শাবনূরের সেই সিনেমাগুলোর ভবিষ্যৎ কী
Published: 27th, April 2025 GMT
২০২৩ সালের শেষ দিকে দেশে ফিরে একের পর এক ছবিতে অভিনয়ের ঘোষণা দেন শাবনূর। ঢাকার একটি অভিজাত ক্লাবে ‘রঙ্গনা’ সিনেমার মহরত শেষে শুটিংও শুরু হয়। ‘রঙ্গনা’ পরিচালক আরাফাত হোসাইন জানান, তাঁরই পরিচালিত আরেকটি ছবি ‘এখনো ভালোবাসি’তেও অভিনয় করবেন শাবনূর। কাছাকাছি সময়ে জানা যায়, চয়নিকা চৌধুরীর ‘মাতাল হাওয়া’ ছবিতেও অভিনয় করবেন। ঘোষণা ও শুটিং শুরুর পর বছর পার হলেও ছবি তিনটির সেই অর্থে কোনো অগ্রগতি নেই। এদিকে শাবনূরও এখন দেশে নেই। মাঝে আট আট ঘণ্টার জন্য ঢাকায় এসেছিলেন। এসেই অসুস্থ মাকে নিয়ে উড়াল দেন এই নায়িকা। এদিকে চলচ্চিত্র অঙ্গনের কেউ কেউ বলছেন, শাবনূরের তিন ছবির ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত। এমনটা মানতে নারাজ তিন ছবির দুই পরিচালক।
শাবনূরের সঙ্গে ‘রঙ্গনা’ ছবির পরিচালক আরাফাত হোসাইন.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
সমকালে সংবাদ প্রকাশের পর লম্বাশিয়া পাহাড়ে বালু উত্তোলন বন্ধ করল প্রশাসন
চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার চুনতি সংরক্ষিত বনাঞ্চলের লম্বাশিয়া পাহাড় ধ্বংস করছে স্থানীয় প্রভাবশালী মহল। লম্বাশিয়া পাহাড়টি বালু প্রকৃতির, যার ফলে এ পাহাড় ঘেঁষে যাওয়া সাতগরিয়া ছড়ার পানির পথ পরিবর্তন করে দেয় বালুখেকোরা। আস্তে আস্তে ভেঙে পড়ে পাহাড়। শ্যালো মেশিন দিয়ে উত্তোলন করা হয় বালু। এভাবেই চলছে দেড় যুগ ধরে।
এ ছড়ায় শ্যালো মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলনের কারণে এক কিলোমিটারজুড়ে পাহাড়ের ক্ষতচিহ্ন দেখা গেছে। রোববার দৈনিক সমকালে ‘লম্বাশিয়া পাহাড়ে ধ্বংসযজ্ঞ চলছেই’ শিরোনাম সংবাদ প্রকাশ হয়। এ সংবাদ প্রকাশের এক দিন পর রোববার দুপুরে লোহাগাড়া উপজেলা প্রশাসন ও চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগ যৌথ অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় অবৈধভাবে উত্তোলিত বালুর ঢিবি নষ্ট করে দেওয়া হয়। বালু উত্তোলনের জন্য ব্যবহৃত অবৈধভাবে মজুদ করা পানি কেটে বের করে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বালু পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত রাস্তা কেটে গর্ত তৈরি করে দেওয়া হয়, রাস্তার মাঝে পিলার পুঁতে কাঁটা তারের বেড়া দেওয়া হয়।
লোহাগাড়া উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাজমুন লায়েল ও সহকারী বন সংরক্ষক মো. দেলোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হয়। সঙ্গে ছিলেন চুনতির রেঞ্জ অফিসার মো. আবীর হাসান, সাতগড় বিটের বিট অফিসার মহসিন আলী ইমরানসহ থানা পুলিশ ও বনবিভাগের সদস্যরা।
২০২৩ সলের ২৪ ডিসেম্বর দৈনিক সমকালে ‘অবৈধ বালু উত্তোলন চলছেই, কিলোমিটার জুড়ে ক্ষতচিহৃ’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ হয়। ওই সংবাদ প্রকাশের পরও বনবিভাগ ও প্রশাসন রাস্তায় কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধ করে দেয়। তখনই বন্ধ হয়ে যায় অবৈধ বালু উত্তোলন। কিন্তু ৫ আগস্টের পর আরেক দল দূর্বৃত্ত কাঁটাতার তুলে আবারও অবৈধ বালু উত্তোলন করে।