জুলাই হামলার বিচার ও জাকসু নির্বাচনের দাবিতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) অবস্থান কর্মসূচি করেছেন শিক্ষার্থী।

রবিবার (২৭ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৫টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন রেজিস্ট্রার ভবনের সামনে এ কর্মসূচি পালন করেন তারা।

এ সময় অংশগ্রহণকারীদের ‘জাকসু দিয়ে বাহানা, চলবে না চলবে না’, ‘ছাত্রলীগের ঠিকানা, এই ক্যাম্পাসে হবে না’, ‘একশন একশন, ডাইরেক্ট একশন’, ‘আওয়ামী-ভারত ছাত্রলীগ, জাহাঙ্গীরনগর কবর দিক’, ‘বিচার চাই বিচার চাই, জুলাই হামলার বিচার চাই’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায়।

আরো পড়ুন:

নিউজ প্রকাশের জেরে জাবি সাংবাদিককে হুমকি, প্রতিবাদে মানববন্ধন

জাবিতে মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়নের দাবিতে শিক্ষার্থীদের স্মারকলিপি

অবস্থান কর্মসূচি চলাকালে শিক্ষার্থীরা পাঁচ দফা দাবি উত্থাপন করেন। এছাড়া দাবি সম্বলিত একটি স্মারকলিপি উপাচার্যের কাছে প্রদান করেন। 

দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- ছাত্রলীগের হামলার বিচার নিশ্চিত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে যথাযথ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ; জুলাই মাসের আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে ইন্ধন দেওয়া শিক্ষকসহ সংশ্লিষ্টদের বিচার নিশ্চিতকরণ; জাকসু নির্বাচনের ভোটার তালিকা থেকে ছাত্রলীগের নাম বাতিল এবং বৈধ শিক্ষার্থীদের নাম পুনঃসংযুক্ত করা; বিচারের কার্যক্রম দ্রুত সম্পন্ন করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে জাকসু নির্বাচন আয়োজন; মাদকমুক্ত ক্যাম্পাস গড়ে তোলা।

কর্মসূচিতে প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী আব্দুল গাফফার জিসান বলেন, “জাকসু নির্বাচন যেন সুস্থ ও স্বচ্ছভাবে হয়, সেই দাবিতে আমরা এখানে দাঁড়িয়েছে। সুষ্ঠু নির্বাচন বাস্তবায়নের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনে থাকা সব ফ্যাসিস্টকে দ্রুত অপসারণ করতে হবে। পাশাপাশি প্রকাশিত ভোটার তালিকা সংশোধন করে সেখান থেকে জুলাই হামলায় জড়িত ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের নাম বাদ দিতে হবে।”

সরকার ও রাজনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী রাজু হাসান রাজন বলেন, “জুলাইয়ের হামলাকারীদের বিচার, জাকসু নির্বাচনসহ পাঁচ দফা দাবিতে আজকের এ কর্মসূচি। এ লক্ষ্যে উপাচার্যের নিকট জমা দিয়েছি। আমরা আশা করব, আমাদের দাবিগুলো খুব দ্রুতই বাস্তবায়ন হবে। জুলাইয়ের হামলাকারীদের বিচার ও জাকসু নির্বাচন নিয়ে কোন ধরনের টালবাহানা আমরা মেনে নেব না।”

স্মারকলিপি গ্রহণকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড.

কামরুল আহসান বলেন, “বিচার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। আমাদের সময় দিন। আমরা ন্যায়বিচারের পক্ষে আছি। দাবিগুলো আলোচনা করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”

ঢাকা/আহসান/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

সোনালি সময়ের স্বপ্ন দেখানো ট্রাম্পের জনসমর্থনে ভাটা তিন মাসেই

ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে মূল্যস্ফীতি কমবে। এতে দেশের অর্থনীতি চাঙ্গা হবে। এমন আশাতেই ভূমিধস জয় পেয়ে দ্বিতীয়বার মার্কিন প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন ট্রাম্প। তবে তাঁর জনপ্রিয়তা দিন দিন কমতে শুরু করেছে। ভোটারদের আশা ভঙ্গ হওয়ায় হোয়াইট হাউসের মসনদে বসার প্রথম ১০০ দিন ঘনিয়ে আসতেই ট্রাম্পের সমর্থনে ভাটা পড়েছে। বুধবার প্রকাশিত রয়টার্স ও ইপসোসের এক জরিপে দেখা গেছে, মার্কিন অর্থনীতি সামলানোর ক্ষেত্রে ট্রাম্পের কর্মকাণ্ডে সন্তুষ্ট কেবল ৩৭ শতাংশ মানুষ। অথচ ক্ষমতায় আসার কয়েক ঘণ্টা পর, কেবল মার্কিন অর্থনীতির সোনালি যুগ ফিরিয়ে আনার অঙ্গীকার করেই ৪২ শতাংশ মানুষের সমর্থন আদায় করেছিলেন ট্রাম্প। অর্থনীতি এবং অভিবাসন নীতিতে ধাক্কা দেওয়ায় ট্রাম্পের সমালোচনা করছেন আমেরিকানরা। জরিপের ফলাফল বলছে, জানুয়ারিতে হোয়াইট হাউসে প্রত্যাবর্তন করেই ট্রাম্প যে নীতি গ্রহণ করেছেন, তা অনেক আমেরিকানের কাছেই তাঁকে অজনপ্রিয় করে তুলছে। 

