সোনারগাঁয়ে ব্যাটারি কারখানা বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন
Published: 27th, April 2025 GMT
সোনারগাঁও উপজেলা সাদিপুর ইউনিয়ন ৯ নং ওয়ার্ড বিষ্ণুপুরা এলাকায় কাজীপাড়া ব্রিজ সংলগ্ন রাস্তার পাশে একঅবৈধ ব্যাটারি কারখানা বন্ধের দাবিতে এলাকাবাসীরা মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেন।
এ সময় এলাকাবাসীরা জানান বন্দর উপজেলার শ্রীরামপুর এলাকার ব্যাটারি ব্যবসায়ী আলমগীরের নেতৃত্বে পরিচালিত হয়ে আসছে এই অবৈধ ব্যাটারি কারখানা।
ব্যাটারি কারখানার কারণে এলাকায় ছড়িয়ে পড়ছে সিসার বিষ। গবাদি পশু জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশ পরেছে সংকটে। ব্যাটারি কারখানার শিসা ধুষনে এলাকায় ছড়িয়ে পড়ছে নানান রোগব্যাধি।
বিষ্ণুপুরা,কাজহরদী,টালটেকি,কাজি পাড়া,কাইনলী ভিটা, শ্রীরামপুর সহ আশেপাশের এলাকার লোকদের মাঝে দেখা দিয়েছে চোখের অসুখ, হাঁপানি, শ্বাসকষ্ট সহ মরণব্যাধি নানা রোগ বালাই।
এলাকাবাসীর অভিযোগ কারখানার বিষাক্ত বর্জ্যের কারণে জমিতে ফসল হচ্ছে না গাছে ফল ধরছে না এবং পুকুরে মাছ বাঁচতে পারছে না।
এ সময় তারা পরিবেশ অধিদপ্তর ও প্রশাসনের দৃষ্টি কামনা করে ব্যাটারি কারখানা বন্ধের দাবিতে ভিক্ষুক মিছিল নিয়ে বিষ্ণুপুরা হয়ে কাজহরদী গিয়ে শেষ করেন।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: স ন রগ ও ন র য়ণগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
রূপগঞ্জে ৯দফা দাবিতে ভূমি মালিকদের মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল
রূপগঞ্জে "ভূমিদস্যু নিপাত যাক কায়েতপাড়াবাসী মুক্তি পাক, অবৈধভাবে বালুভরাট বন্ধ কর, করতে হবে" বিভিন্ন স্লোগানে ৯দফা দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে কায়েতপাড়া ইউনিয়নের ভূমি মালিকরা।
শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) বিকেলে উপজেলার ইছাখালী বাজারে এ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করা হয়। বিক্ষোভ মিছিলে বক্তারা বলেন একটি মহল কায়েতপাড়া ইউনিয়নের মধ্যে আবাসিক প্রকল্পের নামে অধিকাংশ জমি ক্রয় না করেই দুই ফসলি বা তিন ফসলি জমি ড্রেজার এর মাধ্যমে সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে বালু দিয়ে ভরাট করে ফেলেছে।
আবার কোন কোন ক্ষেত্রে জমি ক্রয় না করে এবং জমির মালিককে না জানিয়েই তাকে কোন ক্ষতিপূরণ না দিয়েই লাল নিশানা উড়িয়ে রাস্তা নির্মান করা হচ্ছে যা বাংলাদেশের প্রচলিত আইন ও সংবিধান বহির্ভূত।
তাছাড়া এই এলাকার বসতবাড়ি উঠিয়ে দিয়ে কায়েতপাড়া ইউনিয়নের স্থায়ী বাসীন্দাদের পুনর্বাসনের কোন সুনির্দিষ্ট ব্যবস্থা না করে তাদেরকে সরিয়ে দিয়ে তারা তাদের প্রকল্প বাস্তবায়ন করে ফেলবে যার কিছু নজির এখন স্পষ্টতই দৃশ্যমান।
ফলে আমরা কায়েতপাড়ার আপামর জনসাধারণ এবং ইউনিয়নের স্থায়ীবাসীন্দারা এই অন্যায়ের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করি এবং প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের হস্তক্ষেপ কামনা করি।
দাবি গুলোর মধ্যে ছিল, "জমি ক্রয় না করে অবৈধভাবে বালি ভরাট বা রাস্তাঘাট নির্মাণ করা যাবেনা। "জমি না কিনে ইতিমধ্যেই অবৈধভাবে বালি ভরাটকৃত জমির ন্যায্যমূল্যসহ ক্ষতিপূরণ জমির মালিককে প্রদান করতে হবে"। "আবাসন প্রকল্প অবশ্যই বসতবাড়ির বাইরে থাকতে হবে"।
"অবিলম্বে আবাসন প্রকল্পের সীমানা নির্ধারণ ঘোষণা করতে হবে এবং সেই অনুযায়ী আবাসন প্রকল্প নির্মাণ করতে হবে। প্রকল্প এলাকায় আবাসন প্রকল্পের ম্যাপ টানিয়ে রাখতে হবে"। "বসতবাড়ি থেকে কমপক্ষে ১০০০ ফিট দূরে আবাসন প্রকল্পের সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করতে হবে"।"
আবাসন প্রকল্পের কোন রাস্তা করার ক্ষেত্রে বসতবাড়ির মধ্য দিয়ে করা যাবেনা। একান্ত প্রয়োজনে বসতবাড়ির মধ্য দিয়ে করতে হলে অবশ্যই বাড়ির মালিককে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণসহ তাকে প্রকল্পের মধ্য থেকে একটি প্লট বরাদ্দ করতে হবে।
আর যদি ফসলি জমির মধ্য দিয়ে রাস্তা করা হয় তবে অবশ্যই রাস্তা নির্মানের জন্য প্রয়োজনীয় জমির ন্যায্যমূল্য এবং ফসলের ক্ষতিপূরণ জমির মালিককে প্রদান করতে হবে"। " ক্ষতিপূরণ দেয়ার আগে কোনভাবেই বাড়ির মালিককে উচ্ছেদ করা যাবেনা"।
"জমির প্রকৃত মালিক ও দখলে থাকা ব্যাক্তির নিকট থেকে জমি ক্রয় করতে হবে। ওয়ারিশ এর নিকট থেকে জমি ক্রয়ের নামে কম মূল্যে জমি ক্রয় করে জমির প্রকৃত মালিক ও দখলদারকে উচ্ছেদ করা যাবেনা"।" বসতবাড়ির চেয়ে উঁচু করে বালি ভরাট করা চলবে না।