দেশের জন্য গৌরব বয়ে আনা তরুণদের সহায়তা করার ঘোষণা দিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।

রবিবার (২৭ এপ্রিল) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে আইসিটি টাওয়ারে ২৬তম আন্তর্জাতিক রোবট অলিম্পিয়াডে বাংলাদেশ দলের বিজয়ীদের সংবর্ধনা প্রদান অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা বলেন।

ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, “এখন থেকে আইসিটি বিভাগ দেশের কৃতি সন্তানদের নিয়মিত সংবর্ধনা দেবে। পাশাপাশি যারা বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করবেন, তাদের লজিস্টিক, কারিগরি এবং ট্রেনিং সহায়তা প্রদান করা হবে। এ সহায়তা আইসিটি বিভাগের পাশাপাশি ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগও প্রদান করবে।”

আরো পড়ুন:

তিন মন্ত্রণালয়ের জন্য উপদেষ্টার জরুরি নির্দেশনা

পোপকে শ্রদ্ধা জানাতে ভ্যাটিকানে প্রধান উপদেষ্টা

তিনি আরো বলেন, “আনুষ্ঠানিকতার বাইরে গত এক বছরে দেশের জন্য গৌরব বয়ে আনা তরুণদের রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন অনুষ্ঠানে সম্মাননা এবং তাদের সব ধরনের লজিস্টিক সহায়তাও প্রদান করা হবে। তাদের উদ্ভাবনায় প্রয়োজনীয় অবকাঠামো এবং বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য ফান্ডিং করা হবে।”

ফয়েজ তৈয়্যব বলেন, “তরুণদের উদ্ভাবনের পরিবেশ বাস্তবায়ন না করলে জুলাই অভ্যুত্থানের চেতনা সফল হবে না। এই বিপ্লবের অর্জন তখনই সম্ভব হবে যখন আমরা আমাদের তরুণ প্রজন্মের জন্য মানসম্পন্ন কর্মসংস্থান এবং দেশে একটি সত্যিকার অর্থে স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম গড়ে তুলতে পারব। তরুণ প্রজন্মের সৃজনশীলতার জন্য একটি সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন এবং যেহেতু নতুন স্টার্টআপগুলোর অধিকাংশই প্রযুক্তিনির্ভর, তাই আইসিটি বিভাগের এখানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।”

বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় আইসিটির সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী বলেন, “প্রযুক্তি যতই দ্রুত এগিয়ে যাক না কেন, আমাদের ক্ষুদে বিজয়ীরা প্রমাণ করেছে যে আমরা পিছিয়ে নেই। আমরা আজ আত্মবিশ্বাসী এবং আগামী আসরে তাদেরকে উদার হস্তে সহযোগিতা করবে আইসিটি বিভাগ।”

২০১৮ সালে শুরু হয়ে ক্রমান্বয়ে আন্তর্জাতিক রোবট অলিম্পিয়াডে বাংলাদেশের সফলতা বেড়েছে। এই বছর দক্ষিণ কোরিয়ায় অনুষ্ঠিত ২৬তম আন্তর্জাতিক রোবট অলিম্পিয়াডে বাংলাদেশ ১০টি পদক লাভ করেছে। আগামী ডিসেম্বর ২০২৫ সালে অস্ট্রেলিয়ার গোল্ড কোস্টে ২৭তম আসর অনুষ্ঠিত হবে।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বিজয়ীদের সঙ্গে তাদের কোচ মিশাল ইসলামকেও শুভেচ্ছা জানানো হয়। অনুষ্ঠানে পদকজয়ী আরিয়েত্রী ও আবরার আবীর তাদের অভিজ্ঞতা ও প্রত্যাশার কথা ব্যক্ত করেন। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ আনোয়ার উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আইসিটি বিভাগের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা/হাসান/সাইফ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অন ষ ঠ ন র জন য আইস ট

এছাড়াও পড়ুন:

শিক্ষা ক্ষেত্রে ঢাবির সঙ্গে সম্পর্ক বৃদ্ধি করতে চায় কসোভো

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত কসোভোর রাষ্ট্রদূত মি. লুলযিম প্লানা।

