ডিএনসিসি প্রশাসকের সঙ্গে চীনা রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
Published: 27th, April 2025 GMT
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন।
রবিবার (২৭ এপ্রিল) রাজধানীর চীন দূতাবাসে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন আওতাধীন এলাকায় সাংস্কৃতিক ও অবকাঠামোগত উন্নয়নে চীনের বিনিয়োগের বিষয়ে আলোচনা করা হয়।
আরো পড়ুন:
যত্রতত্র ময়লা না ফেলার আহ্বান ডিএনসিসি প্রশাসকের
বেরাইদে ৭ কিলোমিটার রাস্তার কাজ শেষ পর্যায়ে: ডিএনসিসি প্রশাসক
এছাড়া ঢাকার জলাবদ্ধতা দূরীকরণে চীনের ‘স্পঞ্জ সিটি' মডেলের আদলে ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়নে কারিগরি ও আর্থিক সহায়তার আহ্বান জানান ডিএনসিসি প্রশাসক।
তিনি বলেন, “নিম্ন আয়ের বাসিন্দাদের জন্য অন্তর্ভুক্তিমূলক নগর আবাসন সমাধানের জন্য আমরা কমিউনিটিভিত্তিক আবাসনে চীনের কারিগরি ও আর্থিক উভয় ক্ষেত্রেই সহায়তা প্রত্যাশা করি। বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনে চীনা প্রযুক্তি বিশ্বে বিখ্যাত। ঢাকায় বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়নে চীনের সঙ্গে আমরা কার্যক্রম এগিয়ে নিতে চাই।”
তিনি বলেন, “ডিএনসিসিতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে চীনের ই-গভর্নেন্স এবং নাগরিক স্বচ্ছতা টুলস ব্যবহারে আগ্রহী। এছাড়াও ঢাকার নদী পুনরুদ্ধারে চীনের সহযোগিতা প্রত্যাশা করি।”
ঢাকা/এএএম/এসবি
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
সমকালে সংবাদ প্রকাশের পর লম্বাশিয়া পাহাড়ে বালু উত্তোলন বন্ধ করল প্রশাসন
চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার চুনতি সংরক্ষিত বনাঞ্চলের লম্বাশিয়া পাহাড় ধ্বংস করছে স্থানীয় প্রভাবশালী মহল। লম্বাশিয়া পাহাড়টি বালু প্রকৃতির, যার ফলে এ পাহাড় ঘেঁষে যাওয়া সাতগরিয়া ছড়ার পানির পথ পরিবর্তন করে দেয় বালুখেকোরা। আস্তে আস্তে ভেঙে পড়ে পাহাড়। শ্যালো মেশিন দিয়ে উত্তোলন করা হয় বালু। এভাবেই চলছে দেড় যুগ ধরে।
এ ছড়ায় শ্যালো মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলনের কারণে এক কিলোমিটারজুড়ে পাহাড়ের ক্ষতচিহ্ন দেখা গেছে। রোববার দৈনিক সমকালে ‘লম্বাশিয়া পাহাড়ে ধ্বংসযজ্ঞ চলছেই’ শিরোনাম সংবাদ প্রকাশ হয়। এ সংবাদ প্রকাশের এক দিন পর রোববার দুপুরে লোহাগাড়া উপজেলা প্রশাসন ও চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগ যৌথ অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় অবৈধভাবে উত্তোলিত বালুর ঢিবি নষ্ট করে দেওয়া হয়। বালু উত্তোলনের জন্য ব্যবহৃত অবৈধভাবে মজুদ করা পানি কেটে বের করে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বালু পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত রাস্তা কেটে গর্ত তৈরি করে দেওয়া হয়, রাস্তার মাঝে পিলার পুঁতে কাঁটা তারের বেড়া দেওয়া হয়।
লোহাগাড়া উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাজমুন লায়েল ও সহকারী বন সংরক্ষক মো. দেলোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হয়। সঙ্গে ছিলেন চুনতির রেঞ্জ অফিসার মো. আবীর হাসান, সাতগড় বিটের বিট অফিসার মহসিন আলী ইমরানসহ থানা পুলিশ ও বনবিভাগের সদস্যরা।
২০২৩ সলের ২৪ ডিসেম্বর দৈনিক সমকালে ‘অবৈধ বালু উত্তোলন চলছেই, কিলোমিটার জুড়ে ক্ষতচিহৃ’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ হয়। ওই সংবাদ প্রকাশের পরও বনবিভাগ ও প্রশাসন রাস্তায় কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধ করে দেয়। তখনই বন্ধ হয়ে যায় অবৈধ বালু উত্তোলন। কিন্তু ৫ আগস্টের পর আরেক দল দূর্বৃত্ত কাঁটাতার তুলে আবারও অবৈধ বালু উত্তোলন করে।