৪ কোটি ৭ লাখ ৩১ হাজার ৩১৯ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ময়মনসিংহ-১১ (ভালুকা) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য কাজিম উদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

একইস‌ঙ্গে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে তার স্ত্রী সালিহা সিদ্দিকা শিফার সম্পদের হিসাব দি‌তে নো‌টিশ দেওয়া হয়েছে।

রবিবার (২৭ এপ্রিল) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদক কার্যালয়ে সংস্থাটির মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) আক্তার হোসেন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

আরো পড়ুন:

এস আলমের ১০১৪ বিঘা জমি জব্দের আদেশ 

এনআইডির সাবেক ডিজি সাহেলেরই এনআইডি ব্লকের নির্দেশ

মামলার এজাহা‌রে বলা হয়, ক্ষমতার অপব্যবহার করার মাধ্যমে সা‌বেক এম‌পি কাজিম উদ্দিন আহমেদ ৪ কোটি ৭ লাখ ৩১ হাজার ৩১৯ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং তার নামে ১৫টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ৪০ কোটি ৭৬ লাখ ১৬ হাজার ৫২৭ টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের অভিযোগ আনা হয়।

তার বিরুদ্ধে দুদক আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারা, মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারা তৎসহ দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।

অন্যদিকে, কাজিম উদ্দিনের স্ত্রী সালিহা সিদ্দিকা শিফার নামে ৯ লাখ ৩৪ হাজার টাকার জ্ঞাত আয়ের উৎসবহির্ভূত সম্পদসহ তার নামে ও বেনামে আরো সম্পদ থাকার সম্ভাবনা থাকায় তার প্রতি দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৬(১) ধারা অনুযায়ী সম্পদ বিবরণী দাখিলের আদেশ জারির সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুদক।

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/সাইফ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

যশোরে ব্যবসায়ী অপহরণের ১ মাস পর মামলা, গ্রেপ্তার ২

যশোরে ব্যবসায়ী রেজাউল ইসলাম অপহরণের ১ মাস ৩ দিন পর কোতোয়ালি থানায় মামলা হয়েছে। চট্টগ্রাম থেকে সন্দেহভাজন দুই ব্যক্তিকে আটক করার পর শনিবার (২৬ এপ্রিল) রাতে মামলা গ্রহণ করে পুলিশ।

পুলিশ বলছে, রেজাউল ইসলামের জমি বিক্রির ২১ লাখ টাকা আত্মসাতের জন্য তাকে অপহরণ করা হয়েছে। তবে তিনি জীবিত আছেন, নাকি হত্যার শিকার হয়েছেন, তা নিশ্চিত করতে তদন্ত চলছে। অভিযানের স্বার্থে আটককৃতদের নাম প্রকাশ করেনি পুলিশ।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, রেজাউল ইসলাম যশোর শহরের শংকরপুর ইসহাক সড়ক এলাকায় কাপড় ও টেইলার্সের ব্যবসা করতেন এবং কামরুল ইসলামের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। পাশের কক্ষে থাকতেন মৃত বাদশা মিয়ার ছেলে রিপন হাওলাদার ও সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার তালতলা বাজার এলাকার হবি গাজীর ছেলে সবুজ ওরফে রবিউল। একই বাড়িতে বসবাসের সুবাদে তাদের মধ্যে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে।

আরো পড়ুন:

এনআইডির সাবেক ডিজি সাহেলেরই এনআইডি ব্লকের নির্দেশ

জুলাই গণহত্যা: শেখ হাসিনাসহ ৪০৮ জনের বিরুদ্ধে আরেক মামলা

পরবর্তীতে ব্যবসায় সম্প্রসারণের জন্য রেজাউল তার পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া দুই শতক জমিসহ বাড়ি বিক্রির সিদ্ধান্ত নেন। সবুজ ও রিপনের সহায়তায় ২১ লাখ টাকায় ওই সম্পত্তি বিক্রি করেন তিনি। গত ২২ মার্চ রাত সাড়ে ১২টার দিকে টাকা হস্তান্তরের কথা বলে সবুজ ও রিপন মোবাইল ফোনে ডেকে নেন রেজাউলকে। এরপর থেকে তিনি নিখোঁজ রয়েছেন।

রেজাউলের পরিবার প্রথমে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। পরে এক সপ্তাহের মধ্যে অপহরণ ও গুমের অভিযোগ এনে সবুজ, রিপন এবং অজ্ঞাত ২-৩ জনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তবে পুলিশ তখন অভিযোগটি এজাহার হিসেবে নেয়নি, বরং তদন্ত শুরু করে। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় চট্টগ্রামে এক সন্দেহভাজনকে শনাক্ত করে অভিযান চালিয়ে দুইজনকে আটক করে পুলিশ।

কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসনাত খান জানান, রেজাউলের অপহরণের ঘটনায় মামলা হয়েছে এবং সন্দেহভাজন দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে রেজাউলের কী হয়েছে, তা জানতে তদন্ত অব্যাহত আছে।

রেজাউলের ছেলে মেহেদী হাসান চয়ন জানান, আটককৃতদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ সাতক্ষীরায় অভিযান চালাচ্ছে। তিনিও অভিযানে সঙ্গে আছেন। এখনো তার বাবার ভাগ্যে কী ঘটেছে, তা নিশ্চিত হতে পারেননি। 
 

ঢাকা/রিটন/বকুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ৫১৭ মামলা প্রত্যাহারের সুপা‌রিশ, তালিকা প্রকাশ কর‌বে আইন মন্ত্রণালয়
  • যশোরে ব্যবসায়ী অপহরণের ১ মাস পর মামলা, গ্রেপ্তার ২
  • এস আলমের ১০১৪ বিঘা জমি জব্দের আদেশ 
  • এনআইডির সাবেক ডিজি সাহেলেরই এনআইডি ব্লকের নির্দেশ