খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিলের শুনানি হতে পারে আগামী সপ্তাহে
Published: 27th, April 2025 GMT
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলায় (হত্যা ও বিস্ফোরক মামলা) বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ আসামিদের খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা লিভ টু আপিলের ওপর আগামী সপ্তাহে শুনানি হতে পারে।
হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা পৃথক লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) শুনানির জন্য আপিল বিভাগের আজ রোববারের কার্যতালিকায় ১৯ নম্বর ক্রমিকে ওঠে। ক্রম অনুসারে বিষয়টি উঠলে প্রধান বিচারপতির দায়িত্বে থাকা আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো.
আদালতে আসামিপক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম শাহজাহান ও আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুহাম্মদ আবদুল জব্বার ভুঞা।
পরে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুহাম্মদ আবদুল জব্বার ভুঞা প্রথম আলোকে বলেন, ছয় সদস্যের আপিল বিভাগে আজ লিভ টু আপিল দুটি শুনানির জন্য ছিল। এই মামলায় হাইকোর্ট বিভাগে যে বিচারপতি (বর্তমানে আপিল বিভাগের বিচারপতি) রায় দিয়েছিলেন, তিনি আপিল বিভাগের বেঞ্চে ছিলেন। তিনি মামলাটি শুনতে পারবেন না, তাই বেঞ্চ পুনর্গঠন হওয়া দরকার। বিষয়টি নজরে আনার পর আপিল বিভাগ বিষয়টি নট টুডে রাখেন, অর্থাৎ শুনানি মুলতবি করেছেন। বেঞ্চ পুনর্গঠন সাপেক্ষে আগামী সপ্তাহে লিভ টু আপিলের ওপর শুনানি হতে পারে।
দুই দশক আগে আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলার ঘটনায় করা পৃথক মামলায় (হত্যা ও বিস্ফোরক মামলা) বিচারিক আদালতের দেওয়া সাজার রায় বাতিল করে গত বছরের ১ ডিসেম্বর রায় দেন হাইকোর্ট। আসামিদের ডেথ রেফারেন্স, আপিল, জেল আপিল ও বিবিধ আবেদনের ওপর শুনানি শেষে বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান (বর্তমানে আপিল বিভাগের বিচারপতি) ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ ওই রায় দেন। এই রায়ের ফলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ গ্রেনেড হামলা মামলার আসামিরা খালাস পান।
গত বছরের ১৯ ডিসেম্বর সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে ৭৯ পৃষ্ঠা করে পৃথক দুটি মামলার (হত্যা ও বিস্ফোরক মামলা) পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়। হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের পর রাষ্ট্রপক্ষ পৃথক লিভ টু আপিল করে। গত ১৩ মার্চ আবেদন দুটি আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে ওঠে। চেম্বার আদালত সেদিন আবেদন দুটি শুনানির জন্য আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে পাঠান। এর ধারাবাহিকতায় আবেদন দুটি একসঙ্গে কার্যতালিকায় ওঠে।
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার সমাবেশে গ্রেনেড হামলা হয়। এতে ২৪ জন নিহত হন। আহত হন শতাধিক নেতা-কর্মী।
আরও পড়ুন২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা: নতুন করে তদন্তের জন্য মামলা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো উচিত১৯ ডিসেম্বর ২০২৪উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আপ ল ব ভ গ র র ষ ট রপক ষ ব চ রপত র জন য আপ ল র
এছাড়াও পড়ুন:
আগের দিন আইনজীবি, পরের দিন ব্যাংক কর্মকর্তার বাড়িতে ডাকাতি
নাটোরে এক আইনজীবীকে কুপিয়ে তার বাড়িতে ডাকাতির ঘটনার একদিন পরই এক ব্যাংক কর্মকর্তার বাড়িতে দুর্ধষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। মুখোশধারী ডাকাত দল অস্ত্রের মুখে পরিবারের সদস্যদের জিম্মি করে স্বর্ণালংকার ও মোবাইলফোন লুট করে নিয়ে গেছে।
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে সদর উপজেলার হালসা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। সোনালী ব্যাংকের কর্মকর্তা জাকির হোসেন সোনালী ব্যাংক মানিকগঞ্জ শাখায় কর্মকর্তা আছেন।
ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা জানায়, বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে ৮ থেকে ৯ জনের মুখোশধারী একদল ডাকাত জাকির হোসেনের বাড়িতে প্রবেশ করে। ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ব্যাংক কর্মকর্তার বাবা আইয়ুব আলী ও তার মাকে বেঁধে ফেলে। পরে ডাকাতদল একে একে চারটি কক্ষ তছনছ করে। এ সময় ঘরে থাকা প্রায় আট ভরি স্বর্ণালংকার ও কয়েকটি মোবাইল ফোন লুট করে পালিয়ে যায়।
নাটোর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুর রহমান জানান, সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। ডাকাতির আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। জড়িত ডাকাতদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারের জন্য আমরা অনুসন্ধান পরিচালনা করছি। এ ঘটনায় ব্যাংক কর্মকর্তা জাকির হোসেন বাদী হয়ে নাটোর সদর থানায় একটি মামলা করেছেন।
প্রসঙ্গত, গত বুধবার রাতে নাটোরের লালপুর উপজেলায় অ্যাডভোকেট সাধন চন্দ্র দাসকে কুপিয়ে তার বাড়ি থেকে স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা লুট করে নিয়ে যায় ডাকাতরা।