৫১৭টি রাজ‌নৈ‌তিক বি‌বেচনায় দা‌য়েরকৃত হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারের সুপারিশ করা হয়ে‌ছে।

আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুলের সভাপতিত্বে রবিবার (২৭ এপ্রিল) সচিবালয়ে রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারের বিষয়ে মন্ত্রণালয় পর্যায়ে গঠিত কমিটির ১২তম সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।

এ নিয়ে গত চার মাসে মোট আট হাজার ৮৩২টি রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারের সুপারিশ করেছে এ কমিটি।

আরো পড়ুন:

যশোরে ব্যবসায়ী অপহরণের ১ মাস পর মামলা, গ্রেপ্তার ২

এনআইডির সাবেক ডিজি সাহেলেরই এনআইডি ব্লকের নির্দেশ

এদিকে ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট সময়ের মধ্যে দায়ের করা রাজনৈতিকভাবে হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারের জন্য সুপা‌রিশকৃত মামলার তালিকা প্রস্তুত ক‌রে‌ছে সরকার। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে এটি ওয়েবসাইটে প্রকাশ করবে স্বরাষ্ট্র ও আইন মন্ত্রণালয়।

আইন মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সভায় জানানো হয়, এসব মামলার প্রতিটিতে গড়ে কমপক্ষে ৫০ জনকে আসামি করা হয়েছিল। সে হিসাবে বিএনপি, জামায়াতসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রায় পাঁচ লাখ নেতাকর্মী এসব মামলার আসামি ছিলেন।

বর্তমানে আইন মন্ত্রণালয়ের সলিসিটর অনুবিভাগে (সলিসিটর অনুবিভাগ, আইন ও বিচার বিভাগ) বা solicitor.

lawjusticediv.gov.bd ই-মেইলে সরাসরি আবেদন করেও মামলা প্রত্যাহার করা যাচ্ছে। মামলার এজাহার ও অভিযোগপত্রের ‘সার্টিফাইড কপি’ সংগ্রহে সমস্যা হলে মামলা প্রত্যাহারের দরখাস্তের সঙ্গে এজাহার ও অভিযোগপত্রের ‘সার্টিফাইড ফটোকপি’ও দাখিল করা যাবে বলে কমিটি সিদ্ধান্ত নেয়।

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/সাইফ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র জন ত ক

এছাড়াও পড়ুন:

যশোরে ব্যবসায়ী অপহরণের ১ মাস পর মামলা, গ্রেপ্তার ২

যশোরে ব্যবসায়ী রেজাউল ইসলাম অপহরণের ১ মাস ৩ দিন পর কোতোয়ালি থানায় মামলা হয়েছে। চট্টগ্রাম থেকে সন্দেহভাজন দুই ব্যক্তিকে আটক করার পর শনিবার (২৬ এপ্রিল) রাতে মামলা গ্রহণ করে পুলিশ।

পুলিশ বলছে, রেজাউল ইসলামের জমি বিক্রির ২১ লাখ টাকা আত্মসাতের জন্য তাকে অপহরণ করা হয়েছে। তবে তিনি জীবিত আছেন, নাকি হত্যার শিকার হয়েছেন, তা নিশ্চিত করতে তদন্ত চলছে। অভিযানের স্বার্থে আটককৃতদের নাম প্রকাশ করেনি পুলিশ।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, রেজাউল ইসলাম যশোর শহরের শংকরপুর ইসহাক সড়ক এলাকায় কাপড় ও টেইলার্সের ব্যবসা করতেন এবং কামরুল ইসলামের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। পাশের কক্ষে থাকতেন মৃত বাদশা মিয়ার ছেলে রিপন হাওলাদার ও সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার তালতলা বাজার এলাকার হবি গাজীর ছেলে সবুজ ওরফে রবিউল। একই বাড়িতে বসবাসের সুবাদে তাদের মধ্যে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে।

আরো পড়ুন:

এনআইডির সাবেক ডিজি সাহেলেরই এনআইডি ব্লকের নির্দেশ

জুলাই গণহত্যা: শেখ হাসিনাসহ ৪০৮ জনের বিরুদ্ধে আরেক মামলা

পরবর্তীতে ব্যবসায় সম্প্রসারণের জন্য রেজাউল তার পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া দুই শতক জমিসহ বাড়ি বিক্রির সিদ্ধান্ত নেন। সবুজ ও রিপনের সহায়তায় ২১ লাখ টাকায় ওই সম্পত্তি বিক্রি করেন তিনি। গত ২২ মার্চ রাত সাড়ে ১২টার দিকে টাকা হস্তান্তরের কথা বলে সবুজ ও রিপন মোবাইল ফোনে ডেকে নেন রেজাউলকে। এরপর থেকে তিনি নিখোঁজ রয়েছেন।

রেজাউলের পরিবার প্রথমে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। পরে এক সপ্তাহের মধ্যে অপহরণ ও গুমের অভিযোগ এনে সবুজ, রিপন এবং অজ্ঞাত ২-৩ জনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তবে পুলিশ তখন অভিযোগটি এজাহার হিসেবে নেয়নি, বরং তদন্ত শুরু করে। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় চট্টগ্রামে এক সন্দেহভাজনকে শনাক্ত করে অভিযান চালিয়ে দুইজনকে আটক করে পুলিশ।

কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসনাত খান জানান, রেজাউলের অপহরণের ঘটনায় মামলা হয়েছে এবং সন্দেহভাজন দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে রেজাউলের কী হয়েছে, তা জানতে তদন্ত অব্যাহত আছে।

রেজাউলের ছেলে মেহেদী হাসান চয়ন জানান, আটককৃতদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ সাতক্ষীরায় অভিযান চালাচ্ছে। তিনিও অভিযানে সঙ্গে আছেন। এখনো তার বাবার ভাগ্যে কী ঘটেছে, তা নিশ্চিত হতে পারেননি। 
 

ঢাকা/রিটন/বকুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ৪ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ: সাবেক এমপি কাজিম উদ্দিনের বিরুদ্ধে মামলা
  • যশোরে ব্যবসায়ী অপহরণের ১ মাস পর মামলা, গ্রেপ্তার ২
  • এস আলমের ১০১৪ বিঘা জমি জব্দের আদেশ 
  • এনআইডির সাবেক ডিজি সাহেলেরই এনআইডি ব্লকের নির্দেশ