১২ ম্যাচ নিষিদ্ধের ভয়েই কি ক্ষমা চাইলেন রুডিগার
Published: 27th, April 2025 GMT
সেভিয়ার মাঠ লা কারতুজা স্টেডিয়ামে তখন মিনিট দেড়েকের খেলা বাকি। কোপা দেল রের ফাইনালে বার্সেলোনার বিপক্ষে রিয়াল মাদ্রিদ পিছিয়ে ৩-২ গোলে। এমন শ্বাসরুদ্ধকর সময়ে কিলিয়ান এমবাপ্পের ফ্রি-কিকের দাবি খারিজ করে দেন রেফারি রিকার্দো দে বুর্গোস।
রেফারির এই সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেননি রিয়াল ডিফেন্ডার আন্তোনিও রুডিগার। বেঞ্চে থাকা এই ডিফেন্ডার রীতিমতো তেড়ে যান রেফারির দিকে।
স্প্যানিশ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, সেই সময় রেফারিকে লক্ষ্য করে কিছু একটা ছোড়াও হয়। ধারণা করা হচ্ছে, ডাগআউটে বক্সের মধ্যে থাকা বরফ ছুড়ে মারা হয়েছে রেফারিকে এবং সেটি রুডিগারই ছুড়েছিলেন।
আরও পড়ুনরুডিগার কি সত্যিই রেফারিকে বরফ ছুড়ে মেরেছিলেন, কী শাস্তি হতে পারে৯ ঘণ্টা আগেসেই সময় রুডিগার রাগে ফুঁসছিলেন এবং তাঁকে মাঠের ভেতরে ঢুকে যাওয়া থেকে বিরত রাখতে রিয়াল মাদ্রিদের পাঁচ স্টাফকে রীতিমতো গলদঘর্ম হতে হয়েছে।
রেফারির দিকে তেড়ে যাচ্ছেন রুডিগার.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
সমকালে সংবাদ প্রকাশের পর লম্বাশিয়া পাহাড়ে বালু উত্তোলন বন্ধ করল প্রশাসন
চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার চুনতি সংরক্ষিত বনাঞ্চলের লম্বাশিয়া পাহাড় ধ্বংস করছে স্থানীয় প্রভাবশালী মহল। লম্বাশিয়া পাহাড়টি বালু প্রকৃতির, যার ফলে এ পাহাড় ঘেঁষে যাওয়া সাতগরিয়া ছড়ার পানির পথ পরিবর্তন করে দেয় বালুখেকোরা। আস্তে আস্তে ভেঙে পড়ে পাহাড়। শ্যালো মেশিন দিয়ে উত্তোলন করা হয় বালু। এভাবেই চলছে দেড় যুগ ধরে।
এ ছড়ায় শ্যালো মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলনের কারণে এক কিলোমিটারজুড়ে পাহাড়ের ক্ষতচিহ্ন দেখা গেছে। রোববার দৈনিক সমকালে ‘লম্বাশিয়া পাহাড়ে ধ্বংসযজ্ঞ চলছেই’ শিরোনাম সংবাদ প্রকাশ হয়। এ সংবাদ প্রকাশের এক দিন পর রোববার দুপুরে লোহাগাড়া উপজেলা প্রশাসন ও চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগ যৌথ অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় অবৈধভাবে উত্তোলিত বালুর ঢিবি নষ্ট করে দেওয়া হয়। বালু উত্তোলনের জন্য ব্যবহৃত অবৈধভাবে মজুদ করা পানি কেটে বের করে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বালু পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত রাস্তা কেটে গর্ত তৈরি করে দেওয়া হয়, রাস্তার মাঝে পিলার পুঁতে কাঁটা তারের বেড়া দেওয়া হয়।
লোহাগাড়া উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাজমুন লায়েল ও সহকারী বন সংরক্ষক মো. দেলোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হয়। সঙ্গে ছিলেন চুনতির রেঞ্জ অফিসার মো. আবীর হাসান, সাতগড় বিটের বিট অফিসার মহসিন আলী ইমরানসহ থানা পুলিশ ও বনবিভাগের সদস্যরা।
২০২৩ সলের ২৪ ডিসেম্বর দৈনিক সমকালে ‘অবৈধ বালু উত্তোলন চলছেই, কিলোমিটার জুড়ে ক্ষতচিহৃ’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ হয়। ওই সংবাদ প্রকাশের পরও বনবিভাগ ও প্রশাসন রাস্তায় কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধ করে দেয়। তখনই বন্ধ হয়ে যায় অবৈধ বালু উত্তোলন। কিন্তু ৫ আগস্টের পর আরেক দল দূর্বৃত্ত কাঁটাতার তুলে আবারও অবৈধ বালু উত্তোলন করে।