কু‌ড়িগ্রা‌মে পাওনা টাকা‌ নিয়ে বিরোধের জেরে ঝালমু‌ড়ি বি‌ক্রেতার ছুরিকাঘাতে এক মসলা বি‌ক্রেতা নিহত হ‌য়ে‌ছেন। 

রবিবার (২৭ এপ্রিল) রাতে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উলিপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিল্লুর রহমান। এর আগে আজ দুপু‌রে উলিপুর উপ‌জেলার পান্ডুল ইউনিয়‌নের কুড়ারপাড় এলাকায় ঘটনাটি ঘ‌টে। 

নিহত ব‌্যক্তির নাম মাহবুল হো‌সেন (৪৪)। তি‌নি পান্ডুল ইউনিয়‌নের বাবুপাড়া এলাকার বানু শে‌খের ছে‌লে। অভিযুক্ত আলেপ উদ্দিন (৫১) একই এলাকার কুড়ারপার গ্রা‌মের আছম উদ্দি‌নের ছে‌লে।

আরো পড়ুন:

৫১৭ মামলা প্রত্যাহারের সুপা‌রিশ, তালিকা প্রকাশ কর‌বে আইন মন্ত্রণালয়

যশোরে ব্যবসায়ী অপহরণের ১ মাস পর মামলা, গ্রেপ্তার ২

পু‌লিশ ও স্থানীয় সূ‌ত্র জানায়, নিহত মাহবুল হো‌সেন ফে‌রি ক‌রে মসলা বিক্রি ক‌রতেন, আলেপ উদ্দিনও গ্রা‌মে ফে‌রি ক‌রে ঝালমু‌ড়ি বিক্রি ক‌রেন। তাদের ম‌ধ্যে বন্ধুত্ব গড়ে ও‌ঠে। এরই ‍সুবাদে মাহবুল টাকা ধার নেন আলেপ উদ্দি‌নের কা‌ছ থেকে। আজ আলেপ উদ্দি‌নের বা‌ড়ির সাম‌নে দি‌য়ে মাহবু‌ল যাচ্ছিলেন। এসময় তার পথ‌রোধ করা হয়। প‌রে পাওয়া টাকাকে কেন্দ্র ক‌রে উভ‌য়ের ম‌ধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। আপেল উদ্দিন তার হাতে থাকা চাকু দি‌য়ে মাহবুলকে আঘাত করেন। স্থানীয়রা মাহবুল‌কে উদ্ধার করে কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতা‌লে নি‌য়ে গে‌লে চি‌কিৎসক তা‌কে মৃত‌ ঘোষণা ক‌রেন।

উলিপুর থানার ও‌সি জিল্লুর রহমান ব‌লেন, এ ঘটনায় মামলা ন‌থিভূক্ত হ‌য়ে‌ছে এবং অভিযুক্ত‌কে গ্রেপ্তার ক‌রা হ‌য়ে‌ছে। মর‌দেহ ময়নাতদ‌ন্তের জন্য কু‌ড়িগ্রাম ম‌র্গে র‌য়ে‌ছে।”

ঢাকা/বাদশাহ/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ন হত ম হব ল

এছাড়াও পড়ুন:

গাজীপুরে বিস্ফোরণে একই পরিবারের ৫ জন দগ্ধ, সবার অবস্থা আশঙ্কাজনক

গাজীপুরের বাসন থানা এলাকায় গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে নারী-শিশুসহ একই পরিবারের পাঁচ জন দগ্ধ হয়েছেন। তাদের সবার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে চিকিৎসক জানিয়েছেন। 

রবিবার (২৭ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৭টার দিকে বাসন থানার মোগরখাল এলাকার একটি বাসায় এ দুর্ঘঘটনা ঘটে। পরে দগ্ধ অবস্থায় তাদের রাত সাড়ে ১১টার দিকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। 

দগ্ধরা হলেন, পারভীন আক্তার (৩৫ বছর), তাসলিমা (৩০) বয়সী, সীমা (৩০), তানজিলা (১০) ও দেড় বছরের আইয়ান। 

আরো পড়ুন:

ছেলের পর নাতীকে হারিয়ে পাগলপ্রায় রাবেয়া বেগম

নড়াইলে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর মৃত্যু

তাদের আত্মীয় মফিজুল ইসলাম জানান, সন্ধ্যা ৭টার দিকে  রান্না করার জন্য চুলা জ্বালালে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে এবং আগুন ধরে যায়। ধারণা করা হচ্ছে গ্যাস সিলিন্ডারের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ ঘটেছে। 

জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের আবাসিক চিকিৎসক মোহাম্মদ শাওন বিন রহমান জানান, গাজীপুরের সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনায় পাঁচ জনকে দগ্ধদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। আগুনে সীমার শরীরের ৯০ শতাংশ, পারভীনের ৩২ শতাংশ, তানজিলার ৯০ শতাংশ, তাসলিমার ৯৫ শতাংশ ও আয়ানের ২৮ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। তাদের সবার অবস্থা আশঙ্কাজনক।

ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে গ্যাসের আগুনে প্রায়ই দগ্ধ হচ্ছে মানুষ। তাদের অনেকে চিকিৎসা নিতে ঢাকায় আসছেন। কিন্তু সবাইকে বাঁচানো যাচ্ছে না বলে জানান চিকিৎসকরা। 

জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের হিসাবে, শুধু ২০২৪ সালে আগুনে দগ্ধ হয়ে ১২ হাজার ৮১১ জন রোগী জরুরি বিভাগে এসেছিলেন। তাদের মধ্যে হাসপাতালে ভর্তি হন ৪৬৮০ জন রোগী। ভর্তি রোগীদের মধ্যে মারা যান ১০০২ জন। অর্থাৎ হাসপাতালে ভর্তি হওয়া প্রতি ১০০ জনের মধ্যে ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে।

ঢাকা/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