভিযোগ উঠেছে যুবদল ও ছাত্রদলের দুই নেতার বিরুদ্ধে। শফিউল আলম নামের অপহরণের শিকার ওই ব্যক্তিকে অবশ্য ঘটনার আধা ঘণ্টার মধ্যেই পুলিশ উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। শফিউল পোশাক কারখানা আজিম গ্রুপের সিনিয়র সুপারভাইজার হিসেবে কর্মরত বলে জানা গেছে। গতকাল শনিবার রাত ১০টার দিকে নগরের চান্দগাঁও থানার বিসিক শিল্প এলাকায় নিজের কর্মস্থলের সামনে থেকে তাঁকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়।
এই ঘটনার জন্য চান্দগাঁও থানা যুবদলের এক নেতা ও এক ছাত্রদল নেতাকে অভিযুক্ত করা হলেও ভুক্তভোগীর করা মামলায় কেবল চান্দগাঁও থানা যুবদলের এক নেতাকে আসামি করা হয়েছে। যুবদলের ওই নেতার নাম মো.
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, গতকাল রাত ১০টার দিকে অফিস থেকে বেরিয়ে বাসায় যাওয়ার পথে শফিউল আলমকে টেনেহিঁচড়ে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় তুলে অপহরণ করা হয়। সেখান থেকে চান্দগাঁও থানাধীন সিঅ্যান্ডবি টেকবাজার রেললাইনের সামনে নামিয়ে একটি অন্ধকারাচ্ছন্ন জায়গায় নিয়ে যান অপহরণকারীরা। একপর্যায়ে তাঁরা ভুক্তভোগীকে মারধর করে ও ভয়ভীতি দেখিয়ে পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। বিষয়টি জানতে পেরে ভুক্তভোগীর পরিবারের লোকজন থানা-পুলিশকে জানান। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে আধঘণ্টার মধ্যে শফিউল আলমকে উদ্ধার করে।
জানতে চাইলে নগর ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাইফুল আলম গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, ‘যুবদল নেতা সোহেল ও ছাত্রদল নেতা আলফাজের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে, তা যাচাই-বাছাই করে তদন্ত করতে একটু সময় লাগছে। এ জন্য কেন্দ্র থেকে আমাকে শোকজ করা হয়েছে। পুলিশের তদন্তে কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আফতাব উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, পুলিশ আধঘণ্টার মধ্যে ভুক্তভোগী ব্যক্তিকে উদ্ধার করেছে। ঘটনায় জড়িত আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
অপহরণের পরদিন ভিকারুননিসার ছাত্রী উদ্ধার, গ্রেপ্তার বাড়ির সাবেক নিরাপত্তাকর্মী
রাজধানীর দক্ষিণ বনশ্রী এলাকা থেকে অপহরণের পরদিন ভিকারুননিসা নুন স্কুলের সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রীকে (১৩) উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত অভিযোগে ছাত্রীর বাড়ির সাবেক নিরাপত্তাকর্মী আবু হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সেইসঙ্গে ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়েছে কিনা তা জানতে প্রয়োজনীয় ডাক্তারি পরীক্ষা করা হয়েছে।
মামলার এজাহারের বরাত দিয়ে খিলগাঁও থানার ওসি দাউদ হোসেন সমকালকে বলেন, দক্ষিণ বনশ্রী এলাকায় পরিবারের সঙ্গে থাকে ওই স্কুলছাত্রী। তাদের বাসায় নিরাপত্তাকর্মী হিসেবে কাজ করতেন আবু হোসেন। মেয়েটি স্কুলে যাওয়া–আসার পথে তিনি নানারকম প্রলোভন দেখাতেন ও কুপ্রস্তাব দিতেন। বাড়ির মালিককে বিষয়টি জানানো হলে তিনি নিরাপত্তাকর্মীকে চাকরিচ্যুত করেন। এরপরও আবু হোসেন মেয়েটিকে উত্ত্যক্ত করা বন্ধ করেননি। সর্বশেষ বুধবার বিকেলে মেয়েটি বাসার সামনের দোকানে গেলে সেখান থেকে তাকে অপহরণ করা হয়।
ওসি জানান, বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে অভিযোগ পাওয়ার পর দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হয়। যাত্রাবাড়ীর ধলপুর এলাকা থেকে অভিযুক্ত আবু হোসেনকে গ্রেপ্তার ও স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করা হয়। ছাত্রীকে প্রয়োজনীয় পরীক্ষার জন্য শুক্রবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) নেওয়া হয়। প্রতিবেদনে ধর্ষণের প্রমাণ পেলে গ্রেপ্তার আসামির বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগও আনা হবে।