সিলেটে বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট জিততে হৃদয় দিয়ে খেলেছিল জিম্বাবুয়ে। ব‌্যাটিংয়ে, বোলিংয়ে ইতিবাচক মনোভাবে ২২ গজে পারফর্ম করেছিলেন ক্রেইগ আরভিন, শন উইলিয়ামস, মুজারাবানিরা। তাতে চোখ রাঙানি দিয়ে বাংলাদেশকে হারিয়েছে তারা। সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট আগামীকাল শুরু হচ্ছে চট্টগ্রামে। ভালো করতে পারলে এই ম‌্যাচেও জয় পাওয়া সম্ভব এমনটাই মনে করেন জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক আরভিন। এজন‌্য বাড়তি চাপ নেওয়ার পক্ষপাতি নন তিনি।

চাপহীন ক্রিকেট খেলে চট্টগ্রামে বিজয়ের পতাকা উড়িয়ে সিরিজ জিততে চান আরভিন, ‘‘প্রথম ম্যাচটি জেতার প্রক্রিয়াটি বোঝা গুরুত্বপূর্ণ। এমন না যে, ১-০ তে এগিয়ে থাকায় আমরা নিজেদের ওপর চাপ নিয়ে নেব। অবশ্যই সিরিজ জয়ের একটা প্রত্যাশা থাকবে। ছোট ছোট ধাপে ভাগ করতে হবে এবং প্রক্রিয়া ঠিক রাখতে হবে। যত লম্বা সময় এটি করতে পারব, তত আমাদের সুযোগ পারবে। এখনই ম্যাচের ফল নিয়ে ভাবলে হবে না।”

বাংলাদেশের একাদশে এই ম‌্যাচে দুটি পরিবর্তন আসতে পারে। ওপেনিংয়ে এবং পেস বোলিংয়ে। নাহিদ রানার জায়গায় তানজিম সাকিব আসতে পারেন। তবে স্পিন শক্তি বাড়ালে তানভীরও ঢুকতে পারেন। আর ওপেনিংয়ে সাদমান কিংবা জয়ের জায়গায় এনামুল। বাংলাদেশের একাদশে কারা থাকবেন, কারা থাকবেন না সেটা নিয়ে খুব বেশি চিন্তিত মনে হলো না আরভিনকে, ‘‘আমার মনে হয় না শক্তি কমেছে। আমরা গতি হারিয়েছি। নাহিদ রানার মতো গতিময় আর কেউ নেই। তবে স্কিল আছে, বিশেষ করে চট্টগ্রামে বোলিংয়ের কৌশল তারা জানে। এটি সবসময়ই মন্থর উইকেট। আশা করি আমরা টার্ন আদায় করে নেব এবং পেসাররা স্কিল দিয়ে নিজেদের কাজটা করবে।”

আরো পড়ুন:

চট্টগ্রামে ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যয় বাংলাদেশের

ফর্মে থাকা এনামুলে আত্মবিশ্বাসী গাজী আশরাফ

প্রস্তুতি শুরুর আগে চট্টগ্রামের উইকেট দেখতে পারেননি আরভিন। তবে ধারনা পেয়েছেন, ‘‘নেটের উইকেটগুলো আমাদের কাছ কিছুটা মন্থর মনে হয়েছে। খেলা যত এগোবে, হয়তো স্পিন বেশ বড় ভূমিকা রাখবে এই টেস্টে।”

ঢাকা/ইয়াসিন/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আরভ ন

এছাড়াও পড়ুন:

সমকালে সংবাদ প্রকাশের পর লম্বাশিয়া পাহাড়ে বালু উত্তোলন বন্ধ করল প্রশাসন

চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার চুনতি সংরক্ষিত বনাঞ্চলের লম্বাশিয়া পাহাড় ধ্বংস করছে স্থানীয় প্রভাবশালী মহল। লম্বাশিয়া পাহাড়টি বালু প্রকৃতির, যার ফলে এ পাহাড় ঘেঁষে যাওয়া সাতগরিয়া ছড়ার পানির পথ পরিবর্তন করে দেয় বালুখেকোরা। আস্তে আস্তে ভেঙে পড়ে পাহাড়। শ্যালো মেশিন দিয়ে উত্তোলন করা হয় বালু। এভাবেই চলছে দেড় যুগ ধরে। 

এ ছড়ায় শ্যালো মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলনের কারণে এক কিলোমিটারজুড়ে পাহাড়ের ক্ষতচিহ্ন দেখা গেছে। রোববার দৈনিক সমকালে ‘লম্বাশিয়া পাহাড়ে ধ্বংসযজ্ঞ চলছেই’ শিরোনাম সংবাদ প্রকাশ হয়। এ সংবাদ প্রকাশের এক দিন পর রোববার দুপুরে লোহাগাড়া উপজেলা প্রশাসন ও চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগ যৌথ অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় অবৈধভাবে উত্তোলিত বালুর ঢিবি নষ্ট করে দেওয়া হয়। বালু উত্তোলনের জন্য ব্যবহৃত অবৈধভাবে মজুদ করা পানি কেটে বের করে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বালু পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত রাস্তা কেটে গর্ত তৈরি করে দেওয়া হয়, রাস্তার মাঝে পিলার পুঁতে কাঁটা তারের বেড়া দেওয়া হয়। 

লোহাগাড়া উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাজমুন লায়েল ও সহকারী বন সংরক্ষক মো. দেলোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হয়। সঙ্গে ছিলেন চুনতির রেঞ্জ অফিসার মো. আবীর হাসান, সাতগড় বিটের বিট অফিসার মহসিন আলী ইমরানসহ থানা পুলিশ ও বনবিভাগের সদস্যরা।

২০২৩ সলের ২৪ ডিসেম্বর দৈনিক সমকালে ‘অবৈধ বালু উত্তোলন চলছেই, কিলোমিটার জুড়ে ক্ষতচিহৃ’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ হয়। ওই সংবাদ প্রকাশের পরও বনবিভাগ ও প্রশাসন রাস্তায় কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধ করে দেয়। তখনই বন্ধ হয়ে যায় অবৈধ বালু উত্তোলন। কিন্তু ৫ আগস্টের পর আরেক দল দূর্বৃত্ত কাঁটাতার তুলে আবারও অবৈধ বালু উত্তোলন করে। 

 

 

সম্পর্কিত নিবন্ধ