মার্কিন চিন্তক সংস্থা, আমেরিকান এন্টারপ্রাইজ ইনস্টিটিউটের একজন জ্যেষ্ঠ ফেলো জেমস পেথোকুকিস বলেছেন, আমরা একজন প্রেসিডেন্টকে পেয়েছি, যিনি সোনালি সময়ের স্বপ্ন দেখিয়েছেন। অথচ যা থাকার কথা ছিল ওপরে, তা এখন নিম্নগামী। আর যে সূচক থাকা দরকার নিচে, তা এখন ঊর্ধ্বগামী।

দায়িত্ব গ্রহণের শুরু থেকেই আগ্রাসী অর্থনৈতিক এজেন্ডা গ্রহণ করেন ট্রাম্প। নতুন নীতির আওতায় গুরুত্বপূর্ণ আর্থিক অংশীদারদের ওপর শুল্কের বোঝা চাপিয়ে এবং সম্প্রতি মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওপর নিজের ক্ষমতা প্রয়োগের চেষ্টা করে দেশের শেয়ারবাজারে একটা লেজেগোবরে পরিস্থিতি তৈরি করেন তিনি। শেয়ারবাজারে সূচক এতটা নিম্নগামী শেষ দেখা গিয়েছিল পাঁচ বছর আগে, কভিড মহামারির সময়। অবশ্য, পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টায় শুল্কনীতিতে ট্রাম্প কিছুটা পিছু হটলেও, অর্থনীতিতে যে অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে, সেটা স্বাভাবিক হতে দীর্ঘ সময় লাগবে বলে মনে করেন পেথোকুকিস।

ট্রাম্পের অভিষেকের পরই আয়োজিত এক জরিপে প্রায় ৫৫ শতাংশ অংশগ্রহণকারী বলেছিলেন, ট্রাম্পের প্রথম ১০০ দিনের প্রধান অগ্রাধিকার উচিত মুদ্রাস্ফীতি বা সামগ্রিক অর্থনীতির উন্নতি। আর ট্রাম্পের নিজের পছন্দের অভিবাসন ইস্যুর সপক্ষে মত দিয়েছিলেন মাত্র ২৩ শতাংশ অংশগ্রহণকারী।

সাম্প্রতিক জরিপে তিন-চতুর্থাংশ অংশগ্রহণকারী আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, যুক্তরাষ্ট্র একটি মন্দার দিকে যাচ্ছে। আর ৫৬ শতাংশ অংশগ্রহণকারী মনে করেন, ট্রাম্পের অর্থনৈতিক পদক্ষেপ অত্যন্ত এলোমেলো।

অংশগ্রহণকারীদের কাছে আরও জানতে চাওয়া হয়, ট্রাম্পের কর্মকাণ্ডের ভবিষ্যৎ কী। এটা যাচাইয়ের জন্য বক্তব্য রাখা হয়, ‘ট্রাম্পের কর্মকাণ্ডের কারণে অবসর জীবনে আমার ভোগান্তি হবে’– এর সঙ্গে একমত হয়েছেন ৫২ শতাংশ মানুষ এবং দ্বিমত পোষণ করেছেন ৩১ শতাংশ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • হাসপাতালটি নিজেই অসুস্থ
  • সিদ্ধিরগঞ্জে টিম স্পিরিট বৃদ্ধি করতে পিএবিএল’র ব্যতিক্রম আয়োজন
  • সোনালি দিনের স্বপ্ন দেখানো ট্রাম্পের জনসমর্থনে ভাটা তিন মাসেই
  • সোনালি সময়ের স্বপ্ন দেখানো ট্রাম্পের জনসমর্থনে ভাটা তিন মাসেই
  • টাইমস হায়ার এডুকেশন র‌্যাঙ্কিং: দেশসেরা বুয়েট, ২য় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাবির অবস্থান কত