ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে অবৈধ মাটির ব্যবসা নিয়ে সংবাদ প্রকাশের জেরে সাংবাদিক মাইনুদ্দিন রুবেলের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে। গতকাল শনিবার রাতে আহত মাইনুদ্দিন বিজয়নগর থানায় মামলা করেন। মামলায় উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা, যুবদলের বহিষ্কৃত নেতাসহ ১৩ জনকে আসামি করা হয়েছে।

মাইনুদ্দিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম ও দৈনিক দেশ রূপান্তরের ব্রাহ্মণবাড়িয়া সংবাদদাতা। তাঁর বাড়ি বিজয়নগর উপজেলার পাহাড়পুর ইউনিয়নের ভিটিদাউদপুর গ্রামে। তিনি জেলা শহরের দক্ষিণ মৌড়াইলে ভাড়া বাসায় থাকেন।

মামলার আসামিদের মধ্যে আছেন উপজেলা যুবদলের সদস্যসচিব পদ থেকে বহিষ্কৃত মোখলেছুর রহমান ওরফে লিটন মুন্সি (৪০), উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাইয়ুম মিয়া (৫৫), কাইয়ুমের তিন ছেলে মো.

মুন্না (৩০), রাসেল মিয়া (২৮) ও মোবারক মিয়া (২৫), কাইয়ুমের চাচাতো ভাই ইছাপুরা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আনিছ মিয়া (৫৩) এবং রুবেল মিয়া (৩৫)। তাঁরা বিজয়নগর উপজেলার ইছাপুরা ইউনিয়নের মির্জাপুর গ্রামের বাসিন্দা।

মামলার এজাহার, প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আসামিরা কিছুদিন ধরে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে খননযন্ত্র দিয়ে ফসলি জমি থেকে অবৈধভাবে মাটি কেটে বিক্রি করে আসছিলেন। পাশাপাশি উপজেলার বিভিন্ন পুকুর ভরাটসহ বিভিন্ন অপকর্ম করে আসছিলেন। এসব বিষয়ে সংবাদ প্রকাশ করায় আসামিরা সাংবাদিক মাইনুদ্দিনকে হত্যার পরিকল্পনাসহ হুমকি দিয়ে আসছিলেন। গত শুক্রবার রাত পৌনে আটটার দিকে ব্যক্তিগত কাজে বিজয়নগর থানার দিকে যাচ্ছিলেন মাইনুদ্দিন। এ সময় বিজয়নগর উপজেলা পরিষদের সামনে মোখলেছুর, কাইয়ুমসহ অন্যরা অতর্কিত সাংবাদিক মাইনুদ্দিনের ওপর হামলা চালিয়ে মারধর করেন।

আসামিদের গ্রেপ্তারে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালানো হচ্ছে বলে জানান বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার এহতেশামুল হক বলেন, সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনাটি গুরুত্বের সঙ্গে নেওয়া হয়েছে। হামলায় জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করা হবে।

আরও পড়ুনবিজয়নগরে অবৈধ মাটিকাটা নিয়ে সংবাদ প্রকাশের জেরে সাংবাদিকের ওপর হামলার অভিযোগ২৫ এপ্রিল ২০২৫

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ম ইন দ দ ন ব জয়নগর উপজ ল র

এছাড়াও পড়ুন:

বিজয়নগরে অবৈধ মাটিকাটা নিয়ে সংবাদ প্রকাশের জেরে সাংবাদিকের ওপর হামলার অভিযোগ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলায় অবৈধ মাটির ব্যবসা নিয়ে সংবাদ প্রকাশের জের ধরে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা ও যুবদলের বহিষ্কৃত নেতার নেতৃত্বে সাংবাদিক মাইনুদ্দিন রুবেলের ওপর হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আজ শুক্রবার রাত পৌনে আটটার দিকে উপজেলা পরিষদের সামনে এই ঘটনা ঘটে।

মাইনুদ্দিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম ও দেশ রূপান্তরের ব্রাহ্মণবাড়িয়া সংবাদদাতা হিসেবে কর্মরত। তিনি বিজয়নগর উপজেলার পাহাড়পুর ইউনিয়নের ভিটিদাউদপুর গ্রামের বাসিন্দা। দীর্ঘ ২০ বছর ধরে তিনি জেলা শহরের দক্ষিণ মৌড়াইলে একটি ভাড়া বাসায় থাকেন।

উপজেলা যুবদলের সদস্যসচিবের পদ থেকে বহিষ্কৃত মোখলেছুর রহমান ওরফে লিটন মুন্সি, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম সম্পাদক কাইয়ুম মিয়াসহ তাদের ৩০-৪০ জন লোক এই হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী সাংবাদিক। গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে অংশ নেওয়ায় দল থেকে মোখলেছুরকে বহিষ্কার করা হয়। তিনি উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যানও।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম সম্পাদক কাইয়ুম মিয়া গত ৫ আগস্টের পর থেকে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অবৈধভাবে মাটি কেটে ট্রাক্টরে নিয়ে বিক্রি করে আসছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। পাশাপাশি উপজেলার পুকুরসহ ফসলি জমি অবৈধভাবে ভরাট করছেন। কাইয়ুমের এই কাজ দেখাশোনা করছেন তাঁর ছেলে মো. মুন্না, রাসেল মিয়া ও মোবারক হোসেন, চাচাতো ভাই রুবেল মিয়া ও ইছাপুরা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আনিছ মিয়া। এসব কাজে সহায়তা করছেন বহিষ্কৃত যুবদল নেতা মোখলেছুর। এ নিয়ে সম্প্রতি সংবাদ প্রকাশ করেন মাইনুদ্দিন।

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার রাত পৌনে আটটার দিকে ব্যক্তিগত কাজে বিজয়নগর থানার দিকে যাচ্ছিলেন মাইনুদ্দিন। এ সময় বিজয়নগর উপজেলা পরিষদের সামনে মোখলেছুর, কাইয়ুমসহ অন্যরা অতর্কিত সাংবাদিক মাইনুদ্দিনের ওপর হামলা চালিয়ে মারধর করেন। তাঁর সঙ্গে থাকা ভাগিনা মো. সোহাগ, স্থানীয় মো. শিপনসহ কয়েকজন মিলে চেষ্টা করেও মাইনুদ্দিনকে রক্ষা করতে পারেননি। তাঁদের হামলায় মাইনুদ্দিন মাথার ডান পাশে আঘাত পান। স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন। মাইনুদ্দিনের মাথার ডান পাশে ছয়টি সেলাই লেগেছে।

আহত সাংবাদিক মাইনুদ্দিন রুবেল বলেন, ‘মাটি কাটার নিউজ করায় কাইয়ুম, তার ছেলেরা ও ভাইয়েরা আমার ওপর ক্ষুব্ধ হয়। বাড়ির সামনে পেয়ে লিটন মুন্সি ও কাইয়ুমের নেতৃত্বে তারা পরিকল্পিতভাবে হামলা করেছে। কাইয়ুম নিজে আমাকে মেরেছে। তারা আমাকে হত্যা করতে চেয়েছে। আমি এই ঘটনার বিচার চাই। সাংবাদিকতা করা কি অন্যায়?’

আহত সাংবাদিক মাইনুদ্দিন রুবেলের ভাগিনা সোহাগ মিয়া বলেন, ‘আমরা রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলাম। আমাদের মধ্যে থেকে কেউ তাঁদের ‘‘বকা দিয়েছে’’ এই কথা বলেই তারা মামার ওপর হামলা চালিয়েছে। তারা পরিকল্পিতভাবে এই হামলা করেছে। ফেরাতে গিয়ে আমরাও আহত হয়েছি।’

একাধিকবার চেষ্টা করেও মুঠোফোন না ধরায় বহিষ্কৃত যুবদল নেতা মোখলেছুর রহমান ও কাইয়ুম মিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। ইউপি সদস্য আনিছ মিয়া বলেন, ‘আমি তো দৌড়ে গেছি।’ আপনি হামলা করেছেন উল্লেখ করলে তিনি বলেন, ‘ওরা বাড়ির সামনে এসে ঝগড়া করেছে। আমাদের লোকজনকে মারধর করেছে। সেটা তো কিছু বলছেন না।’

বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সহিদুল ইসলাম বলেন, ‘ঘটনাটি আমরা শুনেছি। জড়িতদের আটকের চেষ্টা চলছে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বিজয়নগরে অবৈধ মাটিকাটা নিয়ে সংবাদ প্রকাশের জেরে সাংবাদিকের ওপর হামলার অভিযোগ