প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস আগামী মে মাসে জাপান সফরে যাচ্ছেন। সেখানে তিনি নিক্কেই ফোরামের সম্মেলনে যোগ দেবেন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, জাপানের টোকিওতে আগামী ২৯ থেকে ৩০ মে নিক্কেই ফোরামের সম্মেলনে যোগ দেবেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। নিক্কেই ফোরামের সম্মেলনে যোগ দিলেও প্রধান উপদেষ্টা জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন।এছাড়া সম্মেলনের সাইড লাইনে বিশ্বের অন্যান্য দেশের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন।

এবারের নিক্কেই ফোরাম সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড.

মুহাম্মদ ইউনূস ছাড়াও লাওসের প্রেসিডেন্ট, পালাওয়ের প্রেসিডেন্ট, কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী, সিঙ্গাপুরের উপ-প্রধানমন্ত্রী, ভিয়েতনামের উপ-প্রধানমন্ত্রী, মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাহাথির বিন মোহাম্মদ বক্তব্য দেবেন।

আরো পড়ুন:

মাতারবাড়িতে গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণে জাপানি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি

হলি আর্টিজানে নিহত জাপানি কর্মকর্তাদের স্মরণ

নিক্কেই ফোরামের সম্মেলনে এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় ‘ফিউচার অব এশিয়া’। এই আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বক্তারা এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, আঞ্চলিক বিষয় ও বিশ্বে এশিয়ার ভূমিকা সম্পর্কে খোলামেলা এবং স্বাধীনভাবে তাদের মতামত উপস্থাপন করবেন।

১৯৯৫ সাল থেকে প্রতি বছর নিক্কেই ফোরাম আয়োজিত এই সম্মেলনকে এশিয়ার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বৈশ্বিক ফোরাম হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এই বছর নিক্কেই ফোরামের ৩০তম বার্ষিকী পূর্তি হচ্ছে।

ঢাকা/হাসান/সাইফ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ম হ ম মদ

এছাড়াও পড়ুন:

সমকালে সংবাদ প্রকাশের পর লম্বাশিয়া পাহাড়ে বালু উত্তোলন বন্ধ করল প্রশাসন

চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার চুনতি সংরক্ষিত বনাঞ্চলের লম্বাশিয়া পাহাড় ধ্বংস করছে স্থানীয় প্রভাবশালী মহল। লম্বাশিয়া পাহাড়টি বালু প্রকৃতির, যার ফলে এ পাহাড় ঘেঁষে যাওয়া সাতগরিয়া ছড়ার পানির পথ পরিবর্তন করে দেয় বালুখেকোরা। আস্তে আস্তে ভেঙে পড়ে পাহাড়। শ্যালো মেশিন দিয়ে উত্তোলন করা হয় বালু। এভাবেই চলছে দেড় যুগ ধরে। 

এ ছড়ায় শ্যালো মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলনের কারণে এক কিলোমিটারজুড়ে পাহাড়ের ক্ষতচিহ্ন দেখা গেছে। রোববার দৈনিক সমকালে ‘লম্বাশিয়া পাহাড়ে ধ্বংসযজ্ঞ চলছেই’ শিরোনাম সংবাদ প্রকাশ হয়। এ সংবাদ প্রকাশের এক দিন পর রোববার দুপুরে লোহাগাড়া উপজেলা প্রশাসন ও চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগ যৌথ অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় অবৈধভাবে উত্তোলিত বালুর ঢিবি নষ্ট করে দেওয়া হয়। বালু উত্তোলনের জন্য ব্যবহৃত অবৈধভাবে মজুদ করা পানি কেটে বের করে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বালু পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত রাস্তা কেটে গর্ত তৈরি করে দেওয়া হয়, রাস্তার মাঝে পিলার পুঁতে কাঁটা তারের বেড়া দেওয়া হয়। 

লোহাগাড়া উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাজমুন লায়েল ও সহকারী বন সংরক্ষক মো. দেলোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হয়। সঙ্গে ছিলেন চুনতির রেঞ্জ অফিসার মো. আবীর হাসান, সাতগড় বিটের বিট অফিসার মহসিন আলী ইমরানসহ থানা পুলিশ ও বনবিভাগের সদস্যরা।

২০২৩ সলের ২৪ ডিসেম্বর দৈনিক সমকালে ‘অবৈধ বালু উত্তোলন চলছেই, কিলোমিটার জুড়ে ক্ষতচিহৃ’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ হয়। ওই সংবাদ প্রকাশের পরও বনবিভাগ ও প্রশাসন রাস্তায় কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধ করে দেয়। তখনই বন্ধ হয়ে যায় অবৈধ বালু উত্তোলন। কিন্তু ৫ আগস্টের পর আরেক দল দূর্বৃত্ত কাঁটাতার তুলে আবারও অবৈধ বালু উত্তোলন করে। 

 

 

সম্পর্কিত নিবন্ধ