রবিবার (২৭ এপ্রিল) ঢাবি উপাচার্যের কার্যালয়ে এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সাক্ষাতে তারা পারস্পরিক স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিষয়াদি নিয়ে বিশেষ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং কসোভোর প্রিশটিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে যৌথ সহযোগিতামূলক শিক্ষা ও গবেষণা কর্মসূচি গ্রহণের সম্ভাব্যতা নিয়ে আলোচনা করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং কসোভোর বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং গবেষক বিনিময়ের বিষয়েও আলোচনা করে তারা দ্রুতই এ বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের ব্যাপারে ঐকমত্য পোষণ করেছেন।

আরো পড়ুন:

৫ দাবিতে উপাচার্যকে ঢাবি ছাত্রদলের স্মারকলিপি

তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের দাবিতে ঢাবিতে সেমিনার

কসোভো’র রাষ্ট্রদূত মি. লুলযিম প্লানা সমাজকে আরো এগিয়ে নিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং কসোভোর বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে শিক্ষা বিষয়ক সহযোগিতা জোরদার করার উপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি দুই দেশের জনগণের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধির উপরও জোর দেন।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস এবং এর শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রম সম্পর্কে রাষ্ট্রদূতকে অবহিত করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শন এবং এর শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রমের প্রতি গভীর আগ্রহ প্রকাশের জন্য রাষ্ট্রদূতকে ধন্যবাদ জানান।

এ সময় ঢাকাস্থ কসোভো দূতাবাসের ডেপুটি হেড অব মিশন মি. এনিস শেমাইলি উপস্থিত ছিলেন। 

সাক্ষাৎ শেষে মি. লুলযিম প্লানা ঢাবির অধ্যাপক মুজাফফর আহমেদ চৌধুরী মিলনায়তনে ‘দ্য রিপাবলিক অব কসোভো টুওয়ার্ডস ইউরো-আটলান্টিক ইন্টিগ্রেশন: রিলেশনস উইথ বাংলাদেশ, এশিয়া, অ্যান্ড দ্য প্রসপেক্টস ফর কো-অপারেশন উইথ বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক বিশেষ বক্তৃতা প্রদান করেন। ঢাবির অ্যাপ্লাইড ডেমোক্রেসি ল্যাব এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

অ্যাপ্লাইড ডেমোক্রেসি ল্যাবের পরিচালক সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ আইনুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. তৈয়েবুর রহমান এবং শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন সিদ্দিকী উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় মি. লুলযিম প্লানা বলেন, “বাংলাদেশ এবং কসোভোর মধ্যে বেশ কয়েকটি দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতামূলক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে, দ্বিপাক্ষিক পরামর্শ সংক্রান্ত একটি সমঝোতা স্মারক, একটি সাধারণ সমঝোতা স্মারক এবং কূটনৈতিক ও অফিসিয়াল পাসপোর্টধারীদের জন্য ভিসা-মুক্ত ভ্রমণের চুক্তি। এসব চুক্তি দু’দেশের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক জোরদার করার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখছে।”

তিনি বলেন, “বাণিজ্য ও দু’দেশের জনগণের মধ্যে সংযোগ স্থাপনের জন্য শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক বিষয়ে যৌথ সহযোগিতা, অর্থনৈতিক সহযোগিতা এবং দ্বৈত কর পরিহারের ব্যাপারে আরো চুক্তি স্বাক্ষরের বিষয়টি আলোচনাধীন রয়েছে। কসোভোর কূটনৈতিক একাডেমি জুনিয়র বাংলাদেশী কূটনীতিকদের জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছে।”

কসোভো বাংলাদেশের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে গুরুত্ব দেয় উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, “বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদানের জন্য কসোভো স্কলারশিপ প্রোগ্রাম চালু করেছে। এর মাধ্যমে মানবসম্পদ উন্নয়ন ও দু’দেশের মধ্যে স্থায়ী সংযোগ গড়ে তোলা হবে। সব স্তরে দু’দেশের মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধিতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”

ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ইন্টারনেট ট্রান্সমিশনে মূল্য হ্রাসের ঘোষণা বাহন লিমিটেডের
  • উচ্চশিক্ষা সহায়তায় ঢাবিতে স্টাডি অ্যাব্রোড এক্সপো
  • শিক্ষা ক্ষেত্রে ঢাবির সঙ্গে সম্পর্ক বৃদ্ধি করতে চায় কসোভো
  • এক দিনে সর্বোচ্চ আয়ের রেকর্ড গড়ল ‘জংলি’
  • এক দিনে নিজেদের সর্বোচ্চ আয়ের রেকর্ড গড়ল ‘জংলি